ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : গোয়াতলায় কংশ নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে -সংবাদ
ময়মনসিংহ-ধোবাউড়া আঞ্চলিক সড়কের গোয়াতলায় কংশ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নির্মাণ করার ৩২ বছর পরেও বেইলি ব্রিজটি সংস্কার করা হয়নি। প্রতিদিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে চলছে অসংখ্য যানবাহন। একমাত্র আঞ্চলিক সড়ক হওয়ায় প্রতিদিন বাস এবং ট্রাকসহ প্রচুর ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে। ব্রিজে গাড়ি উঠার সময় স্টিলের পাঠাতন খুলে গিয়ে লাফাতে থাকে। এ সময় ব্রিজের মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারে আছে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নিচেই অনেক গভীরে কংশ নদী। নদীতে গাড়ি পড়ে গেলে ঘটবে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা। ইতোমধ্যে উঠে পড়ছে ব্রিজরে স্টিলের স্ল্যাপ। এতে করে ভীষণ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ব্রিজটি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৯১/৯২ সালে উপজেলার গোয়াতলা এবং তারাইকান্দি এলাকায় নদীর ওপরে দুটি স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এরপর থেকে সংস্কার না করায় ব্রিজদুটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্টিলের পাঠাতন সরে গিয়ে মাঝ খানে ফাঁকা হয়ে নড়বড়ে অবস্থা। কাঠের ঠুকরো দিয়ে দেয়া হয়েছে জোড়াতালি।
গাড়ি চলাচলের সময় থরথরে কাঁপে ব্রিজ। এ সময় আতঙ্কে থাকেন যাত্রীরা। ব্রিজটি সরু হওয়ায় যানযটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদেরকে। প্রতিদিনই অসংখ্য গাড়ি যানযটের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। কিন্তু নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রী, চালক এবং এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গোয়াতলা বেইলি ব্রিজে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির চাকার সঙ্গে নড়াছড়া করছে পাঠাতন। ব্রিজের মাঝখানে পাঠাতন সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে পড়ে আছে। ফাঁকা অংশে কাঠের ঠুকরো দিয়ে দেয়া হয়েছে জোড়াতালি।
স্থানীয় বৃদ্ধ তাইজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি অতিক্রম হওয়ার সময় আমাদের অনেক ভয় করে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। স্থানীয় কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন আমাদের এই ব্রিজ পার হয়ে কলেজে যাওয়া-আসা করতে হয়। ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এটি ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গাড়িচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, ব্রিজটির অবস্থা খুবই খারাপ। স্টিলের পাঠাতনগুলো নড়া-চড়া করে। এ ছাড়া ব্রিজটি সরু হওয়ায় প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আমরা চাই, খুব দ্রুত এখানে একটি বড় ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।
বেইলি ব্রিজটির ব্যাপারে ধোবাউড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই জায়গায় নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : গোয়াতলায় কংশ নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
ময়মনসিংহ-ধোবাউড়া আঞ্চলিক সড়কের গোয়াতলায় কংশ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নির্মাণ করার ৩২ বছর পরেও বেইলি ব্রিজটি সংস্কার করা হয়নি। প্রতিদিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে চলছে অসংখ্য যানবাহন। একমাত্র আঞ্চলিক সড়ক হওয়ায় প্রতিদিন বাস এবং ট্রাকসহ প্রচুর ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে। ব্রিজে গাড়ি উঠার সময় স্টিলের পাঠাতন খুলে গিয়ে লাফাতে থাকে। এ সময় ব্রিজের মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারে আছে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নিচেই অনেক গভীরে কংশ নদী। নদীতে গাড়ি পড়ে গেলে ঘটবে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা। ইতোমধ্যে উঠে পড়ছে ব্রিজরে স্টিলের স্ল্যাপ। এতে করে ভীষণ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ব্রিজটি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৯১/৯২ সালে উপজেলার গোয়াতলা এবং তারাইকান্দি এলাকায় নদীর ওপরে দুটি স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এরপর থেকে সংস্কার না করায় ব্রিজদুটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্টিলের পাঠাতন সরে গিয়ে মাঝ খানে ফাঁকা হয়ে নড়বড়ে অবস্থা। কাঠের ঠুকরো দিয়ে দেয়া হয়েছে জোড়াতালি।
গাড়ি চলাচলের সময় থরথরে কাঁপে ব্রিজ। এ সময় আতঙ্কে থাকেন যাত্রীরা। ব্রিজটি সরু হওয়ায় যানযটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদেরকে। প্রতিদিনই অসংখ্য গাড়ি যানযটের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। কিন্তু নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রী, চালক এবং এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গোয়াতলা বেইলি ব্রিজে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির চাকার সঙ্গে নড়াছড়া করছে পাঠাতন। ব্রিজের মাঝখানে পাঠাতন সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে পড়ে আছে। ফাঁকা অংশে কাঠের ঠুকরো দিয়ে দেয়া হয়েছে জোড়াতালি।
স্থানীয় বৃদ্ধ তাইজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি অতিক্রম হওয়ার সময় আমাদের অনেক ভয় করে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। স্থানীয় কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন আমাদের এই ব্রিজ পার হয়ে কলেজে যাওয়া-আসা করতে হয়। ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এটি ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গাড়িচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, ব্রিজটির অবস্থা খুবই খারাপ। স্টিলের পাঠাতনগুলো নড়া-চড়া করে। এ ছাড়া ব্রিজটি সরু হওয়ায় প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আমরা চাই, খুব দ্রুত এখানে একটি বড় ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।
বেইলি ব্রিজটির ব্যাপারে ধোবাউড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই জায়গায় নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।