এবার পর্যাপ্ত কাঁচামালের জোগান থাকলেও চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি দেশের সর্ববৃহৎ ও ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লি.। এর অন্যতম কারণ ব্রিটিশ আমলের উৎপাদন পদ্ধতি। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়নে ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয় বিএমআরই মেশিন। এর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি অটোমেশিন।
শ্রমিক ও স্থানীয়রা বলছেন, অটোমেশিন চালু না হওয়ায় লোকসানে ডুবছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় জটিলতা দীর্ঘ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। কারিগরি ত্রুটির অজুহাত দেখাচ্ছেন কেরুজ কর্তৃপক্ষ। গচ্চা যাচ্ছে শত কোটি টাকা।
জানা যায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আখ মাড়াই কার্যক্রোম শুরু করে দেশের অন্যতম চিনি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লি.। চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২শ মেট্রিক টন। ৭২ কার্যদিবস মিল চালিয়ে চিনি উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৬৮৪ মেট্রিক টন।
অন্যান্যবার আখের সংকট থাকলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি কাঁচামাল পাওয়া গেছে। তারপরও চিনির টার্গেট পূরণ করতে পারেনি মিলটি। কারণ, ব্রিটিশ আমলের উৎপাদন পদ্ধতি। ফলে এবারও চিনি খাতে লোকসান গুনতে হবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানিকে।
অথচ লোকসান হ্রাস, চিনির আহরণ ও মোলাসেস বৃদ্ধি করতে চিনিকল আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। এরপর ২০২৪ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরো কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে কেটে গেছে একযুগ। অটোমেশিন চালু না হওয়া কমছে উৎপাদন। লোকসানে ডুবছে চিনিকলটি।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ও কেরুজ শ্রমিকরা বলেন অটোমেশিন স্থাপনে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় জটিলতা দীর্ঘ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে রয়েছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও।
এদিকে কেরু কর্তৃপক্ষ কারিগরি ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনছেন।
মিল কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, এবার অটোমেশন চালু না হলেও আগামী অর্থবছরে আখ মাড়াই হবে আধুনিক পদ্ধতিতে।
এ বিষয় কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন আমরা প্রতি বছর চেষ্টা করি চিনি শিল্পে লোকসান কমিয়ে আনার জন্য।
এবার ভারতীয় প্রযুক্তিতে অটোমেশন চালু হওয়ার বা আমাদের বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু হয়নি।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
এবার পর্যাপ্ত কাঁচামালের জোগান থাকলেও চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি দেশের সর্ববৃহৎ ও ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লি.। এর অন্যতম কারণ ব্রিটিশ আমলের উৎপাদন পদ্ধতি। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়নে ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয় বিএমআরই মেশিন। এর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি অটোমেশিন।
শ্রমিক ও স্থানীয়রা বলছেন, অটোমেশিন চালু না হওয়ায় লোকসানে ডুবছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় জটিলতা দীর্ঘ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। কারিগরি ত্রুটির অজুহাত দেখাচ্ছেন কেরুজ কর্তৃপক্ষ। গচ্চা যাচ্ছে শত কোটি টাকা।
জানা যায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আখ মাড়াই কার্যক্রোম শুরু করে দেশের অন্যতম চিনি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লি.। চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২শ মেট্রিক টন। ৭২ কার্যদিবস মিল চালিয়ে চিনি উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৬৮৪ মেট্রিক টন।
অন্যান্যবার আখের সংকট থাকলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি কাঁচামাল পাওয়া গেছে। তারপরও চিনির টার্গেট পূরণ করতে পারেনি মিলটি। কারণ, ব্রিটিশ আমলের উৎপাদন পদ্ধতি। ফলে এবারও চিনি খাতে লোকসান গুনতে হবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানিকে।
অথচ লোকসান হ্রাস, চিনির আহরণ ও মোলাসেস বৃদ্ধি করতে চিনিকল আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। এরপর ২০২৪ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরো কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে কেটে গেছে একযুগ। অটোমেশিন চালু না হওয়া কমছে উৎপাদন। লোকসানে ডুবছে চিনিকলটি।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ও কেরুজ শ্রমিকরা বলেন অটোমেশিন স্থাপনে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করায় জটিলতা দীর্ঘ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে রয়েছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও।
এদিকে কেরু কর্তৃপক্ষ কারিগরি ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনছেন।
মিল কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, এবার অটোমেশন চালু না হলেও আগামী অর্থবছরে আখ মাড়াই হবে আধুনিক পদ্ধতিতে।
এ বিষয় কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন আমরা প্রতি বছর চেষ্টা করি চিনি শিল্পে লোকসান কমিয়ে আনার জন্য।
এবার ভারতীয় প্রযুক্তিতে অটোমেশন চালু হওয়ার বা আমাদের বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু হয়নি।