alt

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

: শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে গত এক মাস ধরে এই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রসূতিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু স্বাস্থ্যসেবার সংকটই নয়, বরং নিম্নআয়ের মানুষ, বিশেষ করে চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি ও অবস) মেডিকেল ছুটিতে রয়েছেন, এবং অপর গাইনি চিকিৎসকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের মতো জরুরি সেবা পুরোপুরি বন্ধ। এছাড়া, হাসপাতালে ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এর ফলে সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে তারা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বেশি খরচ হচ্ছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে এই সেবা প্রায় বিনামূল্যে বা নামমাত্র খরচে পাওয়া যেত। অসচ্ছল পরিবারের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ জীবনযাত্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেকে দূরবর্তী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল বা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সময় ও অর্থের অপচয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি এবং শূন্য পদগুলোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রশ্ন তুলছে। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একজন গাইনি চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করা এবং তিনি ছুটিতে থাকলে সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পনার ঘাটতির প্রমাণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদগুলো পূরণ করা, বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশন পুনরায় চালু করা।

শ্রীমঙ্গলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের জন্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করা একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে গত এক মাস ধরে এই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রসূতিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু স্বাস্থ্যসেবার সংকটই নয়, বরং নিম্নআয়ের মানুষ, বিশেষ করে চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি ও অবস) মেডিকেল ছুটিতে রয়েছেন, এবং অপর গাইনি চিকিৎসকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের মতো জরুরি সেবা পুরোপুরি বন্ধ। এছাড়া, হাসপাতালে ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এর ফলে সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে তারা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বেশি খরচ হচ্ছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে এই সেবা প্রায় বিনামূল্যে বা নামমাত্র খরচে পাওয়া যেত। অসচ্ছল পরিবারের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ জীবনযাত্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেকে দূরবর্তী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল বা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সময় ও অর্থের অপচয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি এবং শূন্য পদগুলোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রশ্ন তুলছে। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একজন গাইনি চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করা এবং তিনি ছুটিতে থাকলে সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পনার ঘাটতির প্রমাণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদগুলো পূরণ করা, বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশন পুনরায় চালু করা।

শ্রীমঙ্গলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের জন্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করা একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

back to top