চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৩.৯ শতাংশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার ৯.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০.২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি
বুধবার ঢাকায় এডিবির কান্ট্রি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২৫’ প্রকাশ উপলক্ষ্যে এই পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়। এডিবি জানায়, চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অস্থিরতা বিবেচনায় তারা পূর্ববর্তী পূর্বাভাস সংশোধন করেছে।
তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে সংস্থাটি বলেছে, আগামী অর্থবছরে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩.৯ শতাংশে নেমে এলেও ২০২৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫.১ শতাংশে পৌঁছাবে।
পোশাক খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, শিল্প খাতে অস্থিরতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশজ চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২ শতাংশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিওং বলেন, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই স্থিতিশীলতা আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং তৈরি পোশাক খাতের বাইরে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করাও প্রয়োজন। এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ জরুরি। এসব পদক্ষেপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাইকারি বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব, পর্যাপ্ত বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলের দুর্বলতা এবং টাকার অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দেবে।
এছাড়া, বাণিজ্য ঘাটতি সংকুচিত হওয়া এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার ফলে ২০২৪ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ১.৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ অর্থবছরে ০.৯ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৩.৯ শতাংশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার ৯.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০.২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি
বুধবার ঢাকায় এডিবির কান্ট্রি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২৫’ প্রকাশ উপলক্ষ্যে এই পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়। এডিবি জানায়, চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অস্থিরতা বিবেচনায় তারা পূর্ববর্তী পূর্বাভাস সংশোধন করেছে।
তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে সংস্থাটি বলেছে, আগামী অর্থবছরে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩.৯ শতাংশে নেমে এলেও ২০২৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫.১ শতাংশে পৌঁছাবে।
পোশাক খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, শিল্প খাতে অস্থিরতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশজ চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২ শতাংশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিওং বলেন, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই স্থিতিশীলতা আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং তৈরি পোশাক খাতের বাইরে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করাও প্রয়োজন। এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ জরুরি। এসব পদক্ষেপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাইকারি বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব, পর্যাপ্ত বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলের দুর্বলতা এবং টাকার অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দেবে।
এছাড়া, বাণিজ্য ঘাটতি সংকুচিত হওয়া এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার ফলে ২০২৪ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ১.৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ অর্থবছরে ০.৯ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।