নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের দৌলতরামদি গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক রমজান মিয়া জামে মসজিদ আজও টিকে আছে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। মোঘল আমলের স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটি স্থানীয়ভাবে ‘চৌধুরী মসজিদ’ নামে পরিচিত। প্রায় ১৭৭০ সালে শায়খ নূরুল্লাহ চৌধুরী ও শায়খ মুজীর আলী চৌধুরী মসজিদটির ভিত্তি স্থাপন করেন। বর্তমানে তাদের বংশধর শরীফ উল্ল্যাহ চৌধুরী এই মসজিদের মুতাওয়াল্লি (তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মসজিদটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর তিনটি গম্বুজ, চারটি মিনার এবং ১২টি পিলারের ওপর নির্মিত ছাদ। প্রবেশপথে রয়েছে একটি বড় ও দুটি ছোট দরজা। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়েছে ইট, বালু ও চুন-সুরকি। পরে আধুনিক উপকরণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে সিমেন্ট ও টাইলস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এক সময় এটি ছিল এলাকার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের প্রাণকেন্দ্র। এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও ঈদের জামাত, তারাবি, ইফতার ও ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। সম্প্রতি মসজিদটির অনেক অংশ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সঠিক সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে পড়ছে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি। স্থানীয়দের দাবি, রমজান মিয়া জামে মসজিদকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি চিনে রাখতে পারে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের দৌলতরামদি গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক রমজান মিয়া জামে মসজিদ আজও টিকে আছে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। মোঘল আমলের স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটি স্থানীয়ভাবে ‘চৌধুরী মসজিদ’ নামে পরিচিত। প্রায় ১৭৭০ সালে শায়খ নূরুল্লাহ চৌধুরী ও শায়খ মুজীর আলী চৌধুরী মসজিদটির ভিত্তি স্থাপন করেন। বর্তমানে তাদের বংশধর শরীফ উল্ল্যাহ চৌধুরী এই মসজিদের মুতাওয়াল্লি (তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মসজিদটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর তিনটি গম্বুজ, চারটি মিনার এবং ১২টি পিলারের ওপর নির্মিত ছাদ। প্রবেশপথে রয়েছে একটি বড় ও দুটি ছোট দরজা। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়েছে ইট, বালু ও চুন-সুরকি। পরে আধুনিক উপকরণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে সিমেন্ট ও টাইলস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এক সময় এটি ছিল এলাকার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের প্রাণকেন্দ্র। এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও ঈদের জামাত, তারাবি, ইফতার ও ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। সম্প্রতি মসজিদটির অনেক অংশ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সঠিক সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে পড়ছে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি। স্থানীয়দের দাবি, রমজান মিয়া জামে মসজিদকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি চিনে রাখতে পারে।