বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়– বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনিন্দিতা দত্তকে আজ রোববার দুপুরে একদল মানুষ হেনস্তা করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনার এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।
অনিন্দিতা দত্ত সাবেক উপাচার্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পেছনে কুমিল্লার চান্দিনার একজন বাসিন্দা জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিন্দিতা দত্তকে নাজেহাল করার জন্য বহিরাগতরা জড়ো হয়েছিল। অনিন্দিতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লক থেকে বি ব্লকের দিকে যাওয়ার সময় তিন ব্যক্তি তাঁর পথ আগলে ধরে ও তাঁদের সঙ্গে যেতে বলেন। তাঁরা হুমকি দেন, না গেলে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা হবে। অনিন্দিতা তাঁদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটির পাশাপাশি মুঠোফোনে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের সহায়তায় নিজ বিভাগে চলে যান। এ সময় সেখানে বহু মানুষ জড়ো হয়।
প্রায় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তিনি নিজ বিভাগে অবস্থান করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত জানতে চাইলে অনিন্দিতা দত্ত বলেন, সজল কর নামের এক ব্যক্তি ও একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের সেগুনবাগিচা ও শাহবাগ থানার নেতারা এতে জড়িত। তাঁর দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকে সজল কর তাঁদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও অর্থ দাবি করে আসছেন।
সজল কর পেশায় আয়কর আইনজীবী। তিনি জানান, অনিন্দিতা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেছিলেন এবং তিনি সেগুনবাগিচার একজনকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। তবে মব তৈরি বা মানুষ জড়ো করার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে অনিন্দিতা দত্ত বলেন, তিনি সজল করকে কখনো দেখেননি এবং তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেননি।
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়– বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনিন্দিতা দত্তকে আজ রোববার দুপুরে একদল মানুষ হেনস্তা করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনার এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।
অনিন্দিতা দত্ত সাবেক উপাচার্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পেছনে কুমিল্লার চান্দিনার একজন বাসিন্দা জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিন্দিতা দত্তকে নাজেহাল করার জন্য বহিরাগতরা জড়ো হয়েছিল। অনিন্দিতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লক থেকে বি ব্লকের দিকে যাওয়ার সময় তিন ব্যক্তি তাঁর পথ আগলে ধরে ও তাঁদের সঙ্গে যেতে বলেন। তাঁরা হুমকি দেন, না গেলে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা হবে। অনিন্দিতা তাঁদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটির পাশাপাশি মুঠোফোনে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের সহায়তায় নিজ বিভাগে চলে যান। এ সময় সেখানে বহু মানুষ জড়ো হয়।
প্রায় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তিনি নিজ বিভাগে অবস্থান করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত জানতে চাইলে অনিন্দিতা দত্ত বলেন, সজল কর নামের এক ব্যক্তি ও একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের সেগুনবাগিচা ও শাহবাগ থানার নেতারা এতে জড়িত। তাঁর দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকে সজল কর তাঁদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও অর্থ দাবি করে আসছেন।
সজল কর পেশায় আয়কর আইনজীবী। তিনি জানান, অনিন্দিতা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেছিলেন এবং তিনি সেগুনবাগিচার একজনকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। তবে মব তৈরি বা মানুষ জড়ো করার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে অনিন্দিতা দত্ত বলেন, তিনি সজল করকে কখনো দেখেননি এবং তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেননি।