বগুড়ায় অবৈধ ইটভাটির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা চিহ্নিত করে জনবসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি নিকটের ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে তা গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অভিযান চালান হচ্ছে। বগুড়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ এ পর্যন্ত জেলার ৮টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চলতি মাসেই গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ৭টি ইটভাটা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এছাড়া চলতি বছরেই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর ইটভাটার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জানিয়েছে, এই জেলার ইটভাটাগুলোর মধ্যে ১৬০টিরও বেশি অবৈধ। এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনুমোদন নেই। জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে ২৪টি ইটভাটির। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইনে (সংশোধিত) অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী স্থাপন হয়নি এবং এগুলো জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর মধ্যে অনেক ইটভাটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতভিটার ১ থেকে ৩শ’ মিটারেরর মধ্যে রয়েছে। বসতভিটা ও নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এত কম দূরত্বের মধ্যে থাকা ইটভাটা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, জনবগণি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব বিবেচনায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। পরিবেশ অধিপ্তর সূত্র জানায় জেলায় বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ থেকে ৩শ’ মিটারের মধ্যে অবৈধ ইটভাটা রয়েছে অর্ধশতাধিক। সূত্র জানায়, চলতি মার্চ মাসে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৭টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ অভিযান চালান হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার মেসার্স আয়েশা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটিতে। সেটি গুঁড়িয়ে দেয়াসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর বাইরে গত বছরের নভেম্বরে আরও ১টি ইটভাটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আর এই বছরের প্রথম থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মাহথীর বিন মোহাম্মদ জানান, পরিবেশ দূষণরোধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই ধরনের ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। জনবগণি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ ইটভাটাগুলোর দূরত্বগত অবস্থান বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে জেলার সমস্ত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
বগুড়ায় অবৈধ ইটভাটির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা চিহ্নিত করে জনবসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি নিকটের ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে তা গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অভিযান চালান হচ্ছে। বগুড়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ এ পর্যন্ত জেলার ৮টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চলতি মাসেই গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ৭টি ইটভাটা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এছাড়া চলতি বছরেই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর ইটভাটার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জানিয়েছে, এই জেলার ইটভাটাগুলোর মধ্যে ১৬০টিরও বেশি অবৈধ। এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনুমোদন নেই। জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে ২৪টি ইটভাটির। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইনে (সংশোধিত) অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী স্থাপন হয়নি এবং এগুলো জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর মধ্যে অনেক ইটভাটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতভিটার ১ থেকে ৩শ’ মিটারেরর মধ্যে রয়েছে। বসতভিটা ও নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এত কম দূরত্বের মধ্যে থাকা ইটভাটা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, জনবগণি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব বিবেচনায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। পরিবেশ অধিপ্তর সূত্র জানায় জেলায় বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ থেকে ৩শ’ মিটারের মধ্যে অবৈধ ইটভাটা রয়েছে অর্ধশতাধিক। সূত্র জানায়, চলতি মার্চ মাসে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৭টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ অভিযান চালান হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার মেসার্স আয়েশা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটিতে। সেটি গুঁড়িয়ে দেয়াসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর বাইরে গত বছরের নভেম্বরে আরও ১টি ইটভাটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আর এই বছরের প্রথম থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মাহথীর বিন মোহাম্মদ জানান, পরিবেশ দূষণরোধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই ধরনের ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। জনবগণি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ ইটভাটাগুলোর দূরত্বগত অবস্থান বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে জেলার সমস্ত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে।