পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়ায় হাঁস পালনে সাফল্যের সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন মোশারেফ হোসেন মাঝি ও তার মেয়ে মারুফা আক্তার। মাত্র সাড়ে মাস মাস পূর্বে নিজের বাড়ির আঙিনায় পতিত অনাবাদি জমি ও মজা পুকুর বেস্টিত ৭৮ শতাংশ জমির উপর গড়ে তোলেন হাঁসের খামার।
নভেম্বর মাসের শুরুতে ২ মাস বয়সের প্রতিটি ২শ টাকা হিসেবে মোট ১৩শ খাকি ক্যাম্বল ও চিংডিং জাতের হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন পালন শুরু করেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭শতাধিক ডিম সংগ্রহ করে। খামারের মালিক মোশাররফ হোসেন মাঝি জানান, আগে ঢাকায় বিভিন্ন কাজকর্ম করে দিন যাপন করতাম।
কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরিবারসহ বাড়ি এসে হাঁসের খামার গড়ে তুলি এবং ১৩শ হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন পালন শুরু করি। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। গত ২ মাস যাবৎ হাঁসের ডিম দেয়া শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন বাড়ছে।
বর্তমানে গড়ে ৭ শতাধিক ডিম সংগ্রহ করতে পারি। মোশারেফ মাঝির মেয়ে মারুফা আক্তার বলেন, হাঁসের খাবার বাবদ প্রতিদিন ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি ডিম ১৫ টাকায় পাইকারি দিচ্ছি। পটুয়াখালী ও দুমকি থেকে পাইকাররা এসে ডিম নেয়। স্থানীয় লোকজনও বাড়ি থেকে ডিম কিনে নেয়।
খরচ বাদে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
এছাড়াও গড়ে ৭’শ টাকা হিসেবে খামারে ৮ লক্ষাধিক টাকার হাঁস রয়েছে এবং প্রতিদিনের ডিম বিক্রির টাকা বাড়তি লাভ। শুটকি, ভুট্টা, চালের কুঁড়া, ঝিনুক ও শামুকের গুঁড়া, ডালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মেশিন ভাঙ্গিয়ে হাঁসের খাবার তৈরি করে খাওয়ানো হচ্ছে।
রোগ প্রতিরোধে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ভেকসিন প্রয়োগ করছি। এ ব্যাপারে ছেলে মশিউর রহমান জানান, খামারে ডিমের পাশাপাশি মাংসের জন্য অন্য জাতের হাঁস পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও আমাদের হাঁসের খামারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক কবুতরও পালন করি। তা থেকেও মাসে ৩৫-৪০ জোড়া বাচ্চা বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে তিনি জানান, এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে কোন রকম সহযোগিতা পাচ্ছি না।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়ায় হাঁস পালনে সাফল্যের সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন মোশারেফ হোসেন মাঝি ও তার মেয়ে মারুফা আক্তার। মাত্র সাড়ে মাস মাস পূর্বে নিজের বাড়ির আঙিনায় পতিত অনাবাদি জমি ও মজা পুকুর বেস্টিত ৭৮ শতাংশ জমির উপর গড়ে তোলেন হাঁসের খামার।
নভেম্বর মাসের শুরুতে ২ মাস বয়সের প্রতিটি ২শ টাকা হিসেবে মোট ১৩শ খাকি ক্যাম্বল ও চিংডিং জাতের হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন পালন শুরু করেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭শতাধিক ডিম সংগ্রহ করে। খামারের মালিক মোশাররফ হোসেন মাঝি জানান, আগে ঢাকায় বিভিন্ন কাজকর্ম করে দিন যাপন করতাম।
কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরিবারসহ বাড়ি এসে হাঁসের খামার গড়ে তুলি এবং ১৩শ হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন পালন শুরু করি। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। গত ২ মাস যাবৎ হাঁসের ডিম দেয়া শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন বাড়ছে।
বর্তমানে গড়ে ৭ শতাধিক ডিম সংগ্রহ করতে পারি। মোশারেফ মাঝির মেয়ে মারুফা আক্তার বলেন, হাঁসের খাবার বাবদ প্রতিদিন ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি ডিম ১৫ টাকায় পাইকারি দিচ্ছি। পটুয়াখালী ও দুমকি থেকে পাইকাররা এসে ডিম নেয়। স্থানীয় লোকজনও বাড়ি থেকে ডিম কিনে নেয়।
খরচ বাদে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
এছাড়াও গড়ে ৭’শ টাকা হিসেবে খামারে ৮ লক্ষাধিক টাকার হাঁস রয়েছে এবং প্রতিদিনের ডিম বিক্রির টাকা বাড়তি লাভ। শুটকি, ভুট্টা, চালের কুঁড়া, ঝিনুক ও শামুকের গুঁড়া, ডালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মেশিন ভাঙ্গিয়ে হাঁসের খাবার তৈরি করে খাওয়ানো হচ্ছে।
রোগ প্রতিরোধে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ভেকসিন প্রয়োগ করছি। এ ব্যাপারে ছেলে মশিউর রহমান জানান, খামারে ডিমের পাশাপাশি মাংসের জন্য অন্য জাতের হাঁস পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও আমাদের হাঁসের খামারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক কবুতরও পালন করি। তা থেকেও মাসে ৩৫-৪০ জোড়া বাচ্চা বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে তিনি জানান, এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে কোন রকম সহযোগিতা পাচ্ছি না।