বিগত ১২ বছর যাবত কসবার কুটি-চৌমূহনীতে সপ্তাহে প্রতি রবিবার গরু ছাগল ও মহিষের হাট বসিয়ে কমপক্ষে ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে একটি প্রভাবশালি গোষ্ঠির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়াই এই অপকর্ম চলে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি জনৈক আমির হোসেন নামক এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ পেশ করে স্থানীয় প্রেসকাøাবে অনুলিপি দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। হতবম্ভ হয়ে যায় সচেতন নাগরিক সমাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০১২ সাল থেকে এই গরুর হাটটি ইজারা ছাড়াই চলে আসছে। কসবা উপজেলার মধ্যে এই হাটটিই এখন জেলার অন্যতম প্রধান গরুর হাট বলে পরিচিত । অতচ এর নেই কোনো সরকারী অনুমোদন।
কসবা উপজেলার কুটি-ইউনিয়নের কুটি-চৌমূহনীতে অবৈধভাবে গরু,ছাগল ও মহীষের হাট বসিয়ে লুটপাট করে নিচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকলিল আজম,আওয়ামী লীগ কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাক আহম্মদ,শামিম রেজা,তজু মেম্বারসহ কয়েক ডজন ব্যক্তি এই বাজারের শেয়ার হোল্ডার। এই হাটের কোনো অনুমোদন নেই জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে।
জানা যায় ২০২২ সালে এ বিষয়ে এক সাংবাদিক এই হাট নিয়ে তৎকালীন নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানিয়ে ছিলেন , এই হাটটি সরাসরি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের স্বজনরা পরিচালনা করছে।
এ বিষয় নিয়ে ওই সাংবাদিককে মাথা না ঘামাতে অনুরোধ করেন। মাথা ঘামালে মাথা কাটা যাবে বলে মাসুদ উল আলম ওই সাংবাদিককে হুমকি দেন। মাসুদুল আলম কসবা থেকে বদলী হয়ে গেলে আইনমন্ত্রী তাকে পুনরায় ব্যক্তিগত সহকারী(এপিএস) হিসেবে নিয়োগ দেন।
কসবা উপজেলায় পৌরসভা ব্যতিত মোট ২৯টি গরু,ছাগল ও মহিষের হাট রয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য ১ বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা প্রদানের লক্ষে ২৯টি হাটের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। ওই দরপত্রে কুটি-চৌমূহনীর গরু,ছাগল ও মহিষের হাটটি নেই।
নয়নপুর গরুর হাটের ইজারাদার এবং নয়নপুর ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর বলেন,এই অবৈধ হাটটির জন্য প্রতিবছর আমাদের লোকসান হচ্ছে। তিনি জানান বাংলা ১৪৩০ সালে ৫০ লাখ ও ১৪৩১ সালে ৮০ লাখ টাকা লোকসান দিতে হয়েছে।কোরবানীর ঈদের সময় স্থানীয় প্রশাসন এরকম বহু হাটের অনুমতি দিয়ে থাকে। এতে বৈধ হাটের ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বিএনপির সাধারন সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন বলেন, পতিত সরকারের আমলে এই অবৈধহাটের জন্ম। অনুমতি ব্যতিত কীভাবে বিগত ১৩ বছর যাবত হাটটি কিভাবে চালু রয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি এসমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। এ বিষয়ে কুটি-চৌমূহনী গরু, ছাগল ও মহিষের হাট সম্পর্কে হাটের শেয়ার হোল্ডার বিএনপির নেতা ইকলিল আজম ও আওয়ামীলীগ নেতা তজু মেম্বার বলেন,বাজারটি সরকারী ভাবে নেওয়ার জন্য বিগত ৫ বছর পূর্বে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাসুদ উল আলমের নিকট কাগজ পত্র জমা দিয়ে রেখেছি ।তিনি কসবা থেকে আইনমন্ত্রীর এপিএস হওয়ার পর বাজার অনুমোদনের বিষয়টি তিনি নিজেই থেখবেন বলে জানিয়ে ছিলেন।
এ বিষয়ে বর্তমানে দায়িত্বরত কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ছামিউল ইসলামের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুটি-চৌমূহনী গরু, ছাগল ও মহিষের হাট থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটাকে আমরা যাতে অনুমোদিত বাজার হিসাবে রাজস্ব আদায় করা যায় এজন্য আমরা এটিকে প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসবো। বাজারের পাশেই সরকারী জায়গা রয়েছে । আমরা বাজারটিকে এই স্থানে স্থানান্তর করবো।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
বিগত ১২ বছর যাবত কসবার কুটি-চৌমূহনীতে সপ্তাহে প্রতি রবিবার গরু ছাগল ও মহিষের হাট বসিয়ে কমপক্ষে ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে একটি প্রভাবশালি গোষ্ঠির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়াই এই অপকর্ম চলে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি জনৈক আমির হোসেন নামক এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ পেশ করে স্থানীয় প্রেসকাøাবে অনুলিপি দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। হতবম্ভ হয়ে যায় সচেতন নাগরিক সমাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০১২ সাল থেকে এই গরুর হাটটি ইজারা ছাড়াই চলে আসছে। কসবা উপজেলার মধ্যে এই হাটটিই এখন জেলার অন্যতম প্রধান গরুর হাট বলে পরিচিত । অতচ এর নেই কোনো সরকারী অনুমোদন।
কসবা উপজেলার কুটি-ইউনিয়নের কুটি-চৌমূহনীতে অবৈধভাবে গরু,ছাগল ও মহীষের হাট বসিয়ে লুটপাট করে নিচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকলিল আজম,আওয়ামী লীগ কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাক আহম্মদ,শামিম রেজা,তজু মেম্বারসহ কয়েক ডজন ব্যক্তি এই বাজারের শেয়ার হোল্ডার। এই হাটের কোনো অনুমোদন নেই জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে।
জানা যায় ২০২২ সালে এ বিষয়ে এক সাংবাদিক এই হাট নিয়ে তৎকালীন নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানিয়ে ছিলেন , এই হাটটি সরাসরি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের স্বজনরা পরিচালনা করছে।
এ বিষয় নিয়ে ওই সাংবাদিককে মাথা না ঘামাতে অনুরোধ করেন। মাথা ঘামালে মাথা কাটা যাবে বলে মাসুদ উল আলম ওই সাংবাদিককে হুমকি দেন। মাসুদুল আলম কসবা থেকে বদলী হয়ে গেলে আইনমন্ত্রী তাকে পুনরায় ব্যক্তিগত সহকারী(এপিএস) হিসেবে নিয়োগ দেন।
কসবা উপজেলায় পৌরসভা ব্যতিত মোট ২৯টি গরু,ছাগল ও মহিষের হাট রয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য ১ বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা প্রদানের লক্ষে ২৯টি হাটের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। ওই দরপত্রে কুটি-চৌমূহনীর গরু,ছাগল ও মহিষের হাটটি নেই।
নয়নপুর গরুর হাটের ইজারাদার এবং নয়নপুর ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর বলেন,এই অবৈধ হাটটির জন্য প্রতিবছর আমাদের লোকসান হচ্ছে। তিনি জানান বাংলা ১৪৩০ সালে ৫০ লাখ ও ১৪৩১ সালে ৮০ লাখ টাকা লোকসান দিতে হয়েছে।কোরবানীর ঈদের সময় স্থানীয় প্রশাসন এরকম বহু হাটের অনুমতি দিয়ে থাকে। এতে বৈধ হাটের ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বিএনপির সাধারন সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন বলেন, পতিত সরকারের আমলে এই অবৈধহাটের জন্ম। অনুমতি ব্যতিত কীভাবে বিগত ১৩ বছর যাবত হাটটি কিভাবে চালু রয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি এসমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। এ বিষয়ে কুটি-চৌমূহনী গরু, ছাগল ও মহিষের হাট সম্পর্কে হাটের শেয়ার হোল্ডার বিএনপির নেতা ইকলিল আজম ও আওয়ামীলীগ নেতা তজু মেম্বার বলেন,বাজারটি সরকারী ভাবে নেওয়ার জন্য বিগত ৫ বছর পূর্বে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাসুদ উল আলমের নিকট কাগজ পত্র জমা দিয়ে রেখেছি ।তিনি কসবা থেকে আইনমন্ত্রীর এপিএস হওয়ার পর বাজার অনুমোদনের বিষয়টি তিনি নিজেই থেখবেন বলে জানিয়ে ছিলেন।
এ বিষয়ে বর্তমানে দায়িত্বরত কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ছামিউল ইসলামের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুটি-চৌমূহনী গরু, ছাগল ও মহিষের হাট থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটাকে আমরা যাতে অনুমোদিত বাজার হিসাবে রাজস্ব আদায় করা যায় এজন্য আমরা এটিকে প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসবো। বাজারের পাশেই সরকারী জায়গা রয়েছে । আমরা বাজারটিকে এই স্থানে স্থানান্তর করবো।