ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার পর পালাতে গিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে উড়ে যায় একটি বাসের ছাদ। তবু থামেননি চালক। আতঙ্কিত যাত্রীদের নিয়ে বাসটি চালিয়ে যান আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।
ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে।
‘বরিশাল এক্সপ্রেসওয়ে’ নামের বাসটির এক যাত্রী জানান, বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। রাত ৮টার দিকে কামারখোলা রেল ফ্লাইওভারের ওপর প্রথমে একটি মাইক্রোবাস ও পরে একটি কভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলে চালক পেছনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে আরও বেপরোয়া হয়ে যান।
একপর্যায়ে শ্রীনগরের সমষপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লাগলে বাসের ছাদ উড়ে গিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। আতঙ্কিত যাত্রীরা বারবার থামাতে অনুরোধ করলেও চালক চালিয়ে যান প্রায় ৫ কিলোমিটার। পরে পদ্মা সেতুতে না গিয়ে বাসটি পাশের অন্ধকার গ্রামের রাস্তার দিকে ঢুকে পড়ে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে আহত ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি মাঝে মাঝে গতি কমালে তারা লাফিয়ে নামেন। একজনের মাথা ফেটে গেছে। আরেকজন লাফিয়ে কোথায় পড়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।”
পরে পদ্মা সেতু উত্তর থানা এলাকার কুমারভোগ এলাকায় বাসটি থামানো হয়। স্থানীয়রা ছিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার সামনে যাত্রীদের চিৎকার শুনে বাসটি আটকে দেন। এ সময় চালক পালিয়ে যান। বাসটিতে ২০-২৫ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসটি বর্তমানে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. জাকির হোসেন।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গুরুতর আহত একজনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার পর পালাতে গিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে উড়ে যায় একটি বাসের ছাদ। তবু থামেননি চালক। আতঙ্কিত যাত্রীদের নিয়ে বাসটি চালিয়ে যান আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।
ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে।
‘বরিশাল এক্সপ্রেসওয়ে’ নামের বাসটির এক যাত্রী জানান, বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। রাত ৮টার দিকে কামারখোলা রেল ফ্লাইওভারের ওপর প্রথমে একটি মাইক্রোবাস ও পরে একটি কভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলে চালক পেছনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে আরও বেপরোয়া হয়ে যান।
একপর্যায়ে শ্রীনগরের সমষপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লাগলে বাসের ছাদ উড়ে গিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। আতঙ্কিত যাত্রীরা বারবার থামাতে অনুরোধ করলেও চালক চালিয়ে যান প্রায় ৫ কিলোমিটার। পরে পদ্মা সেতুতে না গিয়ে বাসটি পাশের অন্ধকার গ্রামের রাস্তার দিকে ঢুকে পড়ে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে আহত ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি মাঝে মাঝে গতি কমালে তারা লাফিয়ে নামেন। একজনের মাথা ফেটে গেছে। আরেকজন লাফিয়ে কোথায় পড়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।”
পরে পদ্মা সেতু উত্তর থানা এলাকার কুমারভোগ এলাকায় বাসটি থামানো হয়। স্থানীয়রা ছিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার সামনে যাত্রীদের চিৎকার শুনে বাসটি আটকে দেন। এ সময় চালক পালিয়ে যান। বাসটিতে ২০-২৫ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসটি বর্তমানে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. জাকির হোসেন।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গুরুতর আহত একজনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।