নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ দুই পরিবারের মধ্যে একটির তিন সদস্যই মারা গেছেন। সোমবার গভীর রাতে ২৩ বছর বয়সী সোহাগ ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। একই ঘটনায় দগ্ধ সোহাগের স্ত্রী রূপালী এবং তাদের দেড় বছরের কন্যা সুমাইয়া এর আগে মারা যান। সব মিলিয়ে দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে চার জন মারা গেলেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগের মৃত্যু হয়। গত ৩ মার্চ রাতে রাত আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাসায় অগ্নিকা-ে দুই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন-রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া।
ওইদিন ভোরেই সবাইকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সাব্বিরের শরীরের ২৭ শতাংশ, হান্নানের ৪৫ শতাংশ, লাকীর ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, রূপালীর ৩৪ শতাংশ, সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ এবং সোহাগের শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
দগ্ধ লাকীর ভাই আনোয়ার বলছেন, আগুন যখন লাগে, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই অবস্থাতেই সবাই দগ্ধ হয়। আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে হান্নান মারা যান গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে। পরদিন সোহাগের দেড় বছর বয়সী কন্যা সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। এরপর গত রোববার মারা যান সুমাইয়ার মা রূপালী। সর্বশেষ গত সোমবার মারা গেলেন সোহাগও।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ দুই পরিবারের মধ্যে একটির তিন সদস্যই মারা গেছেন। সোমবার গভীর রাতে ২৩ বছর বয়সী সোহাগ ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। একই ঘটনায় দগ্ধ সোহাগের স্ত্রী রূপালী এবং তাদের দেড় বছরের কন্যা সুমাইয়া এর আগে মারা যান। সব মিলিয়ে দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে চার জন মারা গেলেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগের মৃত্যু হয়। গত ৩ মার্চ রাতে রাত আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাসায় অগ্নিকা-ে দুই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন-রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া।
ওইদিন ভোরেই সবাইকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সাব্বিরের শরীরের ২৭ শতাংশ, হান্নানের ৪৫ শতাংশ, লাকীর ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, রূপালীর ৩৪ শতাংশ, সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ এবং সোহাগের শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
দগ্ধ লাকীর ভাই আনোয়ার বলছেন, আগুন যখন লাগে, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই অবস্থাতেই সবাই দগ্ধ হয়। আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে হান্নান মারা যান গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে। পরদিন সোহাগের দেড় বছর বয়সী কন্যা সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। এরপর গত রোববার মারা যান সুমাইয়ার মা রূপালী। সর্বশেষ গত সোমবার মারা গেলেন সোহাগও।