বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন মুনাফার হার ও সীমা নির্ধারণ
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বয়ে আনবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বুধবার এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী মেয়াদ পূর্তিতে সর্বোচ্চ মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বিশেষত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন নিয়মে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন।
মুনাফার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগের সীমায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম এবং এর বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভিন্ন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিবার সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে জনপ্রিয়। পাঁচ বছরের মেয়াদে আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ছিল ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি। সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা এত দিন ছিল ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার বেড়েছে। আগে এই সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে এই হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফা প্রদান করা সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে তিন বছর মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি সঞ্চয়েও মুনাফার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন বছর মেয়াদ শেষে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফার হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
নতুন নির্দেশনায় সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার সামান্য কম।
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা।
ঢাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন, বলেন, “মুনাফার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। এটি আমাদের পরিবারের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধির ফলে এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে এবং ব্যক্তিগত সঞ্চয়ে উৎসাহ দেবে। তবে সরকারের জন্য এটি আর্থিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
মুনাফার হার বৃদ্ধির ফলে সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে আরও বেশি মানুষ আগ্রহী হবে। তবে এতে সরকারের সুদ ব্যয়ের পরিমাণ বাড়বে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ মুনাফা একদিকে ব্যক্তিগত সঞ্চয় বাড়ালেও সরকারের ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি করতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “মুনাফার হার বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা জনগণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করতে চাই। তবে এ কারণে সরকারকে সুদ পরিশোধে বাড়তি ব্যয় বহন করতে হবে।
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিশ্লেষণ করে সরকারের আর্থিক পরিকল্পনায় সমন্বয় আনতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন মুনাফার হার ও সীমা নির্ধারণ
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বয়ে আনবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বুধবার এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী মেয়াদ পূর্তিতে সর্বোচ্চ মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বিশেষত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন নিয়মে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন।
মুনাফার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগের সীমায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম এবং এর বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভিন্ন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিবার সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে জনপ্রিয়। পাঁচ বছরের মেয়াদে আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ছিল ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি। সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা এত দিন ছিল ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার বেড়েছে। আগে এই সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে এই হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফা প্রদান করা সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে তিন বছর মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি সঞ্চয়েও মুনাফার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন বছর মেয়াদ শেষে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফার হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
নতুন নির্দেশনায় সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি।
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার সামান্য কম।
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা।
ঢাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন, বলেন, “মুনাফার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। এটি আমাদের পরিবারের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধির ফলে এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে এবং ব্যক্তিগত সঞ্চয়ে উৎসাহ দেবে। তবে সরকারের জন্য এটি আর্থিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
মুনাফার হার বৃদ্ধির ফলে সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে আরও বেশি মানুষ আগ্রহী হবে। তবে এতে সরকারের সুদ ব্যয়ের পরিমাণ বাড়বে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ মুনাফা একদিকে ব্যক্তিগত সঞ্চয় বাড়ালেও সরকারের ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি করতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “মুনাফার হার বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা জনগণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করতে চাই। তবে এ কারণে সরকারকে সুদ পরিশোধে বাড়তি ব্যয় বহন করতে হবে।
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিশ্লেষণ করে সরকারের আর্থিক পরিকল্পনায় সমন্বয় আনতে হবে।