গঙ্গাচড়া (রংপুর) : ঝড়ে ল-ভ- বাড়ি -সংবাদ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে কয়েকশ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ গাছপালা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বন্ধ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে উপজেলার নয় ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কালবৈশাখী ঝড়টি প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঝড়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা, ধান, ভুট্টা নষ্ট হওয়ার পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে পশ্চিম দিক থেকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
উপজেলার গঙ্গাচড়া, কোলকোন্দ, বড়বিল, মর্ণেয়া, গজঘণ্টা, আলমবিদিতর, লক্ষীটারী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের ভ্যানচালক নুরজামান বলেন, বাবা কি আর কইম? দুইটা ঘর দুই ঘরেই চাল উড়ি গেইছে। এখন খোলা আকাশের নিচোত আছি। এই বাড়ি ঘর কেমনে ঠিক করিম। কেমনে চলিম?
মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি এলাকার বাসিন্দা আজিবর বলেন, ঝড়ে আমার ঘর ভেঙ্গে গেছে। ধান ও সবজি ক্ষেতের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
নোহালী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার মজিবর রহমান বলেন, আমার ৪ টা ঘর। চারটাই পরে গেছে। এই চওয়াছোট নিয়া কেমনে থাকবো। ভুট্টার ক্ষেতও নুইয়ে পরছে।
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, হঠাৎ ঝড়ে আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ঝড়ে গাছপালার কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধান ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির কিছুটা ক্ষতি হলেও ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর আওয়াতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আইযুব আলী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেছে। রাত ১০টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে রাত থেকেই কাজ চলছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গঙ্গাচড়া (রংপুর) : ঝড়ে ল-ভ- বাড়ি -সংবাদ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে কয়েকশ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ গাছপালা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বন্ধ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে উপজেলার নয় ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কালবৈশাখী ঝড়টি প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঝড়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা, ধান, ভুট্টা নষ্ট হওয়ার পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে পশ্চিম দিক থেকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
উপজেলার গঙ্গাচড়া, কোলকোন্দ, বড়বিল, মর্ণেয়া, গজঘণ্টা, আলমবিদিতর, লক্ষীটারী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের ভ্যানচালক নুরজামান বলেন, বাবা কি আর কইম? দুইটা ঘর দুই ঘরেই চাল উড়ি গেইছে। এখন খোলা আকাশের নিচোত আছি। এই বাড়ি ঘর কেমনে ঠিক করিম। কেমনে চলিম?
মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি এলাকার বাসিন্দা আজিবর বলেন, ঝড়ে আমার ঘর ভেঙ্গে গেছে। ধান ও সবজি ক্ষেতের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
নোহালী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার মজিবর রহমান বলেন, আমার ৪ টা ঘর। চারটাই পরে গেছে। এই চওয়াছোট নিয়া কেমনে থাকবো। ভুট্টার ক্ষেতও নুইয়ে পরছে।
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, হঠাৎ ঝড়ে আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ঝড়ে গাছপালার কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধান ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির কিছুটা ক্ষতি হলেও ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর আওয়াতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আইযুব আলী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেছে। রাত ১০টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে রাত থেকেই কাজ চলছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।