বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে আন্তঃব্যাংক ছাড়া বিকল্প উপায়ে সহায়তা করা হবে কিনা। সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের মুখপাত্র, নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “যেসব ব্যাংক বর্তমানে তারল্য সংকটে রয়েছে, তাদের বিকল্প উপায়ে সহায়তা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা এসব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”
বর্তমানে কয়েকটি ব্যাংক চরম নগদ অর্থের সংকটে রয়েছে এবং গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না। এছাড়া, নতুন আমানত সংগ্রহ করতেও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিকল্প পদ্ধতিতে অর্থ যোগান দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।
এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাজারে ছেড়ে অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সাধারণত, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি করে অন্য ব্যাংকগুলোর কাছে জামানত হিসেবে অর্থ ধার দেয়। এই বিপরীতে ব্যাংকগুলো টাকা নেয়।
জামানত ছাড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে কয়েকটি ব্যাংক, বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংক, বিশেষ অনুমোদনে সিকিউরিটি ছাড়াই টাকা ধার পেয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও কিছু ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে অপারগ।
এসএলআর (স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও) নিয়ম অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে ১৩ শতাংশ ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক গত আড়াই বছর ধরে এসএলআর রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, আন্তঃব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বিকল্প পন্থায় অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বৈঠকে বিকল্প সমাধানের প্রস্তাব করছে।
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে আন্তঃব্যাংক ছাড়া বিকল্প উপায়ে সহায়তা করা হবে কিনা। সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের মুখপাত্র, নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “যেসব ব্যাংক বর্তমানে তারল্য সংকটে রয়েছে, তাদের বিকল্প উপায়ে সহায়তা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা এসব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”
বর্তমানে কয়েকটি ব্যাংক চরম নগদ অর্থের সংকটে রয়েছে এবং গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না। এছাড়া, নতুন আমানত সংগ্রহ করতেও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিকল্প পদ্ধতিতে অর্থ যোগান দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।
এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাজারে ছেড়ে অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সাধারণত, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি করে অন্য ব্যাংকগুলোর কাছে জামানত হিসেবে অর্থ ধার দেয়। এই বিপরীতে ব্যাংকগুলো টাকা নেয়।
জামানত ছাড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে কয়েকটি ব্যাংক, বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংক, বিশেষ অনুমোদনে সিকিউরিটি ছাড়াই টাকা ধার পেয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও কিছু ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে অপারগ।
এসএলআর (স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও) নিয়ম অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে ১৩ শতাংশ ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক গত আড়াই বছর ধরে এসএলআর রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, আন্তঃব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বিকল্প পন্থায় অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বৈঠকে বিকল্প সমাধানের প্রস্তাব করছে।