দুমকি (পটুয়াখালী) : বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের মূল আকর্ষণ এই যুদ্ধবিমান -সংবাদ
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘ইউনিভার্সিটি চত্বরে স্থাপিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দিকনির্দেশক স্মারক যুদ্ধবিমানটি পুনরায় স্থাপিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন। বরিশাল-কুয়াকাটা এবং বরিশাল-বাউফল এই দুই সড়কের সংযোগস্থল লেবুখালী পাগলা গোলচত্বর থেকে এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমান নির্দেশনা দেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। এটি হবে এখন বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের মূল আকর্ষণ।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরপরই বিমানটি বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘ইউনিভার্সিটিথ চত্বরে পুনরায় স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবাহিনী কতৃপক্ষ একটি পত্রের মাধ্যমে অকেজো (চযধংবফ ঙঁঃ) ঋ৬ বিমান (ক্রমিক নম্বর-৪১২৫) পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্তের খবর জানান। ২০০৩ সালে উক্ত বিমানটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার দেয় বিমান বাহিনী। পরে সেটি বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক এলাকায় দিকনির্দেশক হিসেবে স্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য ২০২১ সালের ৬ মার্চ সন্ধ্যায় লেবুখালী নদীর উপরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে নিয়োজিত মাটি কাটার এক্সক্যাভেটর দিয়ে পায়রা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা এটি ভেঙে ফেলেছিল। তখন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্থানীয়রা। পটুয়াখালীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মনুমেন্টটি মেরামত করে আবার স্থাপন করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তখন লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিমও বলেছিলেন পায়রা সেতুর পটুয়াখালী প্রান্তের সড়কের এ্যাপ্রোচ নির্মাণকাজ করার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটা পরে ঠিক করা হবে। কিন্তু পরে আর তা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের আকাশসীমার সুরক্ষায় অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি কেনা হয়েছিল। এ মডেলের বিমানের ইঞ্জিন সাধারণত ভেতরেই থাকে। তবে এটিতে ইঞ্জিন নেই।
এছাড়া পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিমানটি মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়। পরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকনির্দেশক ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নিজ উদ্যোগে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে ২০০৩ সালে স্থাপন করা হয়। এটিকে আবারও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে ইউনিভার্সিটি স্কয়ারের যথাস্থানে স্থাপন করার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই যুদ্ধবিমানটি শুধু একটি স্মারক নয়, এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের অংশ।
এটি পুনরায় স্থাপিত হলে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ স্থানীয়দের আবেগ ও গর্বের প্রতিফলন ঘটবে।
দুমকি (পটুয়াখালী) : বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের মূল আকর্ষণ এই যুদ্ধবিমান -সংবাদ
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘ইউনিভার্সিটি চত্বরে স্থাপিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দিকনির্দেশক স্মারক যুদ্ধবিমানটি পুনরায় স্থাপিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন। বরিশাল-কুয়াকাটা এবং বরিশাল-বাউফল এই দুই সড়কের সংযোগস্থল লেবুখালী পাগলা গোলচত্বর থেকে এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমান নির্দেশনা দেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। এটি হবে এখন বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের মূল আকর্ষণ।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরপরই বিমানটি বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘ইউনিভার্সিটিথ চত্বরে পুনরায় স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবাহিনী কতৃপক্ষ একটি পত্রের মাধ্যমে অকেজো (চযধংবফ ঙঁঃ) ঋ৬ বিমান (ক্রমিক নম্বর-৪১২৫) পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্তের খবর জানান। ২০০৩ সালে উক্ত বিমানটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার দেয় বিমান বাহিনী। পরে সেটি বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক এলাকায় দিকনির্দেশক হিসেবে স্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য ২০২১ সালের ৬ মার্চ সন্ধ্যায় লেবুখালী নদীর উপরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে নিয়োজিত মাটি কাটার এক্সক্যাভেটর দিয়ে পায়রা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা এটি ভেঙে ফেলেছিল। তখন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্থানীয়রা। পটুয়াখালীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মনুমেন্টটি মেরামত করে আবার স্থাপন করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তখন লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিমও বলেছিলেন পায়রা সেতুর পটুয়াখালী প্রান্তের সড়কের এ্যাপ্রোচ নির্মাণকাজ করার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটা পরে ঠিক করা হবে। কিন্তু পরে আর তা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের আকাশসীমার সুরক্ষায় অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি কেনা হয়েছিল। এ মডেলের বিমানের ইঞ্জিন সাধারণত ভেতরেই থাকে। তবে এটিতে ইঞ্জিন নেই।
এছাড়া পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিমানটি মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়। পরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকনির্দেশক ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নিজ উদ্যোগে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে ২০০৩ সালে স্থাপন করা হয়। এটিকে আবারও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে ইউনিভার্সিটি স্কয়ারের যথাস্থানে স্থাপন করার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই যুদ্ধবিমানটি শুধু একটি স্মারক নয়, এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের অংশ।
এটি পুনরায় স্থাপিত হলে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ স্থানীয়দের আবেগ ও গর্বের প্রতিফলন ঘটবে।