বরুড়া (কুমিল্লা) : দশ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল অবস্থায় সড়কটি -সংবাদ
কুমিল্লার বরুড়ায় পৌরশহরের কাসেড্ডা চৌমুহনী নামক এলাকা থেকে উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের গত ১০ বছর যাবত সংস্কারের কাজ না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে একদিকে ওই সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সিএনজি, অটোরিকশা এবং পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল অনেকাংশে হ্রাস পাওয়ায় যাত্রী সাধারণের চলাচলসহ নানা পণ্য পরিবহন ভাড়া আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা সদরের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী উপজেলায় জয়নগর, সুরিচো, চালিয়া, বাতাবাড়িয়া, খুগুয়া, কালামুড়ি, ভদ্রারপাড়সহ প্রায় সাতটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বরুড়া পৌরশহরের কাসেড্ডা চৌমুহনী থেকে উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কটি গত প্রায় ১৫ বছর আগে জনগনের যাতায়াতের সুবিধার্থে পাকা করণ করা হয়। সড়কটি নির্মাণের প্রায় চার বছর পরে এর বিভিন্ন স্থানে ইট পাথর উঠে যাওয়ায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্তগুলো পানি জমে খাদে পরিনত হয়। এছাড়া সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পাশের খাল এবং পুকুরে পড়ে গেছে। উঠে গেছে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে এজিনের ইট। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে মাটি ভাসা দেখা দিয়েছে।
এমতাবস্থায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ ওই অঞ্চলের ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা সিএনজি, অটোরিকশা এবং পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল কমে গেছে। বেড়েছে ২০ টাকার রিকশা ভাড়া ৫০ টাকা। একই কারণে কৃষকের উৎপাদিত ধান, চাল, ভুট্টা ও আলুসহ বিভিন্ন শস্য এবং খামারের মাছসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে ভাড়াও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমিরণ বৈদ্য, পল্লী চিকিৎস দিলীপ কুমার সরকার, অটোরিকশা চালক সেলিম মিয়া এবং কৃষক আবদুল খালেকসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই সড়কটি গত ১০ বছর যাবত ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। এটি মেরামত করে যাতায়াতে জন দুর্ভোগ লাঘবে এলজিইডি দপ্তরের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে এই অঞ্চলের ৭টি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রত্যহ যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি হলেই সড়কটি চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশাসহ কোনো যানবাহন এই সড়ক দিয়ে দুর্ঘটানার ভয়ে চলাচল করে না। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার নিমিত্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা অন্যত্র নেয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। শুষ্ক মৌসুমে পুরো সড়ক জুড়ে ধূলিময় বালু আর বালু। এ সময় সড়কটি দিয়ে হাঁটা-চলা করাঠাও খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সড়কটি অতি দ্রুত মেরামত করে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
সড়কটির বেহাল দশার ব্যাপারে জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সৈয়দ মো. জাকির হোসেন জানান, সড়কটি মেরামত করে জনদুর্ভোগ লাঘবে জিসিপি-৪ এ মেইন্টেনেন্সের জন্য তালিকাভুক্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
বরুড়া (কুমিল্লা) : দশ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল অবস্থায় সড়কটি -সংবাদ
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লার বরুড়ায় পৌরশহরের কাসেড্ডা চৌমুহনী নামক এলাকা থেকে উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের গত ১০ বছর যাবত সংস্কারের কাজ না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে একদিকে ওই সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সিএনজি, অটোরিকশা এবং পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল অনেকাংশে হ্রাস পাওয়ায় যাত্রী সাধারণের চলাচলসহ নানা পণ্য পরিবহন ভাড়া আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা সদরের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী উপজেলায় জয়নগর, সুরিচো, চালিয়া, বাতাবাড়িয়া, খুগুয়া, কালামুড়ি, ভদ্রারপাড়সহ প্রায় সাতটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বরুড়া পৌরশহরের কাসেড্ডা চৌমুহনী থেকে উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কটি গত প্রায় ১৫ বছর আগে জনগনের যাতায়াতের সুবিধার্থে পাকা করণ করা হয়। সড়কটি নির্মাণের প্রায় চার বছর পরে এর বিভিন্ন স্থানে ইট পাথর উঠে যাওয়ায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্তগুলো পানি জমে খাদে পরিনত হয়। এছাড়া সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পাশের খাল এবং পুকুরে পড়ে গেছে। উঠে গেছে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে এজিনের ইট। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে মাটি ভাসা দেখা দিয়েছে।
এমতাবস্থায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ ওই অঞ্চলের ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা সিএনজি, অটোরিকশা এবং পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল কমে গেছে। বেড়েছে ২০ টাকার রিকশা ভাড়া ৫০ টাকা। একই কারণে কৃষকের উৎপাদিত ধান, চাল, ভুট্টা ও আলুসহ বিভিন্ন শস্য এবং খামারের মাছসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে ভাড়াও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমিরণ বৈদ্য, পল্লী চিকিৎস দিলীপ কুমার সরকার, অটোরিকশা চালক সেলিম মিয়া এবং কৃষক আবদুল খালেকসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই সড়কটি গত ১০ বছর যাবত ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। এটি মেরামত করে যাতায়াতে জন দুর্ভোগ লাঘবে এলজিইডি দপ্তরের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে এই অঞ্চলের ৭টি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রত্যহ যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি হলেই সড়কটি চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশাসহ কোনো যানবাহন এই সড়ক দিয়ে দুর্ঘটানার ভয়ে চলাচল করে না। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার নিমিত্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা অন্যত্র নেয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। শুষ্ক মৌসুমে পুরো সড়ক জুড়ে ধূলিময় বালু আর বালু। এ সময় সড়কটি দিয়ে হাঁটা-চলা করাঠাও খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সড়কটি অতি দ্রুত মেরামত করে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
সড়কটির বেহাল দশার ব্যাপারে জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সৈয়দ মো. জাকির হোসেন জানান, সড়কটি মেরামত করে জনদুর্ভোগ লাঘবে জিসিপি-৪ এ মেইন্টেনেন্সের জন্য তালিকাভুক্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।