বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি জনপদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে আশপাশের বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এই দুটি এলাকা হলো পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড এবং ৪ নং ওয়ার্ডের তিওরপাড়া গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই এলাকার বাসিন্দারা এলাকা দুটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার বিষয়ে নানা উদ্যোগ নিলেও, এখন পর্যন্ত সেখানে কোন স্কুল তৈরি হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এই গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক পথ পার হয়ে পার্শ্ববর্তী বিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলসা আহসান উল্লাহ ইনস্টিটিউশন
স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময়ই নানা দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যায় না।
এই গ্রামে ২ হাজার মানুষ
বসবাস করেন
ফলে স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সান্তাহার পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডে ৬ হাজার বাসিন্দা বসবাস করেন। ঐ এলাকার কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্নভাবে রেলপথ অতিক্রম করে পাশ্ববর্র্তি সান্তাহার হার্ভে সরকারি প্রাথমিক এবং এসএমআই একাডেমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে যায়। এই সমস্ত রেলপথ দিয়ে দিনে ২০ থেকে ২২ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে।
ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অবিভাবকদের অত্যন্ত দুঃশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। অন্যদিকে পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের তিওরপাড়া গ্রামেও নেই কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মুত্তিযুদ্ধের পর থেকেই এই গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক পথ পার হয়ে পাশ্ববর্তী বিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলসা আহসান উল্লাহ ইনস্টিটিউশন স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময়ই নানা দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যায় না। এই গ্রামে ২ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সান্তাহার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আলহাজ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমিসহ অন্যরা এই ওযার্ডে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ স্কুল করার জন্য জমি দান না করার কারণে স্কুল করা যায়নি।
তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, সান্তাহার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে কোনো সরকারি প্রাথমিক স্কুল নেই। এই সমস্যাটা সমাধান ব্যাপারে আমরা নাগরিক কমিটি উদ্যোগ নেব। এলাকাবাসীর সঙ্গেও আমরা কথা বলব। এই ওয়ার্ডে একটি বড় শ্রেণীর হরিজন সম্প্রদায় বসবাস করেন।
তারাও দীর্ঘপথ পারি দিয়ে দুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পৌরসভার ওই দুটি এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হোক আমিও চাই। কিন্তু কেউ জমি প্রদান না করার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে আমি নতুন করে আবারও উদ্যোগ নেব। আদমদীঘি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম প্রধান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আপাতত কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নেই। তবে যদি বিত্তবান কোনো ব্যাক্তি জমি প্রদান করেন, তাহলে আমি সরকারের কাছে ওই দুই এলাকায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার বিষয়ে লিখব।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি জনপদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে আশপাশের বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এই দুটি এলাকা হলো পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড এবং ৪ নং ওয়ার্ডের তিওরপাড়া গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই এলাকার বাসিন্দারা এলাকা দুটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার বিষয়ে নানা উদ্যোগ নিলেও, এখন পর্যন্ত সেখানে কোন স্কুল তৈরি হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এই গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক পথ পার হয়ে পার্শ্ববর্তী বিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলসা আহসান উল্লাহ ইনস্টিটিউশন
স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময়ই নানা দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যায় না।
এই গ্রামে ২ হাজার মানুষ
বসবাস করেন
ফলে স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সান্তাহার পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডে ৬ হাজার বাসিন্দা বসবাস করেন। ঐ এলাকার কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্নভাবে রেলপথ অতিক্রম করে পাশ্ববর্র্তি সান্তাহার হার্ভে সরকারি প্রাথমিক এবং এসএমআই একাডেমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে যায়। এই সমস্ত রেলপথ দিয়ে দিনে ২০ থেকে ২২ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে।
ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অবিভাবকদের অত্যন্ত দুঃশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। অন্যদিকে পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের তিওরপাড়া গ্রামেও নেই কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মুত্তিযুদ্ধের পর থেকেই এই গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক পথ পার হয়ে পাশ্ববর্তী বিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলসা আহসান উল্লাহ ইনস্টিটিউশন স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময়ই নানা দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যায় না। এই গ্রামে ২ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সান্তাহার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আলহাজ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমিসহ অন্যরা এই ওযার্ডে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ স্কুল করার জন্য জমি দান না করার কারণে স্কুল করা যায়নি।
তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, সান্তাহার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে কোনো সরকারি প্রাথমিক স্কুল নেই। এই সমস্যাটা সমাধান ব্যাপারে আমরা নাগরিক কমিটি উদ্যোগ নেব। এলাকাবাসীর সঙ্গেও আমরা কথা বলব। এই ওয়ার্ডে একটি বড় শ্রেণীর হরিজন সম্প্রদায় বসবাস করেন।
তারাও দীর্ঘপথ পারি দিয়ে দুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পৌরসভার ওই দুটি এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হোক আমিও চাই। কিন্তু কেউ জমি প্রদান না করার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে আমি নতুন করে আবারও উদ্যোগ নেব। আদমদীঘি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম প্রধান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আপাতত কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নেই। তবে যদি বিত্তবান কোনো ব্যাক্তি জমি প্রদান করেন, তাহলে আমি সরকারের কাছে ওই দুই এলাকায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার বিষয়ে লিখব।