alt

জুলাই-আগস্টে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাশের দেশ ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানি থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়নি। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতেই, ১১ জুলাই থেকে শুরু হয় বহুল প্রতিক্ষিত এই লেনদেন। সবাই আশা করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হলে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশটিতে রপ্তানি আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু তা না বেড়ে উল্টো কমছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গত বুধবার রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) প্রচলিত-অপ্রচলিত সব বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়লেও পাশের দেশ ভারতে কমেছে। এই দুই মাসে ভারতের বাজারে ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ভারতে ১৮ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এ হিসাবে এই দুই মাসে ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছিল।

গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে রপ্তানি বাড়ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো দেশটিতে পণ্য রপ্তানি আয় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পাঁচ বছরের মাথায় সেই আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে মাত্র চারটি অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়েছে, তাও সেটা গত চার বছরে। তার আগের বছরগুলোয় ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের বাজারে ১২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে নেমে আসে। ২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়। যদিও সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। ২০১১ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সেজন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতে ভাটা পড়ে।

কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন শহরে পোশাকের নামিদামি বিদেশি অনেক ব্র্যান্ড বিক্রয়কেন্দ্র খোলায় তাতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।

গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। সেই কারণে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই কাছাকাছি উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের দিকে মনোযোগ বাড়ায়। আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবকাঠামোগত যোগাযোগের উন্নতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি কমেছে। কেন কমেছে-দুই মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে তার সুস্পষ্ট কারণ বলা যাবে না। আরও কয়েক মাস গেলে বোঝা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত মান পরিপালনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। তবে ভারতের বাজারে অনেক সময় অযৌক্তিকভাবে অশুল্ক বাধা আরোপ করা হয়। এই বাধা দূর করার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং রপ্তানিকারকদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।’

শেরপুরে দুধের বাজারে ঘণ্টায় লাখ লাখ টাকার দুধ বিক্রি

ছবি

‘প্রযুক্তির মাধ্যমেই টেকসই প্রবৃদ্ধি’র ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থনীতিতে নোবেল জয় তিন গবেষকের

ছবি

দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেল কক্সবাজার বিমানবন্দর

ছবি

ক্যাশলেস অর্থনীতির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, আসছে শাখাবিহীন ডিজিটাল ব্যাংক

ছবি

সংশোধন হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা

ছবি

৫ ব্যাংক একীভূতকরণ: বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির প্রচারণা গুজব ও ভিত্তিহীন, সতর্ক করল অর্থ মন্ত্রণালয়

ছবি

৯৩ শতাংশ জেলে জানে না নিষিদ্ধ জালে উৎপাদন-প্রজননের ক্ষতি হয়: কোস্ট ফাউন্ডেশন

ছবি

আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা শুরু

ছবি

১১ দিনে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয়

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে: নৌ-সচিব

ছবি

সপ্তাহ শেষে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি ইনস্যুরেন্স

ছবি

বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা

ছবি

রুপার দামও ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

বড় পতনে সূচক নামলো ৩ মাস আগের অবস্থানে

ছবি

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি-র “বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন” অনুষ্ঠিত

ছবি

তিন বন্দর-বিদেশি অপারেটরের সাথে চুক্তি ‘ডিসেম্বরে’

ছবি

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএসইসির চিঠি

ছবি

ইফাদ গ্রুপের গৌরবময় ৪০ বছর উদযাপন

ছবি

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি ব্যাংকের পর্যালোচনা সভা

ছবি

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক পদত্যাগ

ছবি

হালাল শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত ইকোসিস্টেম জরুরী: ডিসিসিআই

ছবি

কাগজের টাকা ছাপাতেই বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিএসইতে বাজার মূলধন কমলো প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা

ছবি

৬০০ গ্রেড রডে নির্মাণকাজ ব্যয়সাশ্রয়ী ও টেকসই হয়, গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

ছবি

চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় কমছে বিটকয়েনের দাম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৭ উন্মোচন

ছবি

চার মাস ধরে সবজি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, কিছুটা ঝাঁজ কমেছে মরিচে

ছবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ

ছবি

সাম্প্রতিক ধাক্কা সামলানো গেলেও আগামী দিনগুলো আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ

ছবি

স্কুল ফিডিংয়ে ডিম যুক্ত করতে হবে: ফরিদা আখতার

ছবি

মেঘনা ব্যাংকের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদান করেছেন

ছবি

মিউচুয়াল ফান্ডের প্রস্তাবিত বিধিমালায় জনমত আহ্বান

ছবি

এসএমই খাতে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার

সংকটাপন্ন পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

tab

জুলাই-আগস্টে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাশের দেশ ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানি থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়নি। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতেই, ১১ জুলাই থেকে শুরু হয় বহুল প্রতিক্ষিত এই লেনদেন। সবাই আশা করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হলে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশটিতে রপ্তানি আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু তা না বেড়ে উল্টো কমছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গত বুধবার রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) প্রচলিত-অপ্রচলিত সব বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়লেও পাশের দেশ ভারতে কমেছে। এই দুই মাসে ভারতের বাজারে ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ভারতে ১৮ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এ হিসাবে এই দুই মাসে ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছিল।

গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে রপ্তানি বাড়ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো দেশটিতে পণ্য রপ্তানি আয় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পাঁচ বছরের মাথায় সেই আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে মাত্র চারটি অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়েছে, তাও সেটা গত চার বছরে। তার আগের বছরগুলোয় ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের বাজারে ১২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে নেমে আসে। ২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়। যদিও সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। ২০১১ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সেজন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতে ভাটা পড়ে।

কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন শহরে পোশাকের নামিদামি বিদেশি অনেক ব্র্যান্ড বিক্রয়কেন্দ্র খোলায় তাতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।

গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। সেই কারণে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই কাছাকাছি উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের দিকে মনোযোগ বাড়ায়। আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবকাঠামোগত যোগাযোগের উন্নতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি কমেছে। কেন কমেছে-দুই মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে তার সুস্পষ্ট কারণ বলা যাবে না। আরও কয়েক মাস গেলে বোঝা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত মান পরিপালনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। তবে ভারতের বাজারে অনেক সময় অযৌক্তিকভাবে অশুল্ক বাধা আরোপ করা হয়। এই বাধা দূর করার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং রপ্তানিকারকদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।’

back to top