মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : টাকা দিয়েও ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না -সংবাদ
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১ মণ ধানের টাকায় মিলছে না একজন ধান কাটার লোক।
মাদারগঞ্জে ৭টি ইউনিয়নের সর্বত্র ধান ও ভুট্টা কাটা মাড়াইয়ের ভরা মৌসুম চলছে। ১ জন লোক ১০০০ হাজার থেকে ১১০০ শত টাকায় জোগান দেয়। ১ দিন কাজের বিনিময়ে তাকে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খোরাকী ও মাইনে দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও চাহিদা মেটাতে হচ্ছে সব গৃহস্থদের।
অন্য দিকে ১ মণ ধানের দাম দিয়েও ধান কাটার ১ জন মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হতাশায় ভুগছেন, সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুকনাই গ্রামের আলহাজ আব্দুল মতিন সরকার।
কারণ কয়েক দিনের মধ্যে ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি ধান কাটা দরকার। কিন্তু লোকে পাওয়া যাচ্ছে না।
মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে ঝড়-বৃষ্টির আগেই ধান কেটে মাড়াই কাজ শেষ করার জন্য। এরমধ্যে ধান কাটার ভরা মৌসুমে কয়েক দিন ধরে চলছে টানা তাপপ্রবাহ। গরম আর রোদে ধান কাটার লোকজন জমিতে কাজ করতে চাইছেন না।
গতকাল সোমবার সরেজমিন মাদারগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কৃষক ও কৃষিজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। কৃষকরা বলছেন, এখন আবহাওয়া ভালো, রোদ আছে, ধান, গম ও ভুট্টা কেটে শুকানোর এটা উপযুক্ত সময়। উঠতি ফসল পাকা বোর ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানখেত নষ্ট করে ফেলছে। এই সব এলাকায় আগে কখনও এ জাতের পোকা ছিল না। কারেন্ট পোকা যে জমিতে ঢুকছে কিছু সময়ের মধ্যেই সেই জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মাদারগঞ্জের কৃষকরা চড়া দামে লোকজন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই করছেন।
মাদারগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজারে বর্তমানে কাঁচা ধান ৯শ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামলাদের নগদ জনপ্রতি ১০০০ টাকা ও ৩ বেলার খাবারের খরচসহ প্রায় ১০০০ টাকা ১২০০ টাকা পড়ছে।
মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার বালিজুড়ী বাজার আগত ধান কাটা লোক রফিক বলেন, এই কাজ করতে গেলে বাজারে এক মণ ধান ৯শ টাকা লাগে। কামলাকে দিতে হয় ১০০০ টাকাসহ ৩ বেলা খাবার। ধানখেত পোকায় নষ্ট করে ফেলছে। ধানের দামের চেয়ে কামলার দাম বেশি।
ঝাড়কাটা এলাকায় কৃষি শ্রমিক সুরুজ্জামান বলেন. আমার অভাবের সংসার তাই বাধ্য হয়ে রোদে পুড়ে ধান কাটতে হয়। শরীর জ্বালা পোড়া করে। অসহ্য যন্ত্রণা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫ টানা ধান কাটতে হয়। অনেকেই চুক্তিতে কাজ করছেন। বৈশাখের প্রায় শেষ, কয়েক দিন পর ঝড় বৃষ্টি হবে, এ কারণে ফসল নষ্ট হবে, এ ভয়ে তাই কৃষক তাড়াহুড়া করে জমি থেকে পাকা ধান ও ভুট্টা কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত। প্রচণ্ড রোদে কৃষক পরিবারের বাবা ছেলে উভয়ই জমিতে ধান ও ভুট্টা কাটার কাজ করছেন মিলেমিশে।
চরপাকেরদহের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ধান কাটতে আমার খুবই কষ্ট হয়। তাই গরমে অতিষ্ঠ, বাধ্য হয়ে আমি এ কাজ করছি। সংসারে অভাব ও প্রয়োজন মেটাতে কাজ করতে হয়। সেই সঙ্গে স্ত্রী, পুত্র, কন্যার দু মুঠো খাবার জোগাড়ে করতে হয়।
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : টাকা দিয়েও ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১ মণ ধানের টাকায় মিলছে না একজন ধান কাটার লোক।
মাদারগঞ্জে ৭টি ইউনিয়নের সর্বত্র ধান ও ভুট্টা কাটা মাড়াইয়ের ভরা মৌসুম চলছে। ১ জন লোক ১০০০ হাজার থেকে ১১০০ শত টাকায় জোগান দেয়। ১ দিন কাজের বিনিময়ে তাকে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খোরাকী ও মাইনে দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও চাহিদা মেটাতে হচ্ছে সব গৃহস্থদের।
অন্য দিকে ১ মণ ধানের দাম দিয়েও ধান কাটার ১ জন মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হতাশায় ভুগছেন, সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুকনাই গ্রামের আলহাজ আব্দুল মতিন সরকার।
কারণ কয়েক দিনের মধ্যে ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি ধান কাটা দরকার। কিন্তু লোকে পাওয়া যাচ্ছে না।
মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে ঝড়-বৃষ্টির আগেই ধান কেটে মাড়াই কাজ শেষ করার জন্য। এরমধ্যে ধান কাটার ভরা মৌসুমে কয়েক দিন ধরে চলছে টানা তাপপ্রবাহ। গরম আর রোদে ধান কাটার লোকজন জমিতে কাজ করতে চাইছেন না।
গতকাল সোমবার সরেজমিন মাদারগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কৃষক ও কৃষিজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। কৃষকরা বলছেন, এখন আবহাওয়া ভালো, রোদ আছে, ধান, গম ও ভুট্টা কেটে শুকানোর এটা উপযুক্ত সময়। উঠতি ফসল পাকা বোর ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানখেত নষ্ট করে ফেলছে। এই সব এলাকায় আগে কখনও এ জাতের পোকা ছিল না। কারেন্ট পোকা যে জমিতে ঢুকছে কিছু সময়ের মধ্যেই সেই জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মাদারগঞ্জের কৃষকরা চড়া দামে লোকজন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই করছেন।
মাদারগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজারে বর্তমানে কাঁচা ধান ৯শ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামলাদের নগদ জনপ্রতি ১০০০ টাকা ও ৩ বেলার খাবারের খরচসহ প্রায় ১০০০ টাকা ১২০০ টাকা পড়ছে।
মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার বালিজুড়ী বাজার আগত ধান কাটা লোক রফিক বলেন, এই কাজ করতে গেলে বাজারে এক মণ ধান ৯শ টাকা লাগে। কামলাকে দিতে হয় ১০০০ টাকাসহ ৩ বেলা খাবার। ধানখেত পোকায় নষ্ট করে ফেলছে। ধানের দামের চেয়ে কামলার দাম বেশি।
ঝাড়কাটা এলাকায় কৃষি শ্রমিক সুরুজ্জামান বলেন. আমার অভাবের সংসার তাই বাধ্য হয়ে রোদে পুড়ে ধান কাটতে হয়। শরীর জ্বালা পোড়া করে। অসহ্য যন্ত্রণা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫ টানা ধান কাটতে হয়। অনেকেই চুক্তিতে কাজ করছেন। বৈশাখের প্রায় শেষ, কয়েক দিন পর ঝড় বৃষ্টি হবে, এ কারণে ফসল নষ্ট হবে, এ ভয়ে তাই কৃষক তাড়াহুড়া করে জমি থেকে পাকা ধান ও ভুট্টা কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত। প্রচণ্ড রোদে কৃষক পরিবারের বাবা ছেলে উভয়ই জমিতে ধান ও ভুট্টা কাটার কাজ করছেন মিলেমিশে।
চরপাকেরদহের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ধান কাটতে আমার খুবই কষ্ট হয়। তাই গরমে অতিষ্ঠ, বাধ্য হয়ে আমি এ কাজ করছি। সংসারে অভাব ও প্রয়োজন মেটাতে কাজ করতে হয়। সেই সঙ্গে স্ত্রী, পুত্র, কন্যার দু মুঠো খাবার জোগাড়ে করতে হয়।