গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো শিল্প পার্কে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সরকার উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
১১ সদস্যের এই কমিটি বেক্সিমকো শিল্প পার্কসহ আশপাশের এলাকার শ্রমিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। কমিটিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, এবং বাণিজ্য ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ অন্য উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কমিটি সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবে।
বেক্সিমকো শিল্প পার্কে কর্মরত প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা কয়েকদিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। সোমবারও সকাল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বেতন প্রদানের আশ্বাসের পরেও সময়মত তা পূরণ না হওয়ায় শ্রমিকরা আবারও রাস্তায় নেমেছে। শ্রমিকদের এই আন্দোলনের কারণে আশপাশের কারখানাগুলোও ছুটি ঘোষণা করেছে।
সরকার পতনের পর, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গ্রেপ্তারের পর থেকে এ শিল্প গোষ্ঠী আর্থিক সংকটে পড়ে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা এবং পণ্য রপ্তানির আড়ালে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানাগুলোতে বেতন বকেয়া হতে থাকে, যা শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ।
সেপ্টেম্বরে সিআইডির তদন্তের পর, দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্প গোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ব্যাংক তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেছে। ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি বেক্সিমকো গ্রুপের আর্থিক ব্যবস্থাপনা তদারকি করবেন।
নতুন গঠিত কমিটি বেক্সিমকো শিল্প পার্কের শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ সুপারিশ করবে। তারা আশা, মধ্যমেয়াদি এবং স্থায়ী সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। এছাড়াও, দেশের অন্যান্য শিল্প কারখানায় উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্যও এই কমিটি করণীয় নির্দেশিকা প্রদান করবে।
এই পদক্ষেপগুলো শ্রমিক অসন্তোষের সমাধান এবং দেশের শিল্প খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো শিল্প পার্কে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সরকার উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
১১ সদস্যের এই কমিটি বেক্সিমকো শিল্প পার্কসহ আশপাশের এলাকার শ্রমিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। কমিটিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, এবং বাণিজ্য ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ অন্য উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কমিটি সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবে।
বেক্সিমকো শিল্প পার্কে কর্মরত প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা কয়েকদিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। সোমবারও সকাল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বেতন প্রদানের আশ্বাসের পরেও সময়মত তা পূরণ না হওয়ায় শ্রমিকরা আবারও রাস্তায় নেমেছে। শ্রমিকদের এই আন্দোলনের কারণে আশপাশের কারখানাগুলোও ছুটি ঘোষণা করেছে।
সরকার পতনের পর, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গ্রেপ্তারের পর থেকে এ শিল্প গোষ্ঠী আর্থিক সংকটে পড়ে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা এবং পণ্য রপ্তানির আড়ালে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানাগুলোতে বেতন বকেয়া হতে থাকে, যা শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ।
সেপ্টেম্বরে সিআইডির তদন্তের পর, দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্প গোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ব্যাংক তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেছে। ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি বেক্সিমকো গ্রুপের আর্থিক ব্যবস্থাপনা তদারকি করবেন।
নতুন গঠিত কমিটি বেক্সিমকো শিল্প পার্কের শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ সুপারিশ করবে। তারা আশা, মধ্যমেয়াদি এবং স্থায়ী সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। এছাড়াও, দেশের অন্যান্য শিল্প কারখানায় উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্যও এই কমিটি করণীয় নির্দেশিকা প্রদান করবে।
এই পদক্ষেপগুলো শ্রমিক অসন্তোষের সমাধান এবং দেশের শিল্প খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।