দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : ইট ভাটার পটে পাটের চাষ -সংবাদ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের পরিকল্পনায় চলতি পাট মৌসুমে ইটভাটার ইট পটে পাট চাষ শুরু হয়েছে। ইটভাটার ইটপটের জমি বছরের প্রায় সাড়ে তিন মাস পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকতো। এ সমস্ত ইট পটে কখনও ফসল উৎপাদন হতো না। উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যেগে উপজেলার ইটপট গুলোতে ফসল উৎপাদন করে সাড়া জাগিয়েছে। উপজেলা সদরে স্কাই নামের ব্রিক ফিল্ড ইটপটে তের বিঘা জমিতে পাট চাষ করে হৈ চৈ ফেলে দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে। এই ইট পট থেকে অতিরিক্ত আয়ের হাত ছানি দিচ্ছে- যা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৩৪টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার জমিতে রয়েছে ইট পোড়ানোর মূল চিমনিসহ প্লিনের আবকাঠামো, প্লিনের চারিদিক টলি চলাচলের রাস্তা ও ইট রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা, মাটি রাখার পর্যাপ্ত জমি, অফিস ঘর, ট্রাক বা টলি রাখার স্থান, সহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো বাদে চাষযোগ্য মোট জমির পরিমাণ ৭৬ হেক্টর। এর ধারাবাহিকতায় ইটভাটার কাঁচা ইট পটে ফসল উৎপাদনের আনা হয়। এজনপদে প্রতিবছর ইটভাটা বর্ষার কারণে ইটভাটার ইটপটের জমি বছরের প্রায় ছয় মাস পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকতো। এ সমস্ত ইট পটে বর্ষার মৌসুমে কখনো ফসল উৎপাদন হতো না। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরিকল্পনায় ইটভাটার জমিতে ফসল উৎপাদন শুরু হলে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে ভাটা মালিকরা।
দামুড়হুদা কলেজ এলাকার স্কাই ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদ বলেন, আমার ব্রিক ফিল্ডের ১৩ বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের উদ্যেগে এই প্রথমবার পাট চাষ করেছি। এর আগে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকতো। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আবার ইট কাটার পট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আগামী বছর আরও বেশি পরিমান জমিতে বর্ষা মৌসুমে ফসল আবাদ করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছি- যা আমাকে বাড়তি আয়ের হাত ছানি দিচ্ছে।
উপজেলা অতিরিক্ত কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, উপজেলার ইটভাটা গুলোর জমি বর্ষা মৌসুমে তিন মাস থেকে সাড়ে তিন মাস পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এ সময় এ সমস্ত জমিতে নানা ধারনের আগাছ জন্মে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরিকল্পনায় কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে সমস্থ পতিত জমি আবাদ যোগ্য করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে ইটভাটার মালিকরা সাড়া দিয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায় কাজ শুরু করে তা অব্যহত রেখেছে। এখন ইট পট থেকে অতিরিক্ত আয়ের হাত ছানি দিচ্ছে- যা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করবে।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : ইট ভাটার পটে পাটের চাষ -সংবাদ
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের পরিকল্পনায় চলতি পাট মৌসুমে ইটভাটার ইট পটে পাট চাষ শুরু হয়েছে। ইটভাটার ইটপটের জমি বছরের প্রায় সাড়ে তিন মাস পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকতো। এ সমস্ত ইট পটে কখনও ফসল উৎপাদন হতো না। উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যেগে উপজেলার ইটপট গুলোতে ফসল উৎপাদন করে সাড়া জাগিয়েছে। উপজেলা সদরে স্কাই নামের ব্রিক ফিল্ড ইটপটে তের বিঘা জমিতে পাট চাষ করে হৈ চৈ ফেলে দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে। এই ইট পট থেকে অতিরিক্ত আয়ের হাত ছানি দিচ্ছে- যা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৩৪টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার জমিতে রয়েছে ইট পোড়ানোর মূল চিমনিসহ প্লিনের আবকাঠামো, প্লিনের চারিদিক টলি চলাচলের রাস্তা ও ইট রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা, মাটি রাখার পর্যাপ্ত জমি, অফিস ঘর, ট্রাক বা টলি রাখার স্থান, সহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো বাদে চাষযোগ্য মোট জমির পরিমাণ ৭৬ হেক্টর। এর ধারাবাহিকতায় ইটভাটার কাঁচা ইট পটে ফসল উৎপাদনের আনা হয়। এজনপদে প্রতিবছর ইটভাটা বর্ষার কারণে ইটভাটার ইটপটের জমি বছরের প্রায় ছয় মাস পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকতো। এ সমস্ত ইট পটে বর্ষার মৌসুমে কখনো ফসল উৎপাদন হতো না। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরিকল্পনায় ইটভাটার জমিতে ফসল উৎপাদন শুরু হলে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে ভাটা মালিকরা।
দামুড়হুদা কলেজ এলাকার স্কাই ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদ বলেন, আমার ব্রিক ফিল্ডের ১৩ বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের উদ্যেগে এই প্রথমবার পাট চাষ করেছি। এর আগে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকতো। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আবার ইট কাটার পট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আগামী বছর আরও বেশি পরিমান জমিতে বর্ষা মৌসুমে ফসল আবাদ করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছি- যা আমাকে বাড়তি আয়ের হাত ছানি দিচ্ছে।
উপজেলা অতিরিক্ত কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, উপজেলার ইটভাটা গুলোর জমি বর্ষা মৌসুমে তিন মাস থেকে সাড়ে তিন মাস পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এ সময় এ সমস্ত জমিতে নানা ধারনের আগাছ জন্মে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরিকল্পনায় কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে সমস্থ পতিত জমি আবাদ যোগ্য করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে ইটভাটার মালিকরা সাড়া দিয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায় কাজ শুরু করে তা অব্যহত রেখেছে। এখন ইট পট থেকে অতিরিক্ত আয়ের হাত ছানি দিচ্ছে- যা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করবে।