সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের বিষয়েও অভিযোগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান পরিচালনার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযোগ করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কাজী সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্য প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে বলা হয়, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করছেন, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। চিঠির সঙ্গে তার বিভিন্ন মন্তব্যের নমুনাও সংযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, এ ধরনের মন্তব্য ব্যাংকের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বে প্রভাব ফেলতে পারে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে দুদকের আট সদস্যের একটি দল আদালতের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে লকার অনুসন্ধানে যায়। অভিযান শেষে তিনি জানান, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাঁদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।”
তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে নতুন অভিযান চালানো হবে।
এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। বর্তমানে সেই সম্পদ বাংলাদেশ ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে।
দুদকের অভিযান নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “দুদকের দলটি একটি তালিকা নিয়ে এসেছিল এবং তারা লকারের তালিকার সঙ্গে ওই নামগুলো মিলিয়ে দেখে। কিন্তু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।”
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের লকারও তল্লাশি করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের মধ্যকার এই ঘটনাপ্রবাহ অর্থনৈতিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের বিষয়েও অভিযোগ
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান পরিচালনার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযোগ করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কাজী সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্য প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে বলা হয়, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করছেন, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। চিঠির সঙ্গে তার বিভিন্ন মন্তব্যের নমুনাও সংযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, এ ধরনের মন্তব্য ব্যাংকের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বে প্রভাব ফেলতে পারে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে দুদকের আট সদস্যের একটি দল আদালতের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে লকার অনুসন্ধানে যায়। অভিযান শেষে তিনি জানান, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাঁদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।”
তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে নতুন অভিযান চালানো হবে।
এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। বর্তমানে সেই সম্পদ বাংলাদেশ ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে।
দুদকের অভিযান নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “দুদকের দলটি একটি তালিকা নিয়ে এসেছিল এবং তারা লকারের তালিকার সঙ্গে ওই নামগুলো মিলিয়ে দেখে। কিন্তু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।”
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের লকারও তল্লাশি করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের মধ্যকার এই ঘটনাপ্রবাহ অর্থনৈতিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।