দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : উপজেলা দেউলী মাঠে তালের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছি -সংবাদ
তালগাছ গ্রামীণ অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তালগাছ হতে রস সংগ্রহ করে এই প্রথম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী গ্রামে গুড় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফলে এ জনপদে বাড়তি আয়ের নতুন সম্ভবনার হাতছানি।
জানা গেছে, তালগাছ সকল এলাকায় অযত্ন অবহেলায় জন্মে থাকে। এ গাছ পানি ছাড়াই দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে। আবার গাছের গোড়ায় পানি দাঁড়ালেও সহজে মারা যায় না। তালগাছ রাস্তার ধারে, বাড়ির আশেপাশে, জমির আইলে, পুকুরপাড় ইত্যাদি পরিত্যক্ত স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে জন্মায়। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে তাল চাষ হয় না। তালগাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা আলাদাভাবে জন্মায়। ফুল না আসা পর্যন্ত স্ত্রী ও পুরুষ গাছ চেনা যায় না। তালগাছের পুরুষ গাছ হতেই সাধারণত রস সংগ্রহ করা হয়। তবে কোন কোন এলাকায় স্ত্রী গাছ হতেও রস সংগ্রহ করা হয়। গাছ নির্বাচন তালগাছ হতে রস সংগ্রহের জন্য কমপক্ষে ১০-১২ বছর বয়সের সুস্থ গাছ নির্বাচন করা উচিত। যেসব গাছ দেখতে সুস্থ সবল সেসব গাছ নির্বাচন করলে অধিক রস আহরণ করা সম্ভব। সাধারণত এ জনপদে তাল গাছের জট থেকে মাটির ভাঁড়ে রস সংগ্রহ করা হয় ।
উপজেলার দেউলী গ্রামের ইব্রাহিম বলেন, দেউলী গ্রামের সোনা তলা মাঠে আমার নিজস্ব জমিতে জমির আইলে ২৮টি তাল গাছ রয়েছে । তালগাছগুলোর বয়স প্রায় ২৫ বছরর হবে। দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো থেকে এই প্রথমবার রস সংগ্রহ করে গুঢ় তৈরির পরিকল্পনা করে মাঠে নামি। আজ থেকে ১০ বার দিন হলে এ গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করে গুড় তৈরি করা হচ্ছে । বাজারে গুড়ে চাহিদা রয়েছে। কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়ায় ভেজাল মুক্ত তৈরি করা হচ্ছে। তাল বাগানে রস সংগ্রহ করেই সবার সামনে গুড় তৈরি করা হয়। ইতোমধ্যে ৪ জন গাছি গাছ কাটা রস ছেঁকা ভাঁড়ে চুন দেওয়া, ভাঁড় ধোয়া ও পরিস্কার করার কাজ করছে। তাদের প্রত্যেকের দিন হাজিরা ৬শ’ টাকা। এলাকায় তাল গুড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আগামীবছর আরও বড় পরিসারে উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই তাল বাগানে গুড় তৈরির গাছি মিঠু ও শের আলী বলেন, গাছের জট নিপুন হাতে কাটার পর কাটা অংশ দিয়ে মিষ্টি রস পড়তে থাকে। রস সংগ্রহের জন্য জটের কাটা অংশের নিচে মাটির ভাঁড় বেঁধে দেয়। রস ভাল রাখতে হলে প্রতিদিন ৩ বার রস সংগ্রহ করা হয়। সকাল, দুপুর, বিকেলে। রস সংগ্রহের সময় জট ও ভাঁড়ে মুখ মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। একটি পুরুষ তালগাছে ৬-৭টি হাঁড়ি লাগানো যেতে পারে। প্রতিটি ভাঁড়ে ৪-৫টি জট রেখে বাকিগুলো কেটে দিতে হয়। চৈত্র থেকে মধ্য আষাঢ় মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। পূর্ণ বয়স্ক একটি তালগাছ হতে প্রতিদিন ১০-১৫ কেজি পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে তালের গুড় উৎপাদনের জন্য রস সংগ্রহের পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রস ছেকে চুলার ওপর বসানো জ্বালায় ঢালা হয়। চুলার ওপর জ্বালা বসানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন জ্বালাও চুলার মধ্যে কোনো ফাঁক না থাকে। আরও খেয়াল রাখতে হবে যেন আগুনের সাথে ছাই বের হয়ে যাওয়া ছাই জ্বালার রসের সঙ্গে মিশতে না পারে। রস জ্বাল দেওয়ার প্রথম অবস্থায় রসের উপরিভাগে যে গাদ বা ফেনা ভেসে উঠে তা যত দ্রুত ছাঁকনি বা হাতা দিয়ে উঠিয়ে ফেলে দিতে হবে। গাদ বা ফেনা উঠাতে দেরি হলে তা রসের সাথে মিশে জটিল অপরিশোধনযোগ্য অবস্থায় চলে যাবে। ফলে গুণগতমান সম্পন্ন গুড় উৎপাদন করা সম্ভব নয়। রস ঘনীভূত হয়ে সিরাপের মতো হলে জ্বালার ফুটন্ত ঘনীভূত রস বা সিরাপ হাতলের সাহায্যে লাগাতারভাবে নাড়াত হবে এবং খুব দ্রুত চুলার তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। এই অবস্থায় জ্বালার চার ধারে কিছু গাদ সৃষ্টি হয়, যা লাগাতারভাবে তুলে ফেলতে হবে। চুলা থেকে গুড় নামানোর পর বিচ মারলে গুড় তৈরি হয় । শীতের সময় খেজুর গাছের গাছি হয়ে থেকে রস সংগ্রহ করি। এবার প্রথম এই বাগানে তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে তাল গাছের গাছি হয়েছি । এই বাগান থেকে প্রতিদিন ৬শ’ টাকা হরে দিনমজুরি কাজ করছি।
দশমী গ্রামের ইসমাইল, হাফিজুলসহ অনেকে বলেন, তালের পাটালি গুড় দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার। বিশুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক তালের পাটালি গুড়, যা স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। এই গুড় সম্পূর্ণ অর্গানিক এবং কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই তৈরি। এটি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে তালের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়। তালের পাটালি গুড় দৈনন্দিন মিষ্টিজাত খাবারে প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে। এটি চা, পিঠা, অথবা অন্যান্য মিষ্টি খাবারে ব্যবহার করতে পারেন ।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা বলেন,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি তালের গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্ত শুদ্ধিকরণ করে। এটি রক্ত শুদ্ধ করে হজমশক্তি উন্নত করে। তালের গুড় হজম প্রক্রিযাকে সহজ করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। শক্তি বৃদ্ধিসহ এটি শরীরকে প্রাকৃতিক শক্তি প্রদান করে। ত্বকের উজ্জ্বলতাসহ শরীরে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ও স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।
উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, তালের চারা উৎপাদন, রস সংগ্রহ, রস বিক্রয়, গুড় তৈরি, গুড় পরিবহন, গুড় বাজারজাতকরণ এবং গুড় ব্যবহারের ফলে গ্রামীণ বিরাট জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এ ছাড়া দুর্যোগ প্রতিরোধ, খরা প্রবণ এলাকায় পরিবেশ উন্নয়ন সহ মাঠে ঘাটে নতুন নতুন তাল বাগার তৈরি করে দেশের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সবাই কে এগিয়ে আসা উচিৎ। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দরজা সব সময় খোলা রয়েছে।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : উপজেলা দেউলী মাঠে তালের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছি -সংবাদ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
তালগাছ গ্রামীণ অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তালগাছ হতে রস সংগ্রহ করে এই প্রথম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী গ্রামে গুড় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফলে এ জনপদে বাড়তি আয়ের নতুন সম্ভবনার হাতছানি।
জানা গেছে, তালগাছ সকল এলাকায় অযত্ন অবহেলায় জন্মে থাকে। এ গাছ পানি ছাড়াই দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে। আবার গাছের গোড়ায় পানি দাঁড়ালেও সহজে মারা যায় না। তালগাছ রাস্তার ধারে, বাড়ির আশেপাশে, জমির আইলে, পুকুরপাড় ইত্যাদি পরিত্যক্ত স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে জন্মায়। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে তাল চাষ হয় না। তালগাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা আলাদাভাবে জন্মায়। ফুল না আসা পর্যন্ত স্ত্রী ও পুরুষ গাছ চেনা যায় না। তালগাছের পুরুষ গাছ হতেই সাধারণত রস সংগ্রহ করা হয়। তবে কোন কোন এলাকায় স্ত্রী গাছ হতেও রস সংগ্রহ করা হয়। গাছ নির্বাচন তালগাছ হতে রস সংগ্রহের জন্য কমপক্ষে ১০-১২ বছর বয়সের সুস্থ গাছ নির্বাচন করা উচিত। যেসব গাছ দেখতে সুস্থ সবল সেসব গাছ নির্বাচন করলে অধিক রস আহরণ করা সম্ভব। সাধারণত এ জনপদে তাল গাছের জট থেকে মাটির ভাঁড়ে রস সংগ্রহ করা হয় ।
উপজেলার দেউলী গ্রামের ইব্রাহিম বলেন, দেউলী গ্রামের সোনা তলা মাঠে আমার নিজস্ব জমিতে জমির আইলে ২৮টি তাল গাছ রয়েছে । তালগাছগুলোর বয়স প্রায় ২৫ বছরর হবে। দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো থেকে এই প্রথমবার রস সংগ্রহ করে গুঢ় তৈরির পরিকল্পনা করে মাঠে নামি। আজ থেকে ১০ বার দিন হলে এ গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করে গুড় তৈরি করা হচ্ছে । বাজারে গুড়ে চাহিদা রয়েছে। কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়ায় ভেজাল মুক্ত তৈরি করা হচ্ছে। তাল বাগানে রস সংগ্রহ করেই সবার সামনে গুড় তৈরি করা হয়। ইতোমধ্যে ৪ জন গাছি গাছ কাটা রস ছেঁকা ভাঁড়ে চুন দেওয়া, ভাঁড় ধোয়া ও পরিস্কার করার কাজ করছে। তাদের প্রত্যেকের দিন হাজিরা ৬শ’ টাকা। এলাকায় তাল গুড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আগামীবছর আরও বড় পরিসারে উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই তাল বাগানে গুড় তৈরির গাছি মিঠু ও শের আলী বলেন, গাছের জট নিপুন হাতে কাটার পর কাটা অংশ দিয়ে মিষ্টি রস পড়তে থাকে। রস সংগ্রহের জন্য জটের কাটা অংশের নিচে মাটির ভাঁড় বেঁধে দেয়। রস ভাল রাখতে হলে প্রতিদিন ৩ বার রস সংগ্রহ করা হয়। সকাল, দুপুর, বিকেলে। রস সংগ্রহের সময় জট ও ভাঁড়ে মুখ মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। একটি পুরুষ তালগাছে ৬-৭টি হাঁড়ি লাগানো যেতে পারে। প্রতিটি ভাঁড়ে ৪-৫টি জট রেখে বাকিগুলো কেটে দিতে হয়। চৈত্র থেকে মধ্য আষাঢ় মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। পূর্ণ বয়স্ক একটি তালগাছ হতে প্রতিদিন ১০-১৫ কেজি পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে তালের গুড় উৎপাদনের জন্য রস সংগ্রহের পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রস ছেকে চুলার ওপর বসানো জ্বালায় ঢালা হয়। চুলার ওপর জ্বালা বসানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন জ্বালাও চুলার মধ্যে কোনো ফাঁক না থাকে। আরও খেয়াল রাখতে হবে যেন আগুনের সাথে ছাই বের হয়ে যাওয়া ছাই জ্বালার রসের সঙ্গে মিশতে না পারে। রস জ্বাল দেওয়ার প্রথম অবস্থায় রসের উপরিভাগে যে গাদ বা ফেনা ভেসে উঠে তা যত দ্রুত ছাঁকনি বা হাতা দিয়ে উঠিয়ে ফেলে দিতে হবে। গাদ বা ফেনা উঠাতে দেরি হলে তা রসের সাথে মিশে জটিল অপরিশোধনযোগ্য অবস্থায় চলে যাবে। ফলে গুণগতমান সম্পন্ন গুড় উৎপাদন করা সম্ভব নয়। রস ঘনীভূত হয়ে সিরাপের মতো হলে জ্বালার ফুটন্ত ঘনীভূত রস বা সিরাপ হাতলের সাহায্যে লাগাতারভাবে নাড়াত হবে এবং খুব দ্রুত চুলার তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। এই অবস্থায় জ্বালার চার ধারে কিছু গাদ সৃষ্টি হয়, যা লাগাতারভাবে তুলে ফেলতে হবে। চুলা থেকে গুড় নামানোর পর বিচ মারলে গুড় তৈরি হয় । শীতের সময় খেজুর গাছের গাছি হয়ে থেকে রস সংগ্রহ করি। এবার প্রথম এই বাগানে তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে তাল গাছের গাছি হয়েছি । এই বাগান থেকে প্রতিদিন ৬শ’ টাকা হরে দিনমজুরি কাজ করছি।
দশমী গ্রামের ইসমাইল, হাফিজুলসহ অনেকে বলেন, তালের পাটালি গুড় দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার। বিশুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক তালের পাটালি গুড়, যা স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। এই গুড় সম্পূর্ণ অর্গানিক এবং কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই তৈরি। এটি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে তালের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়। তালের পাটালি গুড় দৈনন্দিন মিষ্টিজাত খাবারে প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে। এটি চা, পিঠা, অথবা অন্যান্য মিষ্টি খাবারে ব্যবহার করতে পারেন ।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা বলেন,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি তালের গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্ত শুদ্ধিকরণ করে। এটি রক্ত শুদ্ধ করে হজমশক্তি উন্নত করে। তালের গুড় হজম প্রক্রিযাকে সহজ করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। শক্তি বৃদ্ধিসহ এটি শরীরকে প্রাকৃতিক শক্তি প্রদান করে। ত্বকের উজ্জ্বলতাসহ শরীরে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ও স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।
উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, তালের চারা উৎপাদন, রস সংগ্রহ, রস বিক্রয়, গুড় তৈরি, গুড় পরিবহন, গুড় বাজারজাতকরণ এবং গুড় ব্যবহারের ফলে গ্রামীণ বিরাট জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এ ছাড়া দুর্যোগ প্রতিরোধ, খরা প্রবণ এলাকায় পরিবেশ উন্নয়ন সহ মাঠে ঘাটে নতুন নতুন তাল বাগার তৈরি করে দেশের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সবাই কে এগিয়ে আসা উচিৎ। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দরজা সব সময় খোলা রয়েছে।