বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। গত শনিবার থেকে ৫ দিন ধরে রোগীদের ব্যবহার করার জন্য পানি নেই হাসপাতালে। যেই কারণে নদী ও পুকুর থেকে রোগীদের স্বজনরা পানি এনে ব্যবহার করছেন টয়েলেটে। সুপেয় খাবার পানি কিনে আনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এতে করে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে বর্তমানে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথচ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র মাধ্যম এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
সম্প্রতি সরেজমিনে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে ডাক্তার সংকটে ২০২২ সাল থেকে অপারেশন বন্ধ, অপারেশন থিয়েটারে ঝুলছে তালা। শুধু জরুরি বিভাগে ছোট-খাটো কাটা ছেড়া সেলাই ছাড়া হয় না কোন বড় ধরনের অপারেশন। এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আল্ট্রাসনোগ্রাম কিছুদিন চালু থাকলেও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এই নিয়ে গোটা হাসপাতলে এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এতে করে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালের মহিলা বেডে ভর্তিকৃত রোগী পারুল বেগম, শিমা আক্তার, নাসিমা বেগম, প্রতিবন্ধী সুমাইয়া এবং এক রোগীর স্বজন ফারুক মল্লিকসহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন, টয়েলেট অপরিষ্কার আর দুর্গন্ধ। বদনাটারও তলা ফাটা। এগুলো দেখারও কি কেউ নেই। নিজেদের ব্যবহারের পানি নদী ও পুকুর থেকে বোতলে করে এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। খাবার পানি তাও দোকান থেকে কিনে এনে খাচ্ছি।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ব্যবহারের পানি তোলার ৩টি মটরের মধ্যে ২টি মটর অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
১টি মটর চালু থাকলেও সেটি বজ্রপাতে নষ্ট হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে রোগীদের জন্য ২টি ড্রামে সকাল বিকেল পানি রেখে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, হাসপাতালের রোগীদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। গত শনিবার থেকে ৫ দিন ধরে রোগীদের ব্যবহার করার জন্য পানি নেই হাসপাতালে। যেই কারণে নদী ও পুকুর থেকে রোগীদের স্বজনরা পানি এনে ব্যবহার করছেন টয়েলেটে। সুপেয় খাবার পানি কিনে আনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এতে করে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে বর্তমানে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথচ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র মাধ্যম এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
সম্প্রতি সরেজমিনে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে ডাক্তার সংকটে ২০২২ সাল থেকে অপারেশন বন্ধ, অপারেশন থিয়েটারে ঝুলছে তালা। শুধু জরুরি বিভাগে ছোট-খাটো কাটা ছেড়া সেলাই ছাড়া হয় না কোন বড় ধরনের অপারেশন। এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আল্ট্রাসনোগ্রাম কিছুদিন চালু থাকলেও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এই নিয়ে গোটা হাসপাতলে এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এতে করে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালের মহিলা বেডে ভর্তিকৃত রোগী পারুল বেগম, শিমা আক্তার, নাসিমা বেগম, প্রতিবন্ধী সুমাইয়া এবং এক রোগীর স্বজন ফারুক মল্লিকসহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন, টয়েলেট অপরিষ্কার আর দুর্গন্ধ। বদনাটারও তলা ফাটা। এগুলো দেখারও কি কেউ নেই। নিজেদের ব্যবহারের পানি নদী ও পুকুর থেকে বোতলে করে এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। খাবার পানি তাও দোকান থেকে কিনে এনে খাচ্ছি।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ব্যবহারের পানি তোলার ৩টি মটরের মধ্যে ২টি মটর অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
১টি মটর চালু থাকলেও সেটি বজ্রপাতে নষ্ট হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে রোগীদের জন্য ২টি ড্রামে সকাল বিকেল পানি রেখে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, হাসপাতালের রোগীদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।