সঠিক কৌশল ও সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে এক নম্বর স্থানে উঠতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং। বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে জানিয়ে কিয়াক সুং বলেন, ‘শীর্ষস্থান অধিকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নত ও হাতে তৈরি সুতার জন্য নিজস্ব উৎপাদন সুবিধা স্থাপন করতে হবে।’ বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি নীতি সহায়তার গুরুত্ব ও বিপুল সংখ্যক বন্ডেড গুদামের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলো কাঁচামালের দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। যার ফলে উৎপাদনকারীরা আরও দক্ষতার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবেন।’
সাম্প্রতিক বাণিজ্য উন্নয়নের বিষয়ে মন্তব্য করে সুং বলেন, ‘ট্রাম্প-যুগের শুল্ক নীতির তিন মাসের স্থগিতাদেশ কিছুটা স্বস্তি এনেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তিনি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনের ওপর মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চারদিনব্যাপী বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ইউএইসহ রেকর্ডসংখ্যক ৪০টি দেশের খ্যাতনামা বিনিয়োগকারীরা এতে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নির্বাহী ও নীতি নির্ধারকরাও এতে অংশ নেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিশ্বখ্যাত নামিদামি ব্র্যান্ড ইন্ডিটেক্স গ্রুপ, ডিপি ওয়ার্ল্ড, জিওডারনো ও এক্সিলারের এনার্জিসহ কোম্পানির অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিনিয়োগকারী কোম্পানির শীর্ষ নীতি নির্ধারকরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ এক ধাপ এগিয়ে বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। আন্তর্জাতিক মহাযান সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
চারদিনব্যাপী এ সম্মেলনের তৃতীয় দিন ৯ এপ্রিল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসার জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
সঠিক কৌশল ও সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে এক নম্বর স্থানে উঠতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং। বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে জানিয়ে কিয়াক সুং বলেন, ‘শীর্ষস্থান অধিকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নত ও হাতে তৈরি সুতার জন্য নিজস্ব উৎপাদন সুবিধা স্থাপন করতে হবে।’ বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি নীতি সহায়তার গুরুত্ব ও বিপুল সংখ্যক বন্ডেড গুদামের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলো কাঁচামালের দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। যার ফলে উৎপাদনকারীরা আরও দক্ষতার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবেন।’
সাম্প্রতিক বাণিজ্য উন্নয়নের বিষয়ে মন্তব্য করে সুং বলেন, ‘ট্রাম্প-যুগের শুল্ক নীতির তিন মাসের স্থগিতাদেশ কিছুটা স্বস্তি এনেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তিনি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনের ওপর মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চারদিনব্যাপী বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ইউএইসহ রেকর্ডসংখ্যক ৪০টি দেশের খ্যাতনামা বিনিয়োগকারীরা এতে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নির্বাহী ও নীতি নির্ধারকরাও এতে অংশ নেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিশ্বখ্যাত নামিদামি ব্র্যান্ড ইন্ডিটেক্স গ্রুপ, ডিপি ওয়ার্ল্ড, জিওডারনো ও এক্সিলারের এনার্জিসহ কোম্পানির অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিনিয়োগকারী কোম্পানির শীর্ষ নীতি নির্ধারকরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ এক ধাপ এগিয়ে বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। আন্তর্জাতিক মহাযান সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
চারদিনব্যাপী এ সম্মেলনের তৃতীয় দিন ৯ এপ্রিল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসার জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।