দেশে কয়েক বছর ধরে চলমান মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন মেয়াদের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। তবে এতে নীতি সুদহারে (পলিসি রেট) কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
সোমবার ঘোষিত মুদ্রানীতিতে রেপো হার ১০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান মুদ্রানীতির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
গত এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে সুদের হার বাড়িয়ে আসছিল। তবে এবার সে পথে না গিয়ে নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “যতদিন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে না নামে, ততদিন নীতি সুদহার কমানোর পরিকল্পনা নেই।”
বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি, যা আগের মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের মুদ্রানীতির সমান।
অন্যদিকে, সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের মুদ্রানীতিতে ছিল ১৪.২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এই মুদ্রানীতি কার্যকর হলে বাজারের তারল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এবং মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমতে পারে।
রেপো হল এক ধরনের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো এক দিনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেয়। রেপো সুদহার বাড়ালে ব্যাংকগুলোর জন্য এই ঋণের খরচ বেড়ে যায়, ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও ঋণের সুদহার বাড়াতে বাধ্য হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো হার স্থিতিশীল রেখে বাজারে তারল্য ও বিনিয়োগের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চাচ্ছে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখা সম্ভব হলেও এটি অর্থনীতির জন্য কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, তারা বাজার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনে পরবর্তী মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহারে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশে কয়েক বছর ধরে চলমান মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন মেয়াদের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। তবে এতে নীতি সুদহারে (পলিসি রেট) কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
সোমবার ঘোষিত মুদ্রানীতিতে রেপো হার ১০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান মুদ্রানীতির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
গত এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে সুদের হার বাড়িয়ে আসছিল। তবে এবার সে পথে না গিয়ে নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “যতদিন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে না নামে, ততদিন নীতি সুদহার কমানোর পরিকল্পনা নেই।”
বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি, যা আগের মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের মুদ্রানীতির সমান।
অন্যদিকে, সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের মুদ্রানীতিতে ছিল ১৪.২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এই মুদ্রানীতি কার্যকর হলে বাজারের তারল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এবং মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমতে পারে।
রেপো হল এক ধরনের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো এক দিনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেয়। রেপো সুদহার বাড়ালে ব্যাংকগুলোর জন্য এই ঋণের খরচ বেড়ে যায়, ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও ঋণের সুদহার বাড়াতে বাধ্য হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো হার স্থিতিশীল রেখে বাজারে তারল্য ও বিনিয়োগের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চাচ্ছে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখা সম্ভব হলেও এটি অর্থনীতির জন্য কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, তারা বাজার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনে পরবর্তী মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহারে পরিবর্তন আনা হতে পারে।