মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত পাঁচটি ডায়ালাইসিস মেশিনের মধ্যে চারটি গত পাঁচ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিডনি রোগীদের। অনেক রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ডায়ালাইসিস করাতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক অসহায়, দরিদ্র রোগীরা অর্থের অভাবে ডায়ালাইসিস করতে না পেরে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালে স্থাপিত এসব ডায়ালাইসিস মেশিনে প্রথমে দুই বছর লোকবল সংকটের কারণে অকার্যকর ছিল।
২০২২ সালে ডায়ালাইসিস ইউনিটটি উদ্ধোধন করা হয়। এখানে জনবল নিয়োগের পর মেশিনগুলো চালু হলেও এক বছরের মধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে মাত্র একটি মেশিন সচল থাকায় সাপ্তাহিক চারজন রোগী সেবা নিতে পারছেন। প্রতি জন রোগীকে সপ্তাহে দুই বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। একজন রোগীর কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। গত ফেব্রয়ারি মাসে ৩১ জনকে এবং চলতি মাসে ৯জনকে পর্যায়ক্রমে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। অথচ অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছে প্রায় ৪০ জন রোগী।
ডায়ালাইসিস ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. হাবিবুর রহমান জানান, মেশিনগুলোর বিভিন্ন যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দিয়েছে কোনোটির পাওয়ার সাপ্লাই আবার কোনটির মাদারবোর্ড বিকল হয়ে গেছে। একটি মেশিন দিয়ে এতে রাগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কিডনি রোগে আক্রান্ত টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বাগজান গ্রামের আল আমীন (৩২) বলেন, প্রতি সপ্তাহে তার দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। হাসপাতালে এই চিকিসা নিতে খরচ দিতে হয় ৪০০ টাকা। তবে বাইরে থেকে ফ্লুইডসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে দিতে হয়। এদিকে গত পাঁচ মাস ধরে ৪টি ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল থাকায় এলাকার রোগীদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে সাভার, ঢাকার বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। এতে রোগীরা আর্থিকভাবে বিপর্য়স্ত হয়ে পরেছেন। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ডায়ালাইসিস মেশিনগুলোর বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ন্যাশনাল ইলোট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেি নং সেন্টারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের কারিগরি দল পরিদর্শন করলেও এখনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বদরুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো সমাধান পায়নি। আশা করি দ্রুত একটি ব্যবস্তা হয়ে যাবে। এলাকার অভিজ্ঞ মহল দ্রুত ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত পাঁচটি ডায়ালাইসিস মেশিনের মধ্যে চারটি গত পাঁচ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিডনি রোগীদের। অনেক রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ডায়ালাইসিস করাতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক অসহায়, দরিদ্র রোগীরা অর্থের অভাবে ডায়ালাইসিস করতে না পেরে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালে স্থাপিত এসব ডায়ালাইসিস মেশিনে প্রথমে দুই বছর লোকবল সংকটের কারণে অকার্যকর ছিল।
২০২২ সালে ডায়ালাইসিস ইউনিটটি উদ্ধোধন করা হয়। এখানে জনবল নিয়োগের পর মেশিনগুলো চালু হলেও এক বছরের মধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে মাত্র একটি মেশিন সচল থাকায় সাপ্তাহিক চারজন রোগী সেবা নিতে পারছেন। প্রতি জন রোগীকে সপ্তাহে দুই বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। একজন রোগীর কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। গত ফেব্রয়ারি মাসে ৩১ জনকে এবং চলতি মাসে ৯জনকে পর্যায়ক্রমে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। অথচ অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছে প্রায় ৪০ জন রোগী।
ডায়ালাইসিস ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. হাবিবুর রহমান জানান, মেশিনগুলোর বিভিন্ন যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দিয়েছে কোনোটির পাওয়ার সাপ্লাই আবার কোনটির মাদারবোর্ড বিকল হয়ে গেছে। একটি মেশিন দিয়ে এতে রাগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কিডনি রোগে আক্রান্ত টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বাগজান গ্রামের আল আমীন (৩২) বলেন, প্রতি সপ্তাহে তার দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। হাসপাতালে এই চিকিসা নিতে খরচ দিতে হয় ৪০০ টাকা। তবে বাইরে থেকে ফ্লুইডসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে দিতে হয়। এদিকে গত পাঁচ মাস ধরে ৪টি ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল থাকায় এলাকার রোগীদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে সাভার, ঢাকার বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। এতে রোগীরা আর্থিকভাবে বিপর্য়স্ত হয়ে পরেছেন। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ডায়ালাইসিস মেশিনগুলোর বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ন্যাশনাল ইলোট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেি নং সেন্টারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের কারিগরি দল পরিদর্শন করলেও এখনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বদরুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো সমাধান পায়নি। আশা করি দ্রুত একটি ব্যবস্তা হয়ে যাবে। এলাকার অভিজ্ঞ মহল দ্রুত ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।