আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল সব বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর পাচ্ছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ যা তার আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত।
আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে আইএমএফের সঙ্গে চলা বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ সময় প্রতিনিধি দলটি আগামী জুন নাগাদ বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না।’ সরকারের সবগুলো অর্গান যখন একসঙ্গে কাজ করে তখনই এটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানান তিনি।
আইএমএফের ঋণের সবশেষ দুই কিস্তি পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া জবাবে সংস্থাটি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘সফররত প্রতিনিধি দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হচ্ছে তারা সন্তুষ্ট। যদি কোনো প্রশ্নের জবাবে তারা সন্তুষ্ট না হন, তখন তারা পাল্টা প্রশ্ন করে থাকেন, যেটা এখনো হয়নি, এখানে আমরা আশাবাদী।’
রিজার্ভ গণনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ গণনার ক্ষেত্রে ডাবল কাউন্টিং হচ্ছে না। আইএমএফের নির্দেশনার আলোকে বর্তমানে রিজার্ভ গণনা করায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘তারল্য সংকটে থাকা দেশের ১১ ব্যাংকের মধ্যে ৬টির অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদের এখন তারল্য সহায়তা লাগবে না। তবে এখনো পাঁচটি ব্যাংক দুর্বল অবস্থা রয়েছে।’
আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তির ২৩৯ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ। সে অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে ৬ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করছে আইএমএফ। সংস্থাটির ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। সব দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফ দল।
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল সব বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর পাচ্ছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ যা তার আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত।
আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে আইএমএফের সঙ্গে চলা বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ সময় প্রতিনিধি দলটি আগামী জুন নাগাদ বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না।’ সরকারের সবগুলো অর্গান যখন একসঙ্গে কাজ করে তখনই এটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানান তিনি।
আইএমএফের ঋণের সবশেষ দুই কিস্তি পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া জবাবে সংস্থাটি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘সফররত প্রতিনিধি দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হচ্ছে তারা সন্তুষ্ট। যদি কোনো প্রশ্নের জবাবে তারা সন্তুষ্ট না হন, তখন তারা পাল্টা প্রশ্ন করে থাকেন, যেটা এখনো হয়নি, এখানে আমরা আশাবাদী।’
রিজার্ভ গণনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ গণনার ক্ষেত্রে ডাবল কাউন্টিং হচ্ছে না। আইএমএফের নির্দেশনার আলোকে বর্তমানে রিজার্ভ গণনা করায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘তারল্য সংকটে থাকা দেশের ১১ ব্যাংকের মধ্যে ৬টির অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদের এখন তারল্য সহায়তা লাগবে না। তবে এখনো পাঁচটি ব্যাংক দুর্বল অবস্থা রয়েছে।’
আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তির ২৩৯ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ। সে অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে ৬ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করছে আইএমএফ। সংস্থাটির ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। সব দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফ দল।