বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ওপর শুল্ক সুবিধা পুনর্বহাল ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারস্যমূলক করতে বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও সংস্কার উদ্যোগের কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জেমিসন গ্রিয়ারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ ১৯০টি পণ্যে শূন্য শুল্ক দিচ্ছে, এবং শিগগিরই আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা (GSP) প্রত্যাহারের পর থেকে সব রপ্তানি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে, যেখানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে ৬.১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে থাকে।
বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বড় তুলা রপ্তানিকারক দেশ। অথচ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো উচ্চ হারে শুল্ক নিচ্ছে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারস্যমূলক নয়।
২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়তা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ বাণিজ্য বাধা দূর করতে সম্মত হয়েছিল। সেই আলোকে বাংলাদেশ আমদানি নীতি হালনাগাদ, শুল্কপ্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্ব ও ট্রেডমার্ক সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করতে আমরাও প্রস্তুত। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি, মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সয়াবিন, গম, তুলা আমদানি এবং স্বাস্থ্য ও সেবাখাতে মার্কিন ইক্যুইটি তহবিল আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “এই সব উদ্যোগ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য আনবে এবং দুই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি আরও জানান, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ আসে চারটি পণ্যে—তুলা, লোহার স্ক্র্যাপ, সয়া এবং জ্বালানি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের। আমরা চাই না, একক মার্কেট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোনো বাধা তৈরি হোক।”
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ওপর শুল্ক সুবিধা পুনর্বহাল ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারস্যমূলক করতে বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও সংস্কার উদ্যোগের কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জেমিসন গ্রিয়ারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ ১৯০টি পণ্যে শূন্য শুল্ক দিচ্ছে, এবং শিগগিরই আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা (GSP) প্রত্যাহারের পর থেকে সব রপ্তানি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে, যেখানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে ৬.১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে থাকে।
বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বড় তুলা রপ্তানিকারক দেশ। অথচ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো উচ্চ হারে শুল্ক নিচ্ছে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারস্যমূলক নয়।
২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়তা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ বাণিজ্য বাধা দূর করতে সম্মত হয়েছিল। সেই আলোকে বাংলাদেশ আমদানি নীতি হালনাগাদ, শুল্কপ্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্ব ও ট্রেডমার্ক সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করতে আমরাও প্রস্তুত। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি, মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সয়াবিন, গম, তুলা আমদানি এবং স্বাস্থ্য ও সেবাখাতে মার্কিন ইক্যুইটি তহবিল আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “এই সব উদ্যোগ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য আনবে এবং দুই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি আরও জানান, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ আসে চারটি পণ্যে—তুলা, লোহার স্ক্র্যাপ, সয়া এবং জ্বালানি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের। আমরা চাই না, একক মার্কেট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোনো বাধা তৈরি হোক।”