alt

সম্পাদকীয়

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

: শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মায়াঘাঁসি এলাকায় বন্যহাতির পালের আগমন স্থানীয় কৃষকরে জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, ৫০-৫৫টি হাতির একটি পাল গত কয়েক দিন ধরে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে বোরো ধানের খেতে ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ ঘটনা মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের একটি উাহরণ।

হাতিরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে, কারণ তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বন উজাড়, কৃষি সম্প্রসারণ ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে হাতিদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে গ্রামের ফসলে হানা দিচ্ছে।

বন বিভাগের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হাতিদের জঙ্গলে ফিরিয়ে নেওয়া এবং গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ। আগুন জ্বালানো, পটকা ফোটানো বা হইহুল্লোড়ের মতো অস্থায়ী সমাধান দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পদ্ধতিগুলো হাতিদের মধ্যে আগ্রাসন বাড়াতে পারে, যা মানুষের জন্য আরও বিপজ্জনক হতে পারে।

সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন। হাতিদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করতে হবে। বনাঞ্চলের সংরক্ষণ, করিডোর স্থাপন এবং অবৈধ বন উজাড় বন্ধে কঠোর পক্ষেপ নেওয়া জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় করে হাতি-মানুষ সংঘাত নিরসনে কার্যকর কৌশল নিতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি, যেমন সৌরবিুদ্যৎচালিত বেড়া বা সেন্সর-ভিত্তিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, ফসলের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। হাতিরা বাস্তুতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সুরক্ষা এবং কৃষকদের জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করার পথ খুঁজতে হবে।

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মায়াঘাঁসি এলাকায় বন্যহাতির পালের আগমন স্থানীয় কৃষকরে জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, ৫০-৫৫টি হাতির একটি পাল গত কয়েক দিন ধরে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে বোরো ধানের খেতে ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ ঘটনা মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের একটি উাহরণ।

হাতিরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে, কারণ তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বন উজাড়, কৃষি সম্প্রসারণ ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে হাতিদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে গ্রামের ফসলে হানা দিচ্ছে।

বন বিভাগের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হাতিদের জঙ্গলে ফিরিয়ে নেওয়া এবং গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ। আগুন জ্বালানো, পটকা ফোটানো বা হইহুল্লোড়ের মতো অস্থায়ী সমাধান দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পদ্ধতিগুলো হাতিদের মধ্যে আগ্রাসন বাড়াতে পারে, যা মানুষের জন্য আরও বিপজ্জনক হতে পারে।

সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন। হাতিদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করতে হবে। বনাঞ্চলের সংরক্ষণ, করিডোর স্থাপন এবং অবৈধ বন উজাড় বন্ধে কঠোর পক্ষেপ নেওয়া জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় করে হাতি-মানুষ সংঘাত নিরসনে কার্যকর কৌশল নিতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি, যেমন সৌরবিুদ্যৎচালিত বেড়া বা সেন্সর-ভিত্তিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, ফসলের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। হাতিরা বাস্তুতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সুরক্ষা এবং কৃষকদের জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করার পথ খুঁজতে হবে।

back to top