খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ফুলবাড়ি গেট এলাকায় এই হামলা হয়। আহত চার শিক্ষার্থী বর্তমানে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওবাইদুল্লাহ, গালিব রাহাত, শেখ মুজাহিদ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোহন। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের সহপাঠীরা।
কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, “ফুলবাড়ি গেটের কাছে রাত আটটার দিকে খাবার খেতে গেলে ১২ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাদের চারজনের ওপর হামলা চালায়। তারা চিৎকার করে বলছিল, ‘ভিসি মাছুদকে কেন নামাইছিস’, এরপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।” হামলায় শিক্ষার্থীদের হাত-পায়ে আঘাত লেগেছে এবং রক্তক্ষরণ হয়েছে।
কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো. আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, "ফুলবাড়ি গেটে স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঝামেলার ঘটনা ঘটেছে। চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং তারা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি আবাসিক হল ও একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে অবশেষে কুয়েটের উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহউপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ফুলবাড়ি গেট এলাকায় এই হামলা হয়। আহত চার শিক্ষার্থী বর্তমানে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওবাইদুল্লাহ, গালিব রাহাত, শেখ মুজাহিদ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোহন। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের সহপাঠীরা।
কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, “ফুলবাড়ি গেটের কাছে রাত আটটার দিকে খাবার খেতে গেলে ১২ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাদের চারজনের ওপর হামলা চালায়। তারা চিৎকার করে বলছিল, ‘ভিসি মাছুদকে কেন নামাইছিস’, এরপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।” হামলায় শিক্ষার্থীদের হাত-পায়ে আঘাত লেগেছে এবং রক্তক্ষরণ হয়েছে।
কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো. আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, "ফুলবাড়ি গেটে স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঝামেলার ঘটনা ঘটেছে। চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং তারা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি আবাসিক হল ও একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে অবশেষে কুয়েটের উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহউপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।