ময়মনসিংহ : ধোবাউড়ায় মাঠের সোনালি ফসল ঘরে তুলছেন কৃষক -সংবাদ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যার ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে উপজেলার প্রান্তিক কৃষক। বোরো আবাদে বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। গেল বছর পাহাড়ি ঢলে পুরো উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় আমন ধানের। ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। ফসল হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ের প্রান্তিক কৃষক। তখন সরকারি পৃষ্টপোষকতায় উপজেলায় ৩৫ হাজার প্রান্তিক কৃষককে সার এবং বীজের প্রণোদনা দেয়া হয় যার মধ্যে প্রায় ৮ হাজার কৃষককে শাকসবজির বীজ এবং সার দেয়া হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনাতেও সবজি চাষ করে তাৎক্ষণিক বন্যার ক্ষতি পুষিয়েছেন অনেকে। সরকারি সহযোগিতা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বন্যার ক্ষত কাটিয়ে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। তবে শ্রমিক সংকটে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষককে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে বাজারে ধানের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, গত বন্যায় যেমন ক্ষতি হইছে তেমন এবার বোরো ধানের ফলনও বাম্পার হয়েছে। কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত সিজনে আমন ধান নষ্ট হওয়ার পর আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম কীভাবে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠব। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার বীজ দেয়ায় আমরা সহজেই ঘুরে দাড়িয়েছি এবং ফলনও ভালো হয়েছে। এবারে ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে ধানের দাম ভালো। অন্যান্য বছর যেখানে প্রতি মণ ধান ৬০০-৭০০ টাকা ছিল সেখানে এ বছর ধানের দাম ৯০০-১০০০ টাকা। কৃষক হযরত আলী জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় সুন্দরভাবে ফসল ঘরে তুলতাছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। বেরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৩২০ হেক্টর। বিভিন্ন জাতের ওপর শস্য কর্তন করে দেখা যায় ধোবাউড়া উপজেলায় হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৫.৫০ থেকে ৬.৫৫ মেট্টিক টন যার ফলনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষককে সরকারি প্রনোদণা দেয়া হয়েছে, কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সার্পোট দেয়া হয়েছে, বাম্পার ফলনের কারণে এ বছর উপজেলায় খাদ্যে উদ্বৃত্ত থাকবে।
ময়মনসিংহ : ধোবাউড়ায় মাঠের সোনালি ফসল ঘরে তুলছেন কৃষক -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যার ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে উপজেলার প্রান্তিক কৃষক। বোরো আবাদে বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। গেল বছর পাহাড়ি ঢলে পুরো উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় আমন ধানের। ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। ফসল হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ের প্রান্তিক কৃষক। তখন সরকারি পৃষ্টপোষকতায় উপজেলায় ৩৫ হাজার প্রান্তিক কৃষককে সার এবং বীজের প্রণোদনা দেয়া হয় যার মধ্যে প্রায় ৮ হাজার কৃষককে শাকসবজির বীজ এবং সার দেয়া হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনাতেও সবজি চাষ করে তাৎক্ষণিক বন্যার ক্ষতি পুষিয়েছেন অনেকে। সরকারি সহযোগিতা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বন্যার ক্ষত কাটিয়ে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। তবে শ্রমিক সংকটে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষককে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে বাজারে ধানের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, গত বন্যায় যেমন ক্ষতি হইছে তেমন এবার বোরো ধানের ফলনও বাম্পার হয়েছে। কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত সিজনে আমন ধান নষ্ট হওয়ার পর আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম কীভাবে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠব। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার বীজ দেয়ায় আমরা সহজেই ঘুরে দাড়িয়েছি এবং ফলনও ভালো হয়েছে। এবারে ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে ধানের দাম ভালো। অন্যান্য বছর যেখানে প্রতি মণ ধান ৬০০-৭০০ টাকা ছিল সেখানে এ বছর ধানের দাম ৯০০-১০০০ টাকা। কৃষক হযরত আলী জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় সুন্দরভাবে ফসল ঘরে তুলতাছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। বেরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৩২০ হেক্টর। বিভিন্ন জাতের ওপর শস্য কর্তন করে দেখা যায় ধোবাউড়া উপজেলায় হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৫.৫০ থেকে ৬.৫৫ মেট্টিক টন যার ফলনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষককে সরকারি প্রনোদণা দেয়া হয়েছে, কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সার্পোট দেয়া হয়েছে, বাম্পার ফলনের কারণে এ বছর উপজেলায় খাদ্যে উদ্বৃত্ত থাকবে।