alt

সারাদেশ

শিকার নিষিদ্ধ মাছ পরিবহনের নিরাপদ সড়ক আমতলী পয়েন্ট চেকপোস্ট বসানোর দাবি

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা) : শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বঙ্গোপসাগরের নিষিদ্ধ মাছ পরিবহনের নিরাপদ সড়ক আমতলী পয়েন্ট। ট্রাফিক, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহন গাড়িতে অনায়াসে ঢাকায় মাছ যাচ্ছে। ফলে সাগরে সরকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। দ্রুত পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী পয়েন্টে ট্রাফিক, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি এবং চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন ৫৮ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করেছেন সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপকূলীয় অঞ্চল মহিপুর, আলীপুর, কুয়াকাটা এবং তালতলীর অসাধু ব্যবসায়ীরা উপজেলার মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জেলেদের দিয়ে সাগরে মাছ শিকার করাচ্ছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। অসাধু ব্যবসায়ীরা কুয়াকাটা, কলাপাড়া, তালতলী ও ফকিরহাট বাস স্ট্যান্ডে ওই মাছ ডোলে করে ইসলাম, মিজান, আলিফ, অন্তরা, ইটালী, হাসান এবং যমুনাসহ বিভিন্ন পরিবহন গাড়িতে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা এবং তালতলী এই ৩ সড়কের মধ্যস্থান আমতলী চৌরাস্তা। ওই সব সড়কের পরিবহনগুলো আমতলী হয়ে যেতে হয়। আমতলী ছাড়া এই সব পরিবহন গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে দাবি করেন গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম। প্রতিদিনই এই সড়ক হয়ে বঙ্গোপসাগরে নিষিদ্ধ শিকার করা মাছ পরিবহনে যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মাছ আহরনের পরিবহন গাড়িগুলো আমতলী পয়েন্ট ত্যাগ করা শুরু করে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ওই সময়ে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ থাকার কথা থাকলেও কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা সড়কে থাকে না। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশ ম্যানেজ করে ব্যবসায়ীরা রাতে মাছ পরিবহনের গাড়ি গুলো আমতলী অতিক্রম করছে। ফলে অনায়াসে তারা আমতলী পয়েন্ট ত্যাগ করতে পারে। তবে এমন অভিযোগ ট্রাফিক বিভাগ অস্বীকার করছেন। মাঝে মধ্যে দুয়েকদিন মাছসহ পরিবহনগাড়ি প্রশাসনের কব্জায় ধরা পড়লেও তা অত্যান্ত প্রতুল বলে জানান রুবেল মিয়া। এই সড়কে মাছ পরিবহন বন্ধ করতে হলে ট্রাফিক টহল, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনকে সজাগ হতে হবে। মাছ আহরনের পরিবহন বন্ধ করতে না পারলে সাগরে মাছ শিকারো বন্ধ হবে না বলে আরও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধের ৪০ দিন পেরিয়ে গেলেও আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ তিন দিনে মাত্র তিনটি পরিবহন গাড়ি থেকে ৪১ মণ মাছ জব্দ করেছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কোন তৎপরতা নেই। অভিযোগ রয়েছে তালতলীর ফকিরহাটে কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তাদের সামনের সড়কে সাগর থেকে জেলেদের শিকার করা মাছ ব্যবসায়ীরা পরিবহন গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন কিন্তু তারা নির্ভিকার। আরও অভিযোগ রয়েছে কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও তালতলী উপজেলা মৎস্য বিভাগ ম্যানেজ করেই জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করছেন। অপর দিকে তালতলী অফিসের সামনেই বাস স্ট্যান্ড। তাদের নাকের ডগায় ব্যবসায়ীরা পরিবহন গাড়িতে মাছের ডোল তুললেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত পটুয়াখালী, কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে পরিবহন তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। জেলে সুলতান, রফেজ ও আবুল বাশার বলেন, ব্যবসায়ীরা মাছ শিকার করতে সাগরে পাঠায়, তাই সাগরে মাছ শিকার যাই। সাগরে কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ আমাদের মাছ শিকার করা দেখেও তো কিছুই বলে না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তালতলী নিদ্রাসকিনা কোস্টগার্ড স্টেশনের ইনচার্জ সুজাউদ্দিন মাহমুদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ওই স্টেশনের গোয়েন্দা বিভাগের হাবিবুর রহমান বলেন, তথ্য পেলে আমরা সাগরে অভিযান পরিচালনা করি। ফকিরহাটে যে মাছ উঠছে তা সাগরের মাছ নয়, নদীর মাছ। সাগরের মাছ গাড়িতে করে আপনাদের সামনে দিয়েই নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা তার কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি বলতে পারবো না। কোস্টগার্ড স্টেশনের ইনচার্জ সুজাউদ্দিন মাহমুদ বলতে পারবেন। এই বিষয়ে জানতে তালতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, গত মাসের আইন-শৃংখলা সভায় সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধের এই ৫৮ দিন পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী চৌরাস্তায় চেকপোস্ট বসানোর অনুরোধ করেছিলাম আমি। কিন্তু পুলিশ রাজি হয়নি। আমার দপ্তরে সেরকম জনবল নেই, যে অমি চেকওপাষ্ট বসাবো। ফলে পরিবহন আটকে মাছ জব্দ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মৎস্য বিভাগ চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ চাইলেই আমি পুলিশ দিতে পারি। কিন্তু তারা তো কোন চেকপোস্টই বসায় না। আমি তাহলে কোথায় পুলিশ পাঠাব! আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, মাছ পরিবহন বন্ধে চেকপোস্ট বসানো হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়েছে। চেকপোস্ট বসিয়ে এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

ছবি

প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে ধামতীর ঐতিহ্যবাহী নলুয়ার খেলার মাঠ

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরের পলিটেকনিক বাংলাবাজার সড়ক দখলদারদের স্বর্গরাজ্য

মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ওষুধ ভেবে বিষপানে শিশুর মৃত্যু

মহালছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ

রামুতে বজ্রপাতে আহত ১৫

নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

পরকীয়া প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ৪

গলায় ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

ছবি

উদয়ন সমিতির বদান্যতায় ৩৪ শিক্ষার্থী পেল বাইসাইকেল

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ তিনজনের মৃত্যু

সীমান্তে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণ উদ্ধার

স্টেশনে অভিযান চালাবে বিস্ফোরক পরিদপ্তর

ছবি

সৈয়দপুরে ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াডের ওয়ার্কশপ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বাসায় তাণ্ডব, মামলা নিতে ওসির তালবাহানার অভিযোগ

ছবি

ঈদ স্পেশাল ট্রেন থেকে বঞ্চিত সৈয়দপুর-নীলফামারী অঞ্চল

রাণীনগরে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

সুনামগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনবিষয়ক প্রশিক্ষণ

সিরাজগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

দশমিনায় ‘সংবাদ’ প্রতিনিধির বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ছবি

তিস্তার ডান তীরের ভাঙনরোধ কাজে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষিত

বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া কলেজঘাট নির্মাণেকাজে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

ভোগান্তির মধ্যেও বন্ধ হয়নি পরীক্ষা, জলমগ্ন রুমেই চলে এক ঘণ্টার পরীক্ষা

ভেড়ামারায় দাঁত তুলতে গিয়ে ৯ বছরের মেয়েকে যৌন হয়রানি, ডেন্টিস্ট আটক

ছবি

নিম্নচাপে লণ্ড-ভণ্ড সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাট

সিংড়ায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, অগ্নিদগ্ধ জাকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক

ইসলামপুরে ৬০৩ বস্তা ভিজিডি চাল জব্দ

ছবি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

রাজশাহীতে গুম হওয়াদের ফিরে পাওয়ার দাবিতে সভা

৪ কোটি টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ : সাবেক বন সংরক্ষক মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত

চাটখিলে ছয় নারীসহ গ্রেপ্তার ১৫

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ছবি

দীঘিনালা ও লক্ষ্মীছড়িতে নদীর পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ ২, একজনের লাশ উদ্ধার

২৫০ বিনিয়োগকারী-ব্যবসায়ী নিয়ে ঢাকায় চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী

tab

সারাদেশ

শিকার নিষিদ্ধ মাছ পরিবহনের নিরাপদ সড়ক আমতলী পয়েন্ট চেকপোস্ট বসানোর দাবি

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)

শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বঙ্গোপসাগরের নিষিদ্ধ মাছ পরিবহনের নিরাপদ সড়ক আমতলী পয়েন্ট। ট্রাফিক, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহন গাড়িতে অনায়াসে ঢাকায় মাছ যাচ্ছে। ফলে সাগরে সরকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। দ্রুত পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী পয়েন্টে ট্রাফিক, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি এবং চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন ৫৮ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করেছেন সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপকূলীয় অঞ্চল মহিপুর, আলীপুর, কুয়াকাটা এবং তালতলীর অসাধু ব্যবসায়ীরা উপজেলার মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জেলেদের দিয়ে সাগরে মাছ শিকার করাচ্ছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। অসাধু ব্যবসায়ীরা কুয়াকাটা, কলাপাড়া, তালতলী ও ফকিরহাট বাস স্ট্যান্ডে ওই মাছ ডোলে করে ইসলাম, মিজান, আলিফ, অন্তরা, ইটালী, হাসান এবং যমুনাসহ বিভিন্ন পরিবহন গাড়িতে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা এবং তালতলী এই ৩ সড়কের মধ্যস্থান আমতলী চৌরাস্তা। ওই সব সড়কের পরিবহনগুলো আমতলী হয়ে যেতে হয়। আমতলী ছাড়া এই সব পরিবহন গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে দাবি করেন গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম। প্রতিদিনই এই সড়ক হয়ে বঙ্গোপসাগরে নিষিদ্ধ শিকার করা মাছ পরিবহনে যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মাছ আহরনের পরিবহন গাড়িগুলো আমতলী পয়েন্ট ত্যাগ করা শুরু করে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ওই সময়ে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ থাকার কথা থাকলেও কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা সড়কে থাকে না। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশ ম্যানেজ করে ব্যবসায়ীরা রাতে মাছ পরিবহনের গাড়ি গুলো আমতলী অতিক্রম করছে। ফলে অনায়াসে তারা আমতলী পয়েন্ট ত্যাগ করতে পারে। তবে এমন অভিযোগ ট্রাফিক বিভাগ অস্বীকার করছেন। মাঝে মধ্যে দুয়েকদিন মাছসহ পরিবহনগাড়ি প্রশাসনের কব্জায় ধরা পড়লেও তা অত্যান্ত প্রতুল বলে জানান রুবেল মিয়া। এই সড়কে মাছ পরিবহন বন্ধ করতে হলে ট্রাফিক টহল, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনকে সজাগ হতে হবে। মাছ আহরনের পরিবহন বন্ধ করতে না পারলে সাগরে মাছ শিকারো বন্ধ হবে না বলে আরও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধের ৪০ দিন পেরিয়ে গেলেও আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ তিন দিনে মাত্র তিনটি পরিবহন গাড়ি থেকে ৪১ মণ মাছ জব্দ করেছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কোন তৎপরতা নেই। অভিযোগ রয়েছে তালতলীর ফকিরহাটে কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তাদের সামনের সড়কে সাগর থেকে জেলেদের শিকার করা মাছ ব্যবসায়ীরা পরিবহন গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন কিন্তু তারা নির্ভিকার। আরও অভিযোগ রয়েছে কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও তালতলী উপজেলা মৎস্য বিভাগ ম্যানেজ করেই জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করছেন। অপর দিকে তালতলী অফিসের সামনেই বাস স্ট্যান্ড। তাদের নাকের ডগায় ব্যবসায়ীরা পরিবহন গাড়িতে মাছের ডোল তুললেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত পটুয়াখালী, কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে পরিবহন তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। জেলে সুলতান, রফেজ ও আবুল বাশার বলেন, ব্যবসায়ীরা মাছ শিকার করতে সাগরে পাঠায়, তাই সাগরে মাছ শিকার যাই। সাগরে কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ আমাদের মাছ শিকার করা দেখেও তো কিছুই বলে না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তালতলী নিদ্রাসকিনা কোস্টগার্ড স্টেশনের ইনচার্জ সুজাউদ্দিন মাহমুদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ওই স্টেশনের গোয়েন্দা বিভাগের হাবিবুর রহমান বলেন, তথ্য পেলে আমরা সাগরে অভিযান পরিচালনা করি। ফকিরহাটে যে মাছ উঠছে তা সাগরের মাছ নয়, নদীর মাছ। সাগরের মাছ গাড়িতে করে আপনাদের সামনে দিয়েই নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা তার কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি বলতে পারবো না। কোস্টগার্ড স্টেশনের ইনচার্জ সুজাউদ্দিন মাহমুদ বলতে পারবেন। এই বিষয়ে জানতে তালতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, গত মাসের আইন-শৃংখলা সভায় সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধের এই ৫৮ দিন পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী চৌরাস্তায় চেকপোস্ট বসানোর অনুরোধ করেছিলাম আমি। কিন্তু পুলিশ রাজি হয়নি। আমার দপ্তরে সেরকম জনবল নেই, যে অমি চেকওপাষ্ট বসাবো। ফলে পরিবহন আটকে মাছ জব্দ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মৎস্য বিভাগ চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ চাইলেই আমি পুলিশ দিতে পারি। কিন্তু তারা তো কোন চেকপোস্টই বসায় না। আমি তাহলে কোথায় পুলিশ পাঠাব! আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, মাছ পরিবহন বন্ধে চেকপোস্ট বসানো হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়েছে। চেকপোস্ট বসিয়ে এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

back to top