ফেব্রুয়ারিতে ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি দেখার পর রোজার মাস মার্চে পণ্যমূল্যের এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকে সামান্য বেড়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য বলছে, মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে, যা এক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল। আর গতবছর মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হল, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের মার্চে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। এরপর থেকেই চড়তে থাকে এই হার। ২০২৪ সালের আন্দোলনের মাস জুলাইয়ে তা ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়। বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চার মাস পর এক অঙ্কের ঘরে নেমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়; ফেব্রুয়ারিতে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে। মার্চে তা আবার সামান্য বাড়ল।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যস্ফীতি মাসের ব্যবধানে সামান্য বেড়ে যাওয়ার কারণ খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে উর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। শহর ও গ্রামে একই চিত্র মিলেছে।
মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি যেখানে ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য মিলেছিল। মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ; জানুয়ারিতে যা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল।
শহর ও গ্রামের খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতিতে খাবারের দাম কমার তথ্য দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে দেখা যায়, মার্চে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ; যা ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
আর গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করার পর দেশ হাল ধরে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মুহাম্মদ ইউনূস মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। সরকার গত তিন মাস মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখিতার তথ্য দিলও নিত্যপণ্যের বাজারে সে অর্থে সুফল মেলেনি।
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
ফেব্রুয়ারিতে ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি দেখার পর রোজার মাস মার্চে পণ্যমূল্যের এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকে সামান্য বেড়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য বলছে, মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে, যা এক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল। আর গতবছর মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হল, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের মার্চে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। এরপর থেকেই চড়তে থাকে এই হার। ২০২৪ সালের আন্দোলনের মাস জুলাইয়ে তা ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়। বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার চার মাস পর এক অঙ্কের ঘরে নেমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়; ফেব্রুয়ারিতে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে। মার্চে তা আবার সামান্য বাড়ল।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যস্ফীতি মাসের ব্যবধানে সামান্য বেড়ে যাওয়ার কারণ খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে উর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। শহর ও গ্রামে একই চিত্র মিলেছে।
মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি যেখানে ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য মিলেছিল। মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ; জানুয়ারিতে যা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল।
শহর ও গ্রামের খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতিতে খাবারের দাম কমার তথ্য দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে দেখা যায়, মার্চে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ; যা ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
আর গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে মার্চে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করার পর দেশ হাল ধরে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মুহাম্মদ ইউনূস মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। সরকার গত তিন মাস মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখিতার তথ্য দিলও নিত্যপণ্যের বাজারে সে অর্থে সুফল মেলেনি।