সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বরূপপুর গ্রামে ইটভাটার গ্যাসের আগুনের তাপে শতাধিক বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকেরা দাবি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, মনি হাজীর মালিকানাধীন এজিএম ইটভাটার চুল্লি থেকে বের হওয়া আগুনের তাপে এসব ধান পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক নারী-পুরুষ কৃষক উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তারা ইটভাটার মালিক মনি হাজীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। বিক্ষোভ শেষে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন এজিএম ইটভাটার মালিক মনি হাজীর।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আশানুর প্রামানিক, কালু প্রামানিক ও আব্দুল হানিফ সরকার জানান, গত সোমবার রাতে হঠাৎ করেই এজিএন ইটভাটার চুল্লি থেকে আগুন বের হতে থাকে। সেই আগুনের তাপে আশপাশের জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন, দ্রুত ইট পোড়ানো শেষ করতে ইটভাটার ফাজার মুখ খুলে দেযার ফলে চুল্লির ছাইয়ের আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারনে ইটভাটার আশপাশের জমির ধান পুড়ে গেছে। তারা আরও জানান, মনি হাজী অবৈধভাবে কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করায় প্রতিবছরই জমির ফসল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে। গত বছরেও ওই ভাটার চুল্লির আগুনে অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আন্দোলনের মুখে তিনি তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হন।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই এলাকার ৯টি স্কিমে প্রায় ২শ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করা হয়েছে। ভাটার আগুনের তাপে মোট কী পরিমান জমির ধান পুড়ে গেছে এবং তাতে কী পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শাহজাদুপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলার স্বরূপপুর গ্রামে ইটভাটার আগুনের তাপে ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিনে তদন্ত করে এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বরূপপুর গ্রামে ইটভাটার গ্যাসের আগুনের তাপে শতাধিক বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকেরা দাবি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, মনি হাজীর মালিকানাধীন এজিএম ইটভাটার চুল্লি থেকে বের হওয়া আগুনের তাপে এসব ধান পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক নারী-পুরুষ কৃষক উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তারা ইটভাটার মালিক মনি হাজীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। বিক্ষোভ শেষে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন এজিএম ইটভাটার মালিক মনি হাজীর।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আশানুর প্রামানিক, কালু প্রামানিক ও আব্দুল হানিফ সরকার জানান, গত সোমবার রাতে হঠাৎ করেই এজিএন ইটভাটার চুল্লি থেকে আগুন বের হতে থাকে। সেই আগুনের তাপে আশপাশের জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন, দ্রুত ইট পোড়ানো শেষ করতে ইটভাটার ফাজার মুখ খুলে দেযার ফলে চুল্লির ছাইয়ের আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারনে ইটভাটার আশপাশের জমির ধান পুড়ে গেছে। তারা আরও জানান, মনি হাজী অবৈধভাবে কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করায় প্রতিবছরই জমির ফসল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে। গত বছরেও ওই ভাটার চুল্লির আগুনে অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আন্দোলনের মুখে তিনি তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হন।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই এলাকার ৯টি স্কিমে প্রায় ২শ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করা হয়েছে। ভাটার আগুনের তাপে মোট কী পরিমান জমির ধান পুড়ে গেছে এবং তাতে কী পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শাহজাদুপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলার স্বরূপপুর গ্রামে ইটভাটার আগুনের তাপে ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিনে তদন্ত করে এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।