নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে ধরে নেয়া ফুলতলী গ্রামের মুফিজুর রহমান ২০ দিন পর মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির বন্দীদশা থেকে পালিয় অবশেষে দেশে ফিরেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সে ৪৬ নম্বর সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সীমান্ত এলাকায় নিজের বাগানে কাঠ কাটতে গেলে তাকে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যায়। মুফিজুর রহমান (৩৫) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বন্দীদশা থেকে পিরে মুফিজ জানান, তারা প্রথমে আমাকে গোয়েন্দা ভেবে ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এক পাহাড়ি ঘাঁটিতে। সেই খান থেকে বিভিন্ন ঘাঁটিতে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বুঝতে পারে আমি সাধারণ লোক এতে আমাকে সামান্য সুযোগ দেয় একপর্যায়ে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আসি।
মুফিজুর আরও বলেন, পাহাড়, জঙ্গল পেরিয়ে কোনোভাবে দেশে ফিরেছি। বাঁচার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই ২০ দিন ছিল এক দুঃস্বপ্ন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ মাহবুব এলাহি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এমন পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকে মুফিজুর রহমান দেশে ফিরে এসেছেন এমন খবর আমরা পেয়েছি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল।
তবে পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে দেশের মানুষ যাতে নিরাপদ থাকে সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে ধরে নেয়া ফুলতলী গ্রামের মুফিজুর রহমান ২০ দিন পর মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির বন্দীদশা থেকে পালিয় অবশেষে দেশে ফিরেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সে ৪৬ নম্বর সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সীমান্ত এলাকায় নিজের বাগানে কাঠ কাটতে গেলে তাকে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যায়। মুফিজুর রহমান (৩৫) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বন্দীদশা থেকে পিরে মুফিজ জানান, তারা প্রথমে আমাকে গোয়েন্দা ভেবে ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এক পাহাড়ি ঘাঁটিতে। সেই খান থেকে বিভিন্ন ঘাঁটিতে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বুঝতে পারে আমি সাধারণ লোক এতে আমাকে সামান্য সুযোগ দেয় একপর্যায়ে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আসি।
মুফিজুর আরও বলেন, পাহাড়, জঙ্গল পেরিয়ে কোনোভাবে দেশে ফিরেছি। বাঁচার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই ২০ দিন ছিল এক দুঃস্বপ্ন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ মাহবুব এলাহি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এমন পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকে মুফিজুর রহমান দেশে ফিরে এসেছেন এমন খবর আমরা পেয়েছি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল।
তবে পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে দেশের মানুষ যাতে নিরাপদ থাকে সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট।