জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাই শাহরিয়ার হাসান রিমন (১৬) নোয়াখালীতে কুপিয়ে জখম হয়েছেন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর বালিংটন মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তার মা ফরিদা ইয়াছমিন।
আহত রিমনকে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের বাসিন্দা রিমন শহরের হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। পরিবারটি মাইজদীর বালিংটন মোড়ে ভাড়া বাসায় থাকছে।
রিমনের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রিজভী চলতি বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
রিমনের মা ফরিদা ইয়াছমিন জানান, দুই দিন আগে রিমনের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বাইরের কয়েকজন যুবকের ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও ওই যুবকেরা ক্ষুব্ধ ছিল। রোববার স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে তারা রিমনকে পেছন থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
তিনি বলেন, রিমনের পিঠে তিনটি এবং মাথাসহ মোট ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পিঠের আঘাতগুলোর মধ্যে কয়েকটি ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ফরিদা জানান, হামলাকারীরা ভেবেছিল রিমন মারা গেছে। পরে যখন জানতে পারে সে বেঁচে আছে, তখন আবার হামলার উদ্দেশ্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পর্যন্ত যায়।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, "হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।"
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাই শাহরিয়ার হাসান রিমন (১৬) নোয়াখালীতে কুপিয়ে জখম হয়েছেন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর বালিংটন মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তার মা ফরিদা ইয়াছমিন।
আহত রিমনকে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের বাসিন্দা রিমন শহরের হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। পরিবারটি মাইজদীর বালিংটন মোড়ে ভাড়া বাসায় থাকছে।
রিমনের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রিজভী চলতি বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
রিমনের মা ফরিদা ইয়াছমিন জানান, দুই দিন আগে রিমনের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বাইরের কয়েকজন যুবকের ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও ওই যুবকেরা ক্ষুব্ধ ছিল। রোববার স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে তারা রিমনকে পেছন থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
তিনি বলেন, রিমনের পিঠে তিনটি এবং মাথাসহ মোট ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পিঠের আঘাতগুলোর মধ্যে কয়েকটি ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ফরিদা জানান, হামলাকারীরা ভেবেছিল রিমন মারা গেছে। পরে যখন জানতে পারে সে বেঁচে আছে, তখন আবার হামলার উদ্দেশ্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পর্যন্ত যায়।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, "হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।"