সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় ফায়ার লাইন (শুকনা পাতা ও মাটি সরিয়ে তৈরি করা নালা) কাটা হয়েছে।
শনিবার সকালে কলমতেজী টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনের টেপার বিল এলাকায় ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা একত্রে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। তবে সন্ধ্যার পর তারা বন থেকে বের হয়ে আসে, কারণ আলো না থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত স্থানীয় মানুষ বন বিভাগের সঙ্গে মিলে শুকনা পাতা ও মাটি সরিয়ে ফায়ার লাইন তৈরি করেছেন। সন্ধ্যার আগেও বনের বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। তবে ঘন গাছপালার কারণে ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপ টেনে নেওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিকেলে বন বিভাগ ভোলা নদীতে নিজস্ব পাম্পমেশিন বসিয়ে পাইপ টানতে শুরু করে, তবে এখনো ঘটনাস্থল পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগা এলাকাটিতে বড় গাছ নেই, মূলত বলা বা বলই–জাতীয় গাছ রয়েছে। এসব গাছের শুকনা পাতা মাটির ওপরে পুরু আস্তরণ তৈরি করেছে, যা আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। রাতের বাতাসের কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের কর্মকর্তা আফতাদ-ই-আলম বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। এখনো কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। অর্ধেক পথ পর্যন্ত পাইপ টেনে নেওয়া সম্ভব হয়েছে, তবে আলো না থাকায় রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই, কারণ আগুনের চেয়ে ধোঁয়াই বেশি হচ্ছে। আগুন যাতে আর না ছড়ায়, সে জন্য চারপাশ থেকে শুকনা পাতা সরিয়ে সরু নালা তৈরি করা হয়েছে। তবে পাইপ এখনো আগুন লাগা এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সকালে পানি দিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় ফায়ার লাইন (শুকনা পাতা ও মাটি সরিয়ে তৈরি করা নালা) কাটা হয়েছে।
শনিবার সকালে কলমতেজী টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনের টেপার বিল এলাকায় ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা একত্রে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। তবে সন্ধ্যার পর তারা বন থেকে বের হয়ে আসে, কারণ আলো না থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত স্থানীয় মানুষ বন বিভাগের সঙ্গে মিলে শুকনা পাতা ও মাটি সরিয়ে ফায়ার লাইন তৈরি করেছেন। সন্ধ্যার আগেও বনের বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। তবে ঘন গাছপালার কারণে ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপ টেনে নেওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিকেলে বন বিভাগ ভোলা নদীতে নিজস্ব পাম্পমেশিন বসিয়ে পাইপ টানতে শুরু করে, তবে এখনো ঘটনাস্থল পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগা এলাকাটিতে বড় গাছ নেই, মূলত বলা বা বলই–জাতীয় গাছ রয়েছে। এসব গাছের শুকনা পাতা মাটির ওপরে পুরু আস্তরণ তৈরি করেছে, যা আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। রাতের বাতাসের কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের কর্মকর্তা আফতাদ-ই-আলম বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। এখনো কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। অর্ধেক পথ পর্যন্ত পাইপ টেনে নেওয়া সম্ভব হয়েছে, তবে আলো না থাকায় রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই, কারণ আগুনের চেয়ে ধোঁয়াই বেশি হচ্ছে। আগুন যাতে আর না ছড়ায়, সে জন্য চারপাশ থেকে শুকনা পাতা সরিয়ে সরু নালা তৈরি করা হয়েছে। তবে পাইপ এখনো আগুন লাগা এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সকালে পানি দিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।