মাদক সেবী স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় স্ত্রী শিউলি বেগমকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তালা থানাপুলিশ ইতোমধ্যে আলতাফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে চলমান থাকায় আলতাফ বিশ্বাস ও তার লোকজন প্রতিনিয়ত স্ত্রী শিউলী বেগমকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে। পাষন্ড স্বামীর অব্যাহত হুমকি, চারিত্রিক কলঙ্ক প্রদান এবং শিশু কন্যাদের খাওয়া-পরা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে অসহায় স্ত্রী শিউলি বেগম।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের আমজেদ শেখের মেয়ে শিউলি বেগম বলেন, ২০০৩ সালে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী মাছিয়াড়া গ্রামের মালেক বিশ্বাসের ছেলে মো. আলতাফ বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শিউলি বেগম বলেন, আমার গর্ভে পরপর ৩টি কন্যা শিশু জন্মগ্রহণ করায় ক্ষেপে ওঠে স্বামী আলতাফ বিশ্বাস। একপর্যায়ে ৩ কন্যা তার জন্ম নয় দাবি করে বিভিন্ন সময়ে আমাকে সহ আমার মেয়েদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন থেকে রক্ষা করানোর জন্য বড় কন্যাকে বিয়ে দিয়ে এখন ২টি শিশু কন্যা মানুষ করছি!
তিনি বলেন, স্বামী আলতাফ হোসেন একজন মাদকসেবী এবং অন্যান্য মামলার আসামি। মাদক সেবন এবং মামলার খরচ চালানোর জন্য ২ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আমাকে বিভিন্ন সময়ে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমার হতদরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে সেই টাকা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় আমাকে প্রতিনিয়ত মারপিট করতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু ৩ কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি আবারও তার সঙ্গে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে থাকি।
কিন্তু কিছুদিন পর আমার স্বামী আবারও মাদকের সঙ্গে জুয়ায় আসক্ত হয়ে সংসারে সব নষ্ট করতে থাকে। এতে বাঁধা দিলে সে মারপিট করত এবং ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায় ৫ মাস আগে আমাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনায় আমি বাধ্য হয়ে স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলার তদন্ত করে তালা থানাপুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ওই মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় আমার স্বামী আলতাফ বিশ্বাস বরিশালের এক মেয়েকে আমার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেছে।
শিউলি বেগম বলেন, স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের পুনরায় বিয়ে, যৌতুকের দাবিতে আমাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা, আমাকে খাওয়া-পরা না দেয়া, কন্যা সন্তানদের জন্মদানের অস্বীকার করাসহ তার নানাবিধ অত্যাচারে বাধ্য হয়ে আমি তালা বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে কন্যাদের নিয়ে বসবাস করি এবং একটি ক্লিনিকে কাজ করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছি।
শিউলি বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালতে মামলা বিচারাধিন থাকায় জেলে যাওয়ার ভয়ে স্বামী আলতাফ বিশ্বাস ও তার মাদকসেবনের সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে। এমনকি, সামাজিক ভাবে আমাকে সহ আমার কন্যাদের অপদাস্থ করার জন্য স্বামী আলতাফ বিশ্বাসসহ তার মাদকসেবী বন্ধুরা বাহারুল ইসলামসহ আমার অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়দের জড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে অশ্লিল ও অকথ্য কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। স্বামী আলতাফ বিশ্বাস ও তার সহযোগীদের অত্যাচার, নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অসহায় নারী শিউলি বেগম প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
মাদক সেবী স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় স্ত্রী শিউলি বেগমকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তালা থানাপুলিশ ইতোমধ্যে আলতাফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে চলমান থাকায় আলতাফ বিশ্বাস ও তার লোকজন প্রতিনিয়ত স্ত্রী শিউলী বেগমকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে। পাষন্ড স্বামীর অব্যাহত হুমকি, চারিত্রিক কলঙ্ক প্রদান এবং শিশু কন্যাদের খাওয়া-পরা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে অসহায় স্ত্রী শিউলি বেগম।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের আমজেদ শেখের মেয়ে শিউলি বেগম বলেন, ২০০৩ সালে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী মাছিয়াড়া গ্রামের মালেক বিশ্বাসের ছেলে মো. আলতাফ বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শিউলি বেগম বলেন, আমার গর্ভে পরপর ৩টি কন্যা শিশু জন্মগ্রহণ করায় ক্ষেপে ওঠে স্বামী আলতাফ বিশ্বাস। একপর্যায়ে ৩ কন্যা তার জন্ম নয় দাবি করে বিভিন্ন সময়ে আমাকে সহ আমার মেয়েদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন থেকে রক্ষা করানোর জন্য বড় কন্যাকে বিয়ে দিয়ে এখন ২টি শিশু কন্যা মানুষ করছি!
তিনি বলেন, স্বামী আলতাফ হোসেন একজন মাদকসেবী এবং অন্যান্য মামলার আসামি। মাদক সেবন এবং মামলার খরচ চালানোর জন্য ২ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আমাকে বিভিন্ন সময়ে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমার হতদরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে সেই টাকা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় আমাকে প্রতিনিয়ত মারপিট করতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু ৩ কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি আবারও তার সঙ্গে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে থাকি।
কিন্তু কিছুদিন পর আমার স্বামী আবারও মাদকের সঙ্গে জুয়ায় আসক্ত হয়ে সংসারে সব নষ্ট করতে থাকে। এতে বাঁধা দিলে সে মারপিট করত এবং ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায় ৫ মাস আগে আমাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনায় আমি বাধ্য হয়ে স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলার তদন্ত করে তালা থানাপুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ওই মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় আমার স্বামী আলতাফ বিশ্বাস বরিশালের এক মেয়েকে আমার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেছে।
শিউলি বেগম বলেন, স্বামী আলতাফ বিশ্বাসের পুনরায় বিয়ে, যৌতুকের দাবিতে আমাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা, আমাকে খাওয়া-পরা না দেয়া, কন্যা সন্তানদের জন্মদানের অস্বীকার করাসহ তার নানাবিধ অত্যাচারে বাধ্য হয়ে আমি তালা বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে কন্যাদের নিয়ে বসবাস করি এবং একটি ক্লিনিকে কাজ করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছি।
শিউলি বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালতে মামলা বিচারাধিন থাকায় জেলে যাওয়ার ভয়ে স্বামী আলতাফ বিশ্বাস ও তার মাদকসেবনের সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে। এমনকি, সামাজিক ভাবে আমাকে সহ আমার কন্যাদের অপদাস্থ করার জন্য স্বামী আলতাফ বিশ্বাসসহ তার মাদকসেবী বন্ধুরা বাহারুল ইসলামসহ আমার অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়দের জড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে অশ্লিল ও অকথ্য কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। স্বামী আলতাফ বিশ্বাস ও তার সহযোগীদের অত্যাচার, নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অসহায় নারী শিউলি বেগম প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।