alt

সারাদেশ

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক কন্যা মুক্তা দোষাদ’র সাফল্য

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার : শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত, পর্যটন নগরী, চারদিকে সবুজ চা বাগানে ঘেরা শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের কন্যা মুক্তা দোষাদ। চা বাগানের গণ্ডি পেরিয়ে মুক্তা বর্তমানে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন্স থেকে ২০২৪ সালে এপারেল এন্ড রিটেল ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট এর উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে।

জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল থানার রাজঘাট চা বাগানের মৃত দীপচাঁন দোষাদ এর কন্যা মুক্তা দোষাদ। তাঁর মাতার সুমিত্রা দোষাদ। তারা তিন বোন। মুক্তা বোনদের মাঝে দ্বিতীয়।

চা পাতার নরম সবুজে ঘেরা পাহাড়ে শৈশব-কৈশোর কাটলেও পথচলার প্রতিটি বাঁকে মুক্তাকে সম্মুখীন হতে হয়েছে কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। অল্পবয়সেই তিনি বাবাকে হারান । চা বাগানের রীতি অনুযায়ী মুক্তার মাকে বলা হয় চা শ্রমিকের কাজ নিতে। নাহলে ছেড়ে দিতে তাদের মাথাগোঁজার একমাত্র আশ্রয়। তিন কন্যাকে নিয়ে শুরু হয় মুক্তার মায়ের সংগ্রাম।ঐ সময়ে দিনে ৭০ টাকা মজুরিতে সেই সংসার চালানো ছিল অসম্ভব।

মুক্তা বলেন, ‘আমরা সপ্তাহে একদিন মাছ খেতাম। মাংস হয়তো দুই মাসে একদিন।’ তবু থেমে থাকেনি তাঁর স্বপ্ন। ভালো স্কুলের অভাব, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি , আর ক্রমাগত আর্থিক সংকট- সবকিছুর মাঝেও মুক্তা তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন।

বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পড়াশোনার খরচ যোগাতে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় থেকেই শুরু করেন টিউশনি। ভোর সাতটায় উঠে দুটো টিউশন করানো। তারপর কলেজ করে কোচিং শেষে আরও তিনটি টিউশন করে রাতে বাড়ি ফিরতেন। এভাবে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেকেই চালাতে হয়েছে কিশোরী মুক্তাকে। তিনি বুঝতে পারতেন মায়ের একার আয়ে তাঁর আর ছোট বোনের পড়াশোনা সম্ভব নয়।

মুক্তার উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন থেকে একটি শিক্ষাবৃত্তি অর্জনের মাধ্যমে।

সমাজ ও পরিবারের বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকে যায় মেধাবী মুক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মা-ই ছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা। অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও মা তাঁকে সাহস দিয়ে বলেন, ‘তুই যদি যেতে চাস মা, তাহলে যা। নিজের স্বপ্ন পূরণ কর।’

চা শ্রমিকদের জীবনের কঠিন বাস্তবতা মুক্তা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাই নিজের সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ভাবনা প্রতিনিয়ত তাঁকে আলোড়িত করতো। সেই তাড়না থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি যুক্ত হন University Tea Students Association (UTSA)-এর সাথে। এই সংগঠনটি চা বাগানের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে।

মুক্তা বিশ্বাস মনে করেন চা বাগানের প্রতিটি শিশুকে সঠিক শিক্ষা আর সুযোগ দেওয়া গেলে বদলে যাবে তাদের জীবন। শিক্ষা অর্জনের সাথে সাথে সকল প্রতিকূলতা থেকেও মুক্তি মিলবে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে মুক্তার অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে।

মূল্যবোধ ভিত্তিক সামাজিক নেতৃত্বে দক্ষতা বাড়াতে ২০২২ সালে তিনি অংশগ্রহণ করেন আমরা নতুন নেটওয়ার্কের চেইঞ্জমেকার ট্রেনিং-এর চট্টগ্রাম কোহর্টে।

২০২২ সালেই একজন তরুণ অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নির্বাচিত ১০০ জন যুব প্রতিনিধি’র একজন হন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান।

২০২৩ সালে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর আইসিডিডিআরবি ( ওঈউউজই) আয়োজিত একটি জাতীয় পর্যায়ের একটি প্রকল্প সম্মেলনে তিনি মোট ১০০ জন নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হন এবং সেখানে “সেরা প্রকল্প লিডার” পুরস্কার লাভ করেন।

Teach for Bangladesh-এর ২০২৪ কোহর্টের একজন প্রতিশ্রুতিশীল ফেলো হিসেবেও নির্বাচিত হন তিনি।

মুক্তা দোষাদ প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হয় । আর সেই স্বপ্নের পথে লড়াই করার সাহস থাকতে হয়।

মুক্তা মনে করেন তাঁর নিজের সংগ্রাম যদি এতদূর পৌঁছাতে পারে তাহলে চা বাগানের প্রতিটি সন্তানকে সঠিক সুযোগ আর শিক্ষা দিলে তারাও দেশের গর্ব হয়ে উঠবে।

ছবি

প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে ধামতীর ঐতিহ্যবাহী নলুয়ার খেলার মাঠ

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরের পলিটেকনিক বাংলাবাজার সড়ক দখলদারদের স্বর্গরাজ্য

মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ওষুধ ভেবে বিষপানে শিশুর মৃত্যু

মহালছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ

রামুতে বজ্রপাতে আহত ১৫

নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

পরকীয়া প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ৪

গলায় ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

ছবি

উদয়ন সমিতির বদান্যতায় ৩৪ শিক্ষার্থী পেল বাইসাইকেল

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ তিনজনের মৃত্যু

সীমান্তে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণ উদ্ধার

স্টেশনে অভিযান চালাবে বিস্ফোরক পরিদপ্তর

ছবি

সৈয়দপুরে ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াডের ওয়ার্কশপ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বাসায় তাণ্ডব, মামলা নিতে ওসির তালবাহানার অভিযোগ

ছবি

ঈদ স্পেশাল ট্রেন থেকে বঞ্চিত সৈয়দপুর-নীলফামারী অঞ্চল

রাণীনগরে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

সুনামগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনবিষয়ক প্রশিক্ষণ

সিরাজগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

দশমিনায় ‘সংবাদ’ প্রতিনিধির বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ছবি

তিস্তার ডান তীরের ভাঙনরোধ কাজে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষিত

বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া কলেজঘাট নির্মাণেকাজে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

ভোগান্তির মধ্যেও বন্ধ হয়নি পরীক্ষা, জলমগ্ন রুমেই চলে এক ঘণ্টার পরীক্ষা

ভেড়ামারায় দাঁত তুলতে গিয়ে ৯ বছরের মেয়েকে যৌন হয়রানি, ডেন্টিস্ট আটক

ছবি

নিম্নচাপে লণ্ড-ভণ্ড সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাট

সিংড়ায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, অগ্নিদগ্ধ জাকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক

ইসলামপুরে ৬০৩ বস্তা ভিজিডি চাল জব্দ

ছবি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

রাজশাহীতে গুম হওয়াদের ফিরে পাওয়ার দাবিতে সভা

৪ কোটি টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ : সাবেক বন সংরক্ষক মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত

চাটখিলে ছয় নারীসহ গ্রেপ্তার ১৫

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ছবি

দীঘিনালা ও লক্ষ্মীছড়িতে নদীর পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ ২, একজনের লাশ উদ্ধার

২৫০ বিনিয়োগকারী-ব্যবসায়ী নিয়ে ঢাকায় চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী

tab

সারাদেশ

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক কন্যা মুক্তা দোষাদ’র সাফল্য

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার

শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত, পর্যটন নগরী, চারদিকে সবুজ চা বাগানে ঘেরা শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের কন্যা মুক্তা দোষাদ। চা বাগানের গণ্ডি পেরিয়ে মুক্তা বর্তমানে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন্স থেকে ২০২৪ সালে এপারেল এন্ড রিটেল ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট এর উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে।

জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল থানার রাজঘাট চা বাগানের মৃত দীপচাঁন দোষাদ এর কন্যা মুক্তা দোষাদ। তাঁর মাতার সুমিত্রা দোষাদ। তারা তিন বোন। মুক্তা বোনদের মাঝে দ্বিতীয়।

চা পাতার নরম সবুজে ঘেরা পাহাড়ে শৈশব-কৈশোর কাটলেও পথচলার প্রতিটি বাঁকে মুক্তাকে সম্মুখীন হতে হয়েছে কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। অল্পবয়সেই তিনি বাবাকে হারান । চা বাগানের রীতি অনুযায়ী মুক্তার মাকে বলা হয় চা শ্রমিকের কাজ নিতে। নাহলে ছেড়ে দিতে তাদের মাথাগোঁজার একমাত্র আশ্রয়। তিন কন্যাকে নিয়ে শুরু হয় মুক্তার মায়ের সংগ্রাম।ঐ সময়ে দিনে ৭০ টাকা মজুরিতে সেই সংসার চালানো ছিল অসম্ভব।

মুক্তা বলেন, ‘আমরা সপ্তাহে একদিন মাছ খেতাম। মাংস হয়তো দুই মাসে একদিন।’ তবু থেমে থাকেনি তাঁর স্বপ্ন। ভালো স্কুলের অভাব, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি , আর ক্রমাগত আর্থিক সংকট- সবকিছুর মাঝেও মুক্তা তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন।

বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পড়াশোনার খরচ যোগাতে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় থেকেই শুরু করেন টিউশনি। ভোর সাতটায় উঠে দুটো টিউশন করানো। তারপর কলেজ করে কোচিং শেষে আরও তিনটি টিউশন করে রাতে বাড়ি ফিরতেন। এভাবে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেকেই চালাতে হয়েছে কিশোরী মুক্তাকে। তিনি বুঝতে পারতেন মায়ের একার আয়ে তাঁর আর ছোট বোনের পড়াশোনা সম্ভব নয়।

মুক্তার উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন থেকে একটি শিক্ষাবৃত্তি অর্জনের মাধ্যমে।

সমাজ ও পরিবারের বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকে যায় মেধাবী মুক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মা-ই ছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা। অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও মা তাঁকে সাহস দিয়ে বলেন, ‘তুই যদি যেতে চাস মা, তাহলে যা। নিজের স্বপ্ন পূরণ কর।’

চা শ্রমিকদের জীবনের কঠিন বাস্তবতা মুক্তা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাই নিজের সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ভাবনা প্রতিনিয়ত তাঁকে আলোড়িত করতো। সেই তাড়না থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি যুক্ত হন University Tea Students Association (UTSA)-এর সাথে। এই সংগঠনটি চা বাগানের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে।

মুক্তা বিশ্বাস মনে করেন চা বাগানের প্রতিটি শিশুকে সঠিক শিক্ষা আর সুযোগ দেওয়া গেলে বদলে যাবে তাদের জীবন। শিক্ষা অর্জনের সাথে সাথে সকল প্রতিকূলতা থেকেও মুক্তি মিলবে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে মুক্তার অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে।

মূল্যবোধ ভিত্তিক সামাজিক নেতৃত্বে দক্ষতা বাড়াতে ২০২২ সালে তিনি অংশগ্রহণ করেন আমরা নতুন নেটওয়ার্কের চেইঞ্জমেকার ট্রেনিং-এর চট্টগ্রাম কোহর্টে।

২০২২ সালেই একজন তরুণ অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নির্বাচিত ১০০ জন যুব প্রতিনিধি’র একজন হন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান।

২০২৩ সালে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর আইসিডিডিআরবি ( ওঈউউজই) আয়োজিত একটি জাতীয় পর্যায়ের একটি প্রকল্প সম্মেলনে তিনি মোট ১০০ জন নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হন এবং সেখানে “সেরা প্রকল্প লিডার” পুরস্কার লাভ করেন।

Teach for Bangladesh-এর ২০২৪ কোহর্টের একজন প্রতিশ্রুতিশীল ফেলো হিসেবেও নির্বাচিত হন তিনি।

মুক্তা দোষাদ প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হয় । আর সেই স্বপ্নের পথে লড়াই করার সাহস থাকতে হয়।

মুক্তা মনে করেন তাঁর নিজের সংগ্রাম যদি এতদূর পৌঁছাতে পারে তাহলে চা বাগানের প্রতিটি সন্তানকে সঠিক সুযোগ আর শিক্ষা দিলে তারাও দেশের গর্ব হয়ে উঠবে।

back to top