রাজশাহী : বাঘা উপজেলার আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন হুমকিতে -সংবাদ
বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনের মুখে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আতারপাড়া বিদ্যালয়টি ৫ হাত দুরে রয়েছে ভাঙন থেকে। যে কোন সময়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। অন্যদিকে চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন থেকে ১৫০ মিটার দূরে রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ভাঙন থেকে সরিয়ে নিতে নিতে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর নদীতে একেবারে বিলীন হয়ে যায়। ওই সময় দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে চলে ক্লাস। কিছুদিন পর ভাঙন থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিম দিকে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়। আবারও বিদ্যালয়টি ৫ হাত দূরে রয়েছে ভাঙন থেকে। বালুর বস্তা ফেলে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৮৫ জন। আর কিছুদিন পর শুরু হবে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আবারও শিক্ষার্থীরা ক্লাস পারলে ফলাফলও ভালো হবে না বলে অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ২০২৪ সালে ফাইনাল পরীক্ষার আগে ভাঙনের কারণে ঠিকমত ক্লাস না করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ওই সময় পরীক্ষা ভালো হয়নি। এবারও একই অবস্থা। এবারও পরীক্ষা কেমন হবে জানিনা। ঘরের অভাবে ক্লাস হয় না।
আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ভাঙনে ঘর তৈরি করতে এখনও সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ পায়নি। নিজের টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এ টাকা এখনও পায়নি। বিদ্যালয়ের ঘর আবারও ভাঙনের কাছে চলে এসেছে, এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।
চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৫৫ সালে চৌমাদিয়া চরের সিরাজ মন্ডল ও ভানু বেপারি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি বাববার নদী ভাঙনের কারণে চারবার স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে চৌমাদিয়ায় চরে ১৫ বছর, তেমাদিয়ায় ১২ বছর, দিয়ারকাদিপুর ২৫ বছর, টিকটিকি পাড়ায় ১১ বছর যাবত পরিচালিত হয়। সর্বশেষ টিকটিকি পাড়া থেকে আগে স্থানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। এখানেও রক্ষা করা যাবে না। ভাঙন থেকে ১৫০ মিটার দূরে রয়েছে ভাঙন। বিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর চৌমাদিয়ায় ওয়ার্ডের মেম্বর আবদুর রহমান দর্জি বলেন, পদ্মার ভাঙনের কারণে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অসময়ে ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আতারপাড়ায়, ২ নম্বর ওয়ার্ড চৌমাদিয়ায়া এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ারকাদিরপুরে মোট ৭৫০টি পরিবারের ৩ হাজার ৫০ জন মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। তার অ্যস্থানে চলে গেছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, বছরে দুইবার যদি একটি প্রতিষ্ঠান ভাঙনে সরকারণ বা কি করবে। ভাঙনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
রাজশাহী : বাঘা উপজেলার আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন হুমকিতে -সংবাদ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনের মুখে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আতারপাড়া বিদ্যালয়টি ৫ হাত দুরে রয়েছে ভাঙন থেকে। যে কোন সময়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। অন্যদিকে চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন থেকে ১৫০ মিটার দূরে রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ভাঙন থেকে সরিয়ে নিতে নিতে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর নদীতে একেবারে বিলীন হয়ে যায়। ওই সময় দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে চলে ক্লাস। কিছুদিন পর ভাঙন থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিম দিকে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়। আবারও বিদ্যালয়টি ৫ হাত দূরে রয়েছে ভাঙন থেকে। বালুর বস্তা ফেলে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৮৫ জন। আর কিছুদিন পর শুরু হবে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আবারও শিক্ষার্থীরা ক্লাস পারলে ফলাফলও ভালো হবে না বলে অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ২০২৪ সালে ফাইনাল পরীক্ষার আগে ভাঙনের কারণে ঠিকমত ক্লাস না করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ওই সময় পরীক্ষা ভালো হয়নি। এবারও একই অবস্থা। এবারও পরীক্ষা কেমন হবে জানিনা। ঘরের অভাবে ক্লাস হয় না।
আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ভাঙনে ঘর তৈরি করতে এখনও সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ পায়নি। নিজের টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এ টাকা এখনও পায়নি। বিদ্যালয়ের ঘর আবারও ভাঙনের কাছে চলে এসেছে, এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।
চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৫৫ সালে চৌমাদিয়া চরের সিরাজ মন্ডল ও ভানু বেপারি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি বাববার নদী ভাঙনের কারণে চারবার স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে চৌমাদিয়ায় চরে ১৫ বছর, তেমাদিয়ায় ১২ বছর, দিয়ারকাদিপুর ২৫ বছর, টিকটিকি পাড়ায় ১১ বছর যাবত পরিচালিত হয়। সর্বশেষ টিকটিকি পাড়া থেকে আগে স্থানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। এখানেও রক্ষা করা যাবে না। ভাঙন থেকে ১৫০ মিটার দূরে রয়েছে ভাঙন। বিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর চৌমাদিয়ায় ওয়ার্ডের মেম্বর আবদুর রহমান দর্জি বলেন, পদ্মার ভাঙনের কারণে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অসময়ে ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আতারপাড়ায়, ২ নম্বর ওয়ার্ড চৌমাদিয়ায়া এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ারকাদিরপুরে মোট ৭৫০টি পরিবারের ৩ হাজার ৫০ জন মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। তার অ্যস্থানে চলে গেছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, বছরে দুইবার যদি একটি প্রতিষ্ঠান ভাঙনে সরকারণ বা কি করবে। ভাঙনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।