গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ
গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিওয়ানা ফারজানা (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে বগুড়ার দুঁপচাচিয়ার তালোড়া বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার জয়পুরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আক্কেলপুর থানার উপপরির্দশক (এসআই) গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিওয়ানা ফারজানা এজেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর থেকে এই শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি আক্কেলপুর পৌরশহরের হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। প্রতারিত আর অন্তত ১০-১২ জন গ্রাহক মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এপর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে বলে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানিয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ধরা পড়ে। ঘটনার দিন ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা অকপটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে গ্রাহকদের সামনে স্বীকার করেন। তিনি আত্মসাত করা টাকায় গ্রামে জমি-জমা ক্রয়, বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি বন্ধকী ও পুকুর খনন করার কথা জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার স্বীকারোক্তির ভিড়িওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতেই পুলিশ এজেন্ট ব্যাংকের কার্যালয় থেকে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, ব্যবস্থাপক রিওয়ানা ফারজানা ও এজেন্টের মালিক জাহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। একজন গ্রাহক তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একদিন পর তাদের সবাইকে আদালত জামিন দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার দুই জন উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ও গোলাম রাব্বী তদন্ত করে গেছেন।
সার্ভারের সমস্যা কথা বলে তাদের কাছে একাধিক বার ফিঙ্গার ও জমা ভাউচারে ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের চেক দিয়ে স্থায়ী আমানতের টাকা আতœসাৎ করা হয়েছে। উদ্বিগ্ন গ্রাহকেরা টাকা ফেরতের আশায় প্রতিদিন ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখায় ধর্না দিচ্ছেন। ঘটনার পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
প্রতারিত গ্রাহকদের পক্ষে আব্দুস ছালাম ম-ল বলেন, এ পর্যন্ত তিন কোটির অধিক টাকা আত্মসাৎ করার হিসাব পেয়েছি। এজেন্ট মালিকের জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও। এই টাকা কিভাবে সারানো হয়েছে সেটা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তাদের জানার কথা।
আক্কেলপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) গোলাম রব্বানী বলেন, ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। রোববার রাতে দুঁপচাচিয়ার তালোড়া বোনের বাড়ি থেকে আসামি এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিওয়ানা ফারজানা (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে বগুড়ার দুঁপচাচিয়ার তালোড়া বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার জয়পুরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আক্কেলপুর থানার উপপরির্দশক (এসআই) গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিওয়ানা ফারজানা এজেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর থেকে এই শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি আক্কেলপুর পৌরশহরের হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। প্রতারিত আর অন্তত ১০-১২ জন গ্রাহক মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এপর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে বলে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানিয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ধরা পড়ে। ঘটনার দিন ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা অকপটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে গ্রাহকদের সামনে স্বীকার করেন। তিনি আত্মসাত করা টাকায় গ্রামে জমি-জমা ক্রয়, বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি বন্ধকী ও পুকুর খনন করার কথা জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার স্বীকারোক্তির ভিড়িওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতেই পুলিশ এজেন্ট ব্যাংকের কার্যালয় থেকে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, ব্যবস্থাপক রিওয়ানা ফারজানা ও এজেন্টের মালিক জাহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। একজন গ্রাহক তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একদিন পর তাদের সবাইকে আদালত জামিন দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার দুই জন উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ও গোলাম রাব্বী তদন্ত করে গেছেন।
সার্ভারের সমস্যা কথা বলে তাদের কাছে একাধিক বার ফিঙ্গার ও জমা ভাউচারে ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের চেক দিয়ে স্থায়ী আমানতের টাকা আতœসাৎ করা হয়েছে। উদ্বিগ্ন গ্রাহকেরা টাকা ফেরতের আশায় প্রতিদিন ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখায় ধর্না দিচ্ছেন। ঘটনার পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
প্রতারিত গ্রাহকদের পক্ষে আব্দুস ছালাম ম-ল বলেন, এ পর্যন্ত তিন কোটির অধিক টাকা আত্মসাৎ করার হিসাব পেয়েছি। এজেন্ট মালিকের জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও। এই টাকা কিভাবে সারানো হয়েছে সেটা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তাদের জানার কথা।
আক্কেলপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) গোলাম রব্বানী বলেন, ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। রোববার রাতে দুঁপচাচিয়ার তালোড়া বোনের বাড়ি থেকে আসামি এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।