গত একসপ্তাহ জুড়ে গাইবান্ধা সদরের ১৩ ইউনিয়নে বিপিএস (কারেন্ট পোকার) আক্রমণ ঠেকাতে পর্যুদস্ত কৃষকেরা। কারেন্ট পোকার অক্রমণ যেন ধানকাটার মাহেন্দ্রক্ষণে বাড়া ভাতে ছাই পড়ার মতো হয়ে উঠেছে কৃষকদের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে কৃষকরা এই চরম সময়ে কৃষিবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে কোন সাহায্য কিংবা পরামর্শ না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। জানা যায়, গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর ব্লকের ঝিনাম্বর মৌজায় ব্যপক কারেন্ট পোকার অক্রমণে ঐ এলাকার শতবিঘা জমির ধান নষ্ট হওয়ার পথে।
কৃষক মাসুদ মুজকুরী ও সুমন মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ আগে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষিঅফিসার মো. শাহাদৎ হোসেনের অফিসে গিয়ে জানালে তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে তাদের বিদায় করে দেন।
অন্যদিকে পোকার আক্রমণে প্রতিনিয়ত তাদের দুঃশ্চিন্তার সীমা ছাড়িয়ে যায়। তারা তাদের ঐ ব্লকে যে কোন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তার খোঁজ নিতে থাকেন কিন্তু কোন কর্মকর্তাই সেখানকার অবস্থা পরিদর্শনে না যাওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, ফার্মগেট ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক ওবায়দুর রহমান ম-লের কাছে ঐ ব্লকের কৃষি কর্মকর্তাদের দায়ীত্বহীন আচরণ ও কৃষকদের প্রতি অবহেলা দেখানোর অভিযোগ করেন।
অভিযোগ জানানোর ফলে নড়েচড়ে বসে গাইবান্ধা সদরের কৃষি অফিস গত শনিবার গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী ও সৈয়দ সুমনসহ অপর একজন কর্মকর্তা ঝিনাশ্বর এলাকায় গিয়ে কৃষক মাসুদ মৃজকুরী ও সুমন মিয়াসহ সবার সাথে সাক্ষাত করেন এবং নিজেরাই পোকায় অক্রান্ত জমিগুলিতে গিয়ে অক্রান্ত স্থানগুলির ধান কর্তন করেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসেন।
জানা যায়, বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর ব্লকের দায়িত্ব পালনকারী কৃষিকর্মকতা সাবিনা ইয়াসমীন। এ ব্লকের বেশীভাগ কৃষক তাকে চেনেনা। তারা বিগত কয়েক বছরেও একবারও তার কর্মএলাকা পরিদর্শন করতে দেখেননি। ওই এলাকার কৃষকরা তাকে চেনেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
গত একসপ্তাহ জুড়ে গাইবান্ধা সদরের ১৩ ইউনিয়নে বিপিএস (কারেন্ট পোকার) আক্রমণ ঠেকাতে পর্যুদস্ত কৃষকেরা। কারেন্ট পোকার অক্রমণ যেন ধানকাটার মাহেন্দ্রক্ষণে বাড়া ভাতে ছাই পড়ার মতো হয়ে উঠেছে কৃষকদের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে কৃষকরা এই চরম সময়ে কৃষিবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে কোন সাহায্য কিংবা পরামর্শ না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। জানা যায়, গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর ব্লকের ঝিনাম্বর মৌজায় ব্যপক কারেন্ট পোকার অক্রমণে ঐ এলাকার শতবিঘা জমির ধান নষ্ট হওয়ার পথে।
কৃষক মাসুদ মুজকুরী ও সুমন মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ আগে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষিঅফিসার মো. শাহাদৎ হোসেনের অফিসে গিয়ে জানালে তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে তাদের বিদায় করে দেন।
অন্যদিকে পোকার আক্রমণে প্রতিনিয়ত তাদের দুঃশ্চিন্তার সীমা ছাড়িয়ে যায়। তারা তাদের ঐ ব্লকে যে কোন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তার খোঁজ নিতে থাকেন কিন্তু কোন কর্মকর্তাই সেখানকার অবস্থা পরিদর্শনে না যাওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, ফার্মগেট ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক ওবায়দুর রহমান ম-লের কাছে ঐ ব্লকের কৃষি কর্মকর্তাদের দায়ীত্বহীন আচরণ ও কৃষকদের প্রতি অবহেলা দেখানোর অভিযোগ করেন।
অভিযোগ জানানোর ফলে নড়েচড়ে বসে গাইবান্ধা সদরের কৃষি অফিস গত শনিবার গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী ও সৈয়দ সুমনসহ অপর একজন কর্মকর্তা ঝিনাশ্বর এলাকায় গিয়ে কৃষক মাসুদ মৃজকুরী ও সুমন মিয়াসহ সবার সাথে সাক্ষাত করেন এবং নিজেরাই পোকায় অক্রান্ত জমিগুলিতে গিয়ে অক্রান্ত স্থানগুলির ধান কর্তন করেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসেন।
জানা যায়, বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কোমরপুর ব্লকের দায়িত্ব পালনকারী কৃষিকর্মকতা সাবিনা ইয়াসমীন। এ ব্লকের বেশীভাগ কৃষক তাকে চেনেনা। তারা বিগত কয়েক বছরেও একবারও তার কর্মএলাকা পরিদর্শন করতে দেখেননি। ওই এলাকার কৃষকরা তাকে চেনেন না বলে অভিযোগ করেছেন।