১৫% কর দিলে কালো টাকা সাদা
কর, ভ্যাট, আয়কর আদায় লক্ষ্য বৃদ্ধি, ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা
বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সোমবার ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে নির্দিষ্টকরণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।
এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার বেলা ১১টায় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়।
এ ছাড়া মঞ্জুরি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধী দলের ৬ জন সংসদ সদস্য মোট ২৫১টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তবে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর বক্তব্য দেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২৪ সংসদে উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। পরে সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২৪ পাসের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন।
জাতীয় সংসদে গত ৬ জুন ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শীর্ষক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
সংসদে উপস্থাপনের পর অধিবেশনজুড়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। বিরোধী দলের সদস্যরা নতুন বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করেন। তিন সপ্তাহ আলোচনা শেষে গত শনিবার সংসদে অর্থ বিল-২০২৪ পাস হয়।
বাজেটের আকার বেড়েছে ৪.৬%
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ অর্জন করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
বাজেট ঘাটতি
এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। এরমধ্যে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নেয়া হবে।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আগেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কর, ভ্যাট, আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি
৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে এবার উন্নয়ন ব্যয় ৮.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা আগেই অনুমোদন করা হয়।
বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ১৩.১৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৭ শতাংশের বেশি। টাকার ওই অংক মোট বাজেটের ৬০ শতাংশের মত।
গতবারের (২০২৩-২৪ অর্থবছর) মত এবারও (২০২৪-২৫ অর্থবছর) সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫.৬৩ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সংশোধনে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা করা হয়।
আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৭০ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
১৫% কর দিলেই কালো টাকা সাদা
নানা সমালোচান সত্ত্বেও নতুন বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। সাধারণ করদাতাদের আয়ে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে, যদিও বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলেন। করমুক্ত আয়কর সীমা বিদ্যমান সাড়ে তিন লাখ টাকাই বহাল রাখা হয়েছে।
প্রত্যয় পেনশন স্কিম চালু
কাল থেকে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিম চালু করা হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে আরেকটি নতুন পেনশন কর্মসূচি চালু হবে।
১৫% কর দিলে কালো টাকা সাদা
কর, ভ্যাট, আয়কর আদায় লক্ষ্য বৃদ্ধি, ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা
রোববার, ৩০ জুন ২০২৪
বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সোমবার ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে নির্দিষ্টকরণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।
এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার বেলা ১১টায় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়।
এ ছাড়া মঞ্জুরি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধী দলের ৬ জন সংসদ সদস্য মোট ২৫১টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তবে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর বক্তব্য দেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২৪ সংসদে উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। পরে সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২৪ পাসের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন।
জাতীয় সংসদে গত ৬ জুন ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শীর্ষক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
সংসদে উপস্থাপনের পর অধিবেশনজুড়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। বিরোধী দলের সদস্যরা নতুন বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করেন। তিন সপ্তাহ আলোচনা শেষে গত শনিবার সংসদে অর্থ বিল-২০২৪ পাস হয়।
বাজেটের আকার বেড়েছে ৪.৬%
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ অর্জন করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
বাজেট ঘাটতি
এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। এরমধ্যে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নেয়া হবে।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আগেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কর, ভ্যাট, আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি
৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে এবার উন্নয়ন ব্যয় ৮.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা আগেই অনুমোদন করা হয়।
বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ১৩.১৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৭ শতাংশের বেশি। টাকার ওই অংক মোট বাজেটের ৬০ শতাংশের মত।
গতবারের (২০২৩-২৪ অর্থবছর) মত এবারও (২০২৪-২৫ অর্থবছর) সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫.৬৩ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সংশোধনে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা করা হয়।
আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৭০ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
১৫% কর দিলেই কালো টাকা সাদা
নানা সমালোচান সত্ত্বেও নতুন বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। সাধারণ করদাতাদের আয়ে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে, যদিও বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলেন। করমুক্ত আয়কর সীমা বিদ্যমান সাড়ে তিন লাখ টাকাই বহাল রাখা হয়েছে।
প্রত্যয় পেনশন স্কিম চালু
কাল থেকে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিম চালু করা হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে আরেকটি নতুন পেনশন কর্মসূচি চালু হবে।