মাত্র তিন ঘণ্টার অতি ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর একাধিক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীরা।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আমবাগান আবহাওয়া কেন্দ্রে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা ‘অতিভারি বৃষ্টিপাত’-এর মধ্যে পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বেলা ১২টা পর্যন্ত) সেখানে মোট ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসও জানায়, একই সময়ে সেখানে ৫৫ মিলিমিটার এবং ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় থাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
তিন ঘণ্টার অতি ভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নগরীর জিইসি মোড়, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, কাপাসগোলা ও হালিশহরের কিছু অংশ। এতে রাস্তায় পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হয়, অনেকেই বাধ্য হয়ে হাঁটতে থাকেন কাদাপানির ভেতর দিয়ে।
কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল আলম বলেন, “বৃষ্টি কম হোক বা বেশি, এখানে পানি উঠবেই। আজ সকালেও বাসা থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় হাঁটু পানি।”
অফিসের কাজে আগ্রাবাদে যাওয়া মঈন উদ্দিন বলেন, “আজকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, তাই পানি উঠেছে বুঝি। কিন্তু গতকালও এখানে পানি উঠেছিল, অথচ শহরের অন্য কোথাও পানি ওঠেনি। এখন কেউ এই এলাকায় গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না।”
চট্টগ্রাম নগরীর কয়েক দশকের পুরনো জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে চলছে ১৪ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), যার আওতায় ৩৬টি খাল খনন ও সংস্কারের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের বাজেট ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা এবং সময়সীমা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
সিডিএ’র তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ৩৬টি খালের মধ্যে ২৫টির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলেও কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ ও মুরাদপুর ঘিরে থাকা হিজড়া খালের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ।
অন্যদিকে আগ্রাবাদ এলাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসেবে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বক্স কালভার্টে জমে থাকা আবর্জনাকে দায়ী করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বর্তমানে সেটি পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
মাত্র তিন ঘণ্টার অতি ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর একাধিক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীরা।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আমবাগান আবহাওয়া কেন্দ্রে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা ‘অতিভারি বৃষ্টিপাত’-এর মধ্যে পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বেলা ১২টা পর্যন্ত) সেখানে মোট ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসও জানায়, একই সময়ে সেখানে ৫৫ মিলিমিটার এবং ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় থাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
তিন ঘণ্টার অতি ভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নগরীর জিইসি মোড়, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, কাপাসগোলা ও হালিশহরের কিছু অংশ। এতে রাস্তায় পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হয়, অনেকেই বাধ্য হয়ে হাঁটতে থাকেন কাদাপানির ভেতর দিয়ে।
কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল আলম বলেন, “বৃষ্টি কম হোক বা বেশি, এখানে পানি উঠবেই। আজ সকালেও বাসা থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় হাঁটু পানি।”
অফিসের কাজে আগ্রাবাদে যাওয়া মঈন উদ্দিন বলেন, “আজকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, তাই পানি উঠেছে বুঝি। কিন্তু গতকালও এখানে পানি উঠেছিল, অথচ শহরের অন্য কোথাও পানি ওঠেনি। এখন কেউ এই এলাকায় গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না।”
চট্টগ্রাম নগরীর কয়েক দশকের পুরনো জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে চলছে ১৪ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), যার আওতায় ৩৬টি খাল খনন ও সংস্কারের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের বাজেট ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা এবং সময়সীমা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
সিডিএ’র তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ৩৬টি খালের মধ্যে ২৫টির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলেও কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ ও মুরাদপুর ঘিরে থাকা হিজড়া খালের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ।
অন্যদিকে আগ্রাবাদ এলাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসেবে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বক্স কালভার্টে জমে থাকা আবর্জনাকে দায়ী করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বর্তমানে সেটি পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে।