পটুয়াখালীর দুমকিতে গ্রামের বাড়িতে আজ কলেজছাত্রী মেয়েটিকে (১৭) তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
আজ রোববার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা ইতিমধ্যে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাড়ির আঙিনায় তার বৃদ্ধ দাদা একাই কবর খুঁড়ছেন।
কলেজছাত্রীর দাদা বলেন, গতকাল সকালে নাতনির সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। জেলা প্রশাসকের দেওয়া সহায়তার টাকা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু রাত ১০টায় ছেলে (চাচা) ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন। তিনি বলেন, "জুলাই আন্দোলনে ছেলেকে হারালাম, তারপর নাতনি ধর্ষণের শিকার হলো। ভেবেছিলাম সে বাঁচবে, কিন্তু সেও চলে গেল।"
কলেজছাত্রীর চাচা জানান, গত রাত ১১টায় তার ভাতিজি আত্মহত্যা করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুপুর ১২টায় মরদেহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়।
গণ অধিকার পরিষদের শহিদুল ইসলাম বলেন, "মরদেহ নিয়ে আমরা রওনা হয়েছি, পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।"
মেয়েটির মা জানান, জুলাই আন্দোলনে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর ১৮ মার্চ মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও করে শেয়ার করার হুমকি দেয়। ২০ মার্চ মামলা করা হয় এবং দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে গ্রামের বাড়িতে আজ কলেজছাত্রী মেয়েটিকে (১৭) তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
আজ রোববার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা ইতিমধ্যে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাড়ির আঙিনায় তার বৃদ্ধ দাদা একাই কবর খুঁড়ছেন।
কলেজছাত্রীর দাদা বলেন, গতকাল সকালে নাতনির সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। জেলা প্রশাসকের দেওয়া সহায়তার টাকা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু রাত ১০টায় ছেলে (চাচা) ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন। তিনি বলেন, "জুলাই আন্দোলনে ছেলেকে হারালাম, তারপর নাতনি ধর্ষণের শিকার হলো। ভেবেছিলাম সে বাঁচবে, কিন্তু সেও চলে গেল।"
কলেজছাত্রীর চাচা জানান, গত রাত ১১টায় তার ভাতিজি আত্মহত্যা করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুপুর ১২টায় মরদেহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়।
গণ অধিকার পরিষদের শহিদুল ইসলাম বলেন, "মরদেহ নিয়ে আমরা রওনা হয়েছি, পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।"
মেয়েটির মা জানান, জুলাই আন্দোলনে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর ১৮ মার্চ মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও করে শেয়ার করার হুমকি দেয়। ২০ মার্চ মামলা করা হয় এবং দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।