নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : বৈশাখী ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা -সংবাদ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয়েছে বৈশাখী ধান কাটার উৎসব। বর্ষপঞ্জির বৈশাখ মাসের শুরুতেই উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলে শুরু হয়েছে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। স্থানীয়ভাবে যাকে ‘বৈশাখী ধান’ বলা হয়, সেই ধান এবার দিয়েছে রেকর্ড পরিমাণ ফলন। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মতো কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কারণে কৃষকের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব, বড় ভাকৈর পশ্চিম, ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক, আউশকান্দি, কুর্শি, করগাঁও, নবীগঞ্জ সদর, বাউশা, দেবপাড়া, গজনাইপুর, কালিয়ারভাঙ্গা, পানিউমদা ইউনিয়নসহ পৌরসভার বিভিন্ন মাঠজুড়ে সকাল থেকে কৃষকরা দলবেঁধে জমিতে ধান কাটছেন। কেউ ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার, আবার কেউ এখনো হাতে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে সোনালি ধানের গন্ধ আর কৃষকের কণ্ঠে সাফল্যের গান।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে আবাদকৃত জমির পরিমাণ : হাইব্রিড- ৯৬৮০ হেক্টর, উফশী-৯২৫৫ হেক্টর, মোট আবাদকৃত জমি- ১৮৯৩৫ হেক্টর। প্রধান প্রধান জাতসমূূহ- ব্রি-ধান ২৮,২৯,৮৮,৮৯,৯২, হাইব্রিড- হীরা ১,২,৬,৮, জনকরাজ, এসএল ৮ এইচ, আফতাব এলপি ১০৮, এসিআই ১,২, বেবিলন, পারটেক্স, কেপিবি- ১। গড় উৎপাদন: হাইব্রিড ২৫ মণ প্রতি বিঘা, উফশী- ১৮ মণ প্রতি বিঘা, ধানের ফলন হেক্টর প্রতি হাইব্রিড- ৭.৪ মে. টন, উফশী - ৫.২ হতে ৬.৪ মে. টন, সম্ভাব্য মোট উৎপাদন: ১১৯৭৫৮ মেট্রিক টন ধান। সরকারিভাবে সরবরাহকৃত সার ও বীজ (প্রণোদনা) : উফশী বীজ- ২৭.৫ মে. টন, হাইব্রিড বীজ- ৮.৬ মে. টন, সার: ৫৫ মেট্রিক টন ডিএপি, ৫৫ মেট্রিক টন এমওপি, উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা: ৯৮০০ জন।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি বলেন, ‘কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার ও বীজ সরবরাহ, কম্বাইন হারভেস্টার সুবিধাসহ সবদিক থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাই গতবছরের ফলন থেকে এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আমরা আশা করছি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আরো ছাড়িয়ে যাবে।’
তিমিরপুর গ্রামের কৃষক ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘গতবছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে যদি সরকার ভালো দাম নিশ্চিত করে, তাহলে আমাদের ক্ষতির চিন্তা করতে হবে না।’ নবীগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠীর অর্থনীতিতে বৈশাখী ধানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধান শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নয়, বরং সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবাহ সচল রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : বৈশাখী ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা -সংবাদ
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয়েছে বৈশাখী ধান কাটার উৎসব। বর্ষপঞ্জির বৈশাখ মাসের শুরুতেই উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলে শুরু হয়েছে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। স্থানীয়ভাবে যাকে ‘বৈশাখী ধান’ বলা হয়, সেই ধান এবার দিয়েছে রেকর্ড পরিমাণ ফলন। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মতো কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কারণে কৃষকের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব, বড় ভাকৈর পশ্চিম, ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক, আউশকান্দি, কুর্শি, করগাঁও, নবীগঞ্জ সদর, বাউশা, দেবপাড়া, গজনাইপুর, কালিয়ারভাঙ্গা, পানিউমদা ইউনিয়নসহ পৌরসভার বিভিন্ন মাঠজুড়ে সকাল থেকে কৃষকরা দলবেঁধে জমিতে ধান কাটছেন। কেউ ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার, আবার কেউ এখনো হাতে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে সোনালি ধানের গন্ধ আর কৃষকের কণ্ঠে সাফল্যের গান।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে আবাদকৃত জমির পরিমাণ : হাইব্রিড- ৯৬৮০ হেক্টর, উফশী-৯২৫৫ হেক্টর, মোট আবাদকৃত জমি- ১৮৯৩৫ হেক্টর। প্রধান প্রধান জাতসমূূহ- ব্রি-ধান ২৮,২৯,৮৮,৮৯,৯২, হাইব্রিড- হীরা ১,২,৬,৮, জনকরাজ, এসএল ৮ এইচ, আফতাব এলপি ১০৮, এসিআই ১,২, বেবিলন, পারটেক্স, কেপিবি- ১। গড় উৎপাদন: হাইব্রিড ২৫ মণ প্রতি বিঘা, উফশী- ১৮ মণ প্রতি বিঘা, ধানের ফলন হেক্টর প্রতি হাইব্রিড- ৭.৪ মে. টন, উফশী - ৫.২ হতে ৬.৪ মে. টন, সম্ভাব্য মোট উৎপাদন: ১১৯৭৫৮ মেট্রিক টন ধান। সরকারিভাবে সরবরাহকৃত সার ও বীজ (প্রণোদনা) : উফশী বীজ- ২৭.৫ মে. টন, হাইব্রিড বীজ- ৮.৬ মে. টন, সার: ৫৫ মেট্রিক টন ডিএপি, ৫৫ মেট্রিক টন এমওপি, উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা: ৯৮০০ জন।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি বলেন, ‘কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার ও বীজ সরবরাহ, কম্বাইন হারভেস্টার সুবিধাসহ সবদিক থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাই গতবছরের ফলন থেকে এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আমরা আশা করছি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আরো ছাড়িয়ে যাবে।’
তিমিরপুর গ্রামের কৃষক ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘গতবছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে যদি সরকার ভালো দাম নিশ্চিত করে, তাহলে আমাদের ক্ষতির চিন্তা করতে হবে না।’ নবীগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠীর অর্থনীতিতে বৈশাখী ধানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধান শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নয়, বরং সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবাহ সচল রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।