গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক ও দৈনিক গড় লেনদেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড় গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬৫টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির। এছাড়া ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় আড়াইগুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এতে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মিডল্যান্ড ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, সেন্ট্রাল ফার্মা, রূপালী লাইফ, অগ্নি সিস্টেমস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক ও দৈনিক গড় লেনদেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড় গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬৫টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির। এছাড়া ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় আড়াইগুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এতে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মিডল্যান্ড ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, সেন্ট্রাল ফার্মা, রূপালী লাইফ, অগ্নি সিস্টেমস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।