চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরির পূর্ব মালিয়ারায় মসজিদ নিয়ে বিরোধের কারণে সংঘর্ষে রক্তাত্ব আহত হওয়ার পরেও থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীর চাপে মামলা না নেয়ার অভিযোগ পটিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত ১৮ এপ্রিল জুমার নামাজের পরপরই সংঘটিত এক নির্মম হামলার ঘটনা এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ- এর ভেতর প্রবেশ করে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিরীহ তিনজনের উপর নৃশংসভাবে আক্রমণ চালায়। ঘটনার ৫/৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পটিয়া থানা এখনো মামলা রুজু করেনি, বরং অভিযোগ রয়েছে থানা প্রশাসন এজাহার গ্রহণে টালবাহানা করছে এবং অভিযুক্তদের রক্ষা করছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. আবদুল্লাহ (৩৮), প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব মালিয়ারার বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একটি পক্ষ নিয়মিত মসজিদে জুমার নামাজ পড়া, মসজিদের স্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাইলেও অপরপক্ষ রাজনৈতিক মদদে নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় মসজিদের প্রশাসনিক কাঠামো। এই বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার, দুপুর আনুমানিক ২টা ০৫ মিনিটে নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ৬ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় হাজী ছৈয়দুল হক (৭৫), তার জামাতা আলী আজগর (৫০) এবং জেটি মা মরিয়ম বেগম (৬০) আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায় সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), সেকান্দর হোসেন ডেবিট (৩০), সোলায়মান (৪৫), মো. মুন্না (৩৩), মো. সেলিম (২৫), মো. হাবিব (৩৪) সহ মিলে রড, দা, লাঠিসহ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় ছৈয়দুল হকের বাম হাতে কোপ পড়ে, প্রচ- রক্তক্ষরণ হয়। আলী আজগরের হাঁটুর নিচে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। মরিয়ম বেগমকেও রেহাই দেয়া হয়নি তাকে ঘাড়ে ও পিঠে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলার সময় ৪ ও ৫ নম্বর অভিযুক্ত মুন্না ও সেলিম আহতদের পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘মামলা করলে আর রেহাই নাই, এবার যা হয়েছে সামান্য, পরের বার খুন করে ফেলবো।’ চিকিৎসা ও প্রাথমিক উদ্ধারে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তিনজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ বলেন, হামলার পর থানায় বিচার পেয়ে অভিযোগ করা হলেও থানা পুলিশ কেনো ধরনের সহযোগিতা করেনি, যার কারণে ডিআইজি মহোদয়ের কাছে গত ২১ এপ্রিল লিখিতভাবে আবেদন করেছি।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরির পূর্ব মালিয়ারায় মসজিদ নিয়ে বিরোধের কারণে সংঘর্ষে রক্তাত্ব আহত হওয়ার পরেও থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীর চাপে মামলা না নেয়ার অভিযোগ পটিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত ১৮ এপ্রিল জুমার নামাজের পরপরই সংঘটিত এক নির্মম হামলার ঘটনা এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ- এর ভেতর প্রবেশ করে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিরীহ তিনজনের উপর নৃশংসভাবে আক্রমণ চালায়। ঘটনার ৫/৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পটিয়া থানা এখনো মামলা রুজু করেনি, বরং অভিযোগ রয়েছে থানা প্রশাসন এজাহার গ্রহণে টালবাহানা করছে এবং অভিযুক্তদের রক্ষা করছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. আবদুল্লাহ (৩৮), প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব মালিয়ারার বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একটি পক্ষ নিয়মিত মসজিদে জুমার নামাজ পড়া, মসজিদের স্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাইলেও অপরপক্ষ রাজনৈতিক মদদে নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় মসজিদের প্রশাসনিক কাঠামো। এই বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার, দুপুর আনুমানিক ২টা ০৫ মিনিটে নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ৬ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় হাজী ছৈয়দুল হক (৭৫), তার জামাতা আলী আজগর (৫০) এবং জেটি মা মরিয়ম বেগম (৬০) আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায় সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), সেকান্দর হোসেন ডেবিট (৩০), সোলায়মান (৪৫), মো. মুন্না (৩৩), মো. সেলিম (২৫), মো. হাবিব (৩৪) সহ মিলে রড, দা, লাঠিসহ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় ছৈয়দুল হকের বাম হাতে কোপ পড়ে, প্রচ- রক্তক্ষরণ হয়। আলী আজগরের হাঁটুর নিচে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। মরিয়ম বেগমকেও রেহাই দেয়া হয়নি তাকে ঘাড়ে ও পিঠে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলার সময় ৪ ও ৫ নম্বর অভিযুক্ত মুন্না ও সেলিম আহতদের পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘মামলা করলে আর রেহাই নাই, এবার যা হয়েছে সামান্য, পরের বার খুন করে ফেলবো।’ চিকিৎসা ও প্রাথমিক উদ্ধারে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তিনজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ বলেন, হামলার পর থানায় বিচার পেয়ে অভিযোগ করা হলেও থানা পুলিশ কেনো ধরনের সহযোগিতা করেনি, যার কারণে ডিআইজি মহোদয়ের কাছে গত ২১ এপ্রিল লিখিতভাবে আবেদন করেছি।