alt

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির তিন মাস

তৃতীয় মাসে যুক্ত হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৩৪ জন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বা স্কিম চালুর তিন মাস পূর্ণ হয়েছে গত শুক্রবার। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চার স্কিমে প্রথম মাসে প্রায় ১৩ হাজার জন অন্তর্ভুক্ত হলেও দ্বিতীয় মাসে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন মাত্র ১ হাজার ৬৬৯ জন। তৃতীয় মাসে তা আরও ভাটা পড়ে ১ হাজার ১৩৪ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে তিন মাসে এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৪ জন। সরকার আশা করেছিল সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। কিন্তু তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। না হওয়ায় এ কর্মসূচিতে জনগণের আগ্রহ কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে গত শনিবার দুপুরে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পেনশন স্কিমে যোগ দিতে সবচেয়ে কম চাঁদা জমা পড়েছে শেষের এক মাসে। শেষের এক মাস ধরা হয়েছে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বরের দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশাবাদী যে খুব শীঘ্রই গ্রাহকদের ভালো সাড়া মিলবে। কারণ, সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং আরও কিছু উদ্যোগ নেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে গ্রাহকদের থেকে চাঁদা জমা পড়েছে মোট ১৬ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

গত ১৭ আগস্ট এ স্কিম উদ্বোধনের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম এক মাসে চাঁদা পরিশোধ করেছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। পরের এক মাসে নতুন করে ১ হাজার ৮৩১ জন যুক্ত হওয়ায় মোট চাঁদাদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ৭২০। তার পরের মাস, অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পেনশন স্কিমে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৩৪ জন। এ তিন মাস মিলিয়েই মোট চাঁদাদাতা হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৪ জন। তবে চাঁদাদাতাদের পরিসংখ্যান বলছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগদানের সংখ্যা প্রতি মাসেই কমছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই তা সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। প্রথম দিন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ৮ হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করলেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে চাঁদা দিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০০ জন।

চার শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিম রয়েছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাস। বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।

পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চার স্কিমের মধ্যে প্রগতিতে ৭ হাজার ২১ জন ৮ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, সুরক্ষায় ৬ হাজার ৫২৮ জন ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা, প্রবাসে ৪৭৪ জন ১ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সমতায় ১ হাজার ৮২২ জন ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা চাঁদা জমা দিয়েছেন।

চাঁদা দিয়ে পেনশন-ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ। দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন- এমন প্রত্যাশা সরকারের রয়েছে। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনা এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই পেনশন স্কিম চালু করা হয়।

দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন সরকারের এমন প্রত্যাশা থাকলেও প্রথম তিন মাস পর্যন্ত মানুষের সাড়া খুবই কম। তবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আশা করছেন, মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সরকারের সর্বজনীন এই কর্মসূচি চালু করে সরকার। চার শ্রেণীর নাগরিককে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এই কর্মসূচি।

পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

একই সঙ্গে এ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে দেয়া হয় না। সার্বিকভাবে পরিষ্কার ধারণা জনগণকে দেয়া না হলে এ উদ্যোগ সফলতা পাবে না।

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন, লেনদেনেও ভাটা

ছবি

চার মাসে বিদেশি ঋণ ছাড় বেড়েছে ৩৯ শতাংশ

ছবি

সাগরে নতুন ৬৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান

ছবি

১১ ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দিল বিজিএপিএমইএ

ছবি

বিএসইসির সিদ্ধান্তহীনতায় লেনদেন বন্ধ এক ব্রোকারেজ হাউসের

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হলো গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

২০১৬ থেকে ২০২২ বাংলাদেশ ‘দুষ্টচক্রের ত্রিভুজে’ আটকে ছিল: হোসেন জিল্লুর

ছবি

চূড়ান্ত অনুমোদন পেল সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক

ছবি

লাফিয়ে বাড়ছে কৃষি খাতের খেলাপি ঋণ

ছবি

সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, দর হারিয়েছে তিন শতাধিক শেয়ার

ছবি

পোশাক কারখানার জন্য ‘৩ মাস সংকটময় হতে পারে’

ছবি

বিসিক বিজয় মেলার পর্দা উঠছে সোমবার

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুঁজিবাজার বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিবে বিএএসএম

ছবি

আওয়ামী লীগ আমলের কারখানা চালু রাখার পক্ষে ফখরুল

ছবি

ডলার সংকট নেই, রোজার পণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কা নেই: গভর্নর

ছবি

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা

ছবি

খেলাপি ঋণ সংকট কাটাতে ৫ থেকে ১০ বছর লাগবে: গভর্নর

ছবি

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু আগামী সপ্তাহে

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের নতুন এমডি খালিদ মাহমুদ

ছবি

তানজিল চৌধুরী প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত

ছবি

জ্বালানি নিরাপত্তা শিল্পখাতের টেকসই উন্নয়নে অন্যতম অনুষঙ্গ: ডিসিসিআই

ছবি

প্রথমবারের মতো দেশে আলু উৎসব হবে ডিসেম্বরে

ছবি

এখন পর্যন্ত ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ২০ লাখের বেশি করদাতা

ছবি

খেলাপি ঋণের চাপ মোকাবিলায় ৫–১০ বছরের সময় লাগতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

শীতের সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত, তবুও কমছে না দাম

ছবি

ব্যাংক মার্জার: এক কাঠামোতে এনে কমছে ৫ ব্যাংকের বেতন

ছবি

ব্যাংক খাতে যে এত ‘রোগ’ আগে জানা-ই যায়নি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ছবি

আরও ৯ ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিলো ডিএসই

ছবি

বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নিয়ে আসুন, সুবিধা দিতে সরকার বাধ্য: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের চিৎকার শুনছে না: আনোয়ার উল আলম চৌধুরী

ডিএসই ও সিএসইর নতুন ব্যবস্থা, এখন অনলাইনেই সব নথি জমা দেয়া যাবে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ভুটানের ট্রানজিটের চতুর্থ চালান খালাস

ছবি

ডিসেম্বরে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস ও আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ চালু করবে ডিএসই

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো হচ্ছে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক আর বিএসইসির শীর্ষ ব্যক্তিরাও ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন

ছবি

আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই ডিজিটাল সেবার বাইরে

tab

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির তিন মাস

তৃতীয় মাসে যুক্ত হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৩৪ জন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বা স্কিম চালুর তিন মাস পূর্ণ হয়েছে গত শুক্রবার। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চার স্কিমে প্রথম মাসে প্রায় ১৩ হাজার জন অন্তর্ভুক্ত হলেও দ্বিতীয় মাসে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন মাত্র ১ হাজার ৬৬৯ জন। তৃতীয় মাসে তা আরও ভাটা পড়ে ১ হাজার ১৩৪ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে তিন মাসে এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৪ জন। সরকার আশা করেছিল সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। কিন্তু তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। না হওয়ায় এ কর্মসূচিতে জনগণের আগ্রহ কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে গত শনিবার দুপুরে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পেনশন স্কিমে যোগ দিতে সবচেয়ে কম চাঁদা জমা পড়েছে শেষের এক মাসে। শেষের এক মাস ধরা হয়েছে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বরের দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশাবাদী যে খুব শীঘ্রই গ্রাহকদের ভালো সাড়া মিলবে। কারণ, সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং আরও কিছু উদ্যোগ নেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে গ্রাহকদের থেকে চাঁদা জমা পড়েছে মোট ১৬ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

গত ১৭ আগস্ট এ স্কিম উদ্বোধনের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম এক মাসে চাঁদা পরিশোধ করেছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। পরের এক মাসে নতুন করে ১ হাজার ৮৩১ জন যুক্ত হওয়ায় মোট চাঁদাদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ৭২০। তার পরের মাস, অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পেনশন স্কিমে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৩৪ জন। এ তিন মাস মিলিয়েই মোট চাঁদাদাতা হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৪ জন। তবে চাঁদাদাতাদের পরিসংখ্যান বলছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগদানের সংখ্যা প্রতি মাসেই কমছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই তা সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। প্রথম দিন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ৮ হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করলেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে চাঁদা দিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০০ জন।

চার শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিম রয়েছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাস। বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।

পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চার স্কিমের মধ্যে প্রগতিতে ৭ হাজার ২১ জন ৮ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, সুরক্ষায় ৬ হাজার ৫২৮ জন ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা, প্রবাসে ৪৭৪ জন ১ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সমতায় ১ হাজার ৮২২ জন ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা চাঁদা জমা দিয়েছেন।

চাঁদা দিয়ে পেনশন-ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ। দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন- এমন প্রত্যাশা সরকারের রয়েছে। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনা এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই পেনশন স্কিম চালু করা হয়।

দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন সরকারের এমন প্রত্যাশা থাকলেও প্রথম তিন মাস পর্যন্ত মানুষের সাড়া খুবই কম। তবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আশা করছেন, মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সরকারের সর্বজনীন এই কর্মসূচি চালু করে সরকার। চার শ্রেণীর নাগরিককে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এই কর্মসূচি।

পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

একই সঙ্গে এ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে দেয়া হয় না। সার্বিকভাবে পরিষ্কার ধারণা জনগণকে দেয়া না হলে এ উদ্যোগ সফলতা পাবে না।

back to top